
চাকরি হারা শিক্ষকদের জন্য রাজ্য সরকারের বড় ঘোষণা — ফের বসতে হবে পরীক্ষায়। বহু প্রতীক্ষার পর, 30 মে নির্ধারিত হলো সেই পরীক্ষার দিন। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েও শেষমেশ ফল মেলেনি চাকরি হারানো প্রার্থীদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—কোর্টের রায় মানতে হবে, তা হাইকোর্ট হোক বা সুপ্রিম কোর্ট। ফলে, যাঁরা আগে চাকরি পেয়েছিলেন কিন্তু পরে বাতিল হয়েছে, তাঁদের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীদেরই এবার ফের বসতে হবে লিখিত পরীক্ষায়।
তবে যাঁরা অযোগ্য, তাঁদের কোনও সুযোগ নেই এই পরীক্ষায় বসার। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, শুধুমাত্র আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী চিহ্নিত যোগ্য চাকরি হারা প্রার্থীদেরই ডাকা হবে। পাশাপাশি জানা গেছে, যদি পরীক্ষার পরেও কিছু অতিরিক্ত শূন্যপদ থেকে যায়, তাহলে সেখানে নতুন করে আবেদন নেওয়া হতে পারে। যদিও এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি। আপাতত যা জানা যাচ্ছে, তা হলো—চূড়ান্ত পরীক্ষার দিন ধার্য হয়েছে 2025 সালের 30 মে।
কত শূন্য পথ তৈরি হলো জানালেন মমতা ব্যানার্জি
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরী চাকরি হারাদের পাশে থেকেছেন। মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন চাকরি হারাদের ভবিষ্যৎ বাধা না পড়ে এমনকি 25000 টাকা অনুদান দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন যতদিন না কোর্টের রায় আসছে, মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী দেখে নেব কোথায় কত শূন্য পদ রয়েছে।
- মুখ্যমন্ত্রীর কথামতো জানা গিয়েছে নতুন শূন্যপদ 44203।
- নবম এবং দশম শ্রেণীর কথা মাথায় রেখে যে শূন্য পদ তৈরি করা হয়েছে তার সংখ্যা 2322
- একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য শূন্য পদে ধার্য হয়েছে 12514
- গ্রুপ সি গ্রুপ ডির জন্য প্রায় যথাক্রমে শূন্য পদ 2989 এবং 5488
এবার দেখে নেব অতিরিক্ত শূন্য পদ কত থেকে গেল
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো জানিয়েছেন নবম ও দশম শ্রেণীর জন্য আরও অতিরিক্ত শূন্যপদ প্রায় 11517
- গ্রুপ সির জন্য যে অতিরিক্ত শূন্য পদ তা হলো 517
- গ্রুপ ডির জন্য অতিরিক্ত শূন্য পদে রয়েছে 1000 টি
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
প্রশ্ন: পরীক্ষার তারিখ কবে নির্ধারণ হয়েছে?
উত্তর: রাজ্য সরকার জানিয়েছে, চাকরি হারানো শিক্ষকদের জন্য নতুন পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ৩০ মে ২০২৫।
প্রশ্ন: কারা এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন?
উত্তর: শুধুমাত্র যোগ্য চাকরি হারা প্রার্থীরাই এই পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন। যাঁদের যোগ্যতা বাতিল হয়েছে বা অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না।
প্রশ্ন: এই পরীক্ষা কি বাধ্যতামূলক?
উত্তর: হ্যাঁ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে আদালতের নির্দেশ মানতে হবে, তাই পরীক্ষা দিতে বাধ্যতামূলক।
প্রশ্ন: মোট কতটি শূন্য পদ তৈরি হয়েছে?
উত্তর: মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী মোট নতুন শূন্য পদ হয়েছে ৪৪,২০৩ টি।
প্রশ্ন: বিভিন্ন স্তরে কত শূন্য পদ রয়েছে?
উত্তর:
– নবম-দশম শ্রেণি: ২,৩২২ টি
– একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি: ১২,৫১৪ টি
– গ্রুপ C: ২,৯৮৯ টি
– গ্রুপ D: ৫,৪৮৮ টি
প্রশ্ন: অতিরিক্ত শূন্য পদ কত?
উত্তর:
– নবম-দশম শ্রেণি: ১১,৫১৭ টি
– গ্রুপ C: ৫১৭ টি
– গ্রুপ D: ১,০০০ টি
প্রশ্ন: ভবিষ্যতে নতুন প্রার্থীরা কি আবেদন করতে পারবেন?
উত্তর: সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে, যদি পরীক্ষার পরেও অতিরিক্ত শূন্যপদ থেকে যায়, তাহলে সেখানে নতুন করে আবেদন নেওয়া হতে পারে। তবে এখনো কোনো সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি।
এছাড়াও পড়ুন:- সর্বশেষ খবর, সরকারি প্রকল্প, চাকরির খবর