পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরির সেরা, সুবিধাজনক ও নিরাপদ কর্মসংস্থানের সন্ধান 2025

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরি  নিরাপদ, নমনীয় ও সুবিধাজনক ক্যারিয়ারের সন্ধান পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরি সহজে পাওয়া যায় এমন সেরা ও নিরাপদ পেশাগুলি
পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরি নিয়ে নতুন দিশা: কর্মসংস্থান মহিলাদের চাকরি কোথায় সহজে মিলবে? জানুন সেরা বিকল্পগুলি

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরির সন্ধান : সময় যত এগোচ্ছে মানুষের কাজের প্রতি মনোযোগ এবং ইচ্ছা বাড়ছে বর্তমান দিনে শুধু ছেলেরা নয় মেয়েরাও চাকরির জন্য সদা চেষ্টা করে। আগেকার দিনে মহিলাদের পর্দা প্রথার মত একাধিক নিয়ম-কানুন এবং বাড়ির মধ্যে রাখার প্রবণতা ছিল, তবে বর্তমানে দিনকাল যেমন পাল্টেছে তেমনি মানুষের খরচ এবং কাজের চাহিদা বেড়েছে।

তাই শহরের মতো জায়গায় কেবল একজন পুরুষের ইনকামে গোটা সংসার চালানো অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই বর্তমান দিনে ছেলেদের সাথে পাল্লা দিয়ে নারীরাও চাকরির সন্ধান করছে। আজকের প্রতিবেদনে পশ্চিমবঙ্গ এবং সারা ভারতের নারীদের জন্য সম্মান এবং নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কিছু পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরির সুবিধাজনক ও নিরাপদ কর্মসংস্থানের সন্ধান (Best Job Opportunities for Women) অথবা মেয়েদের সরকারি চাকরির খবর 2025 তুলে ধরবো আপনাদের কাছে।

Table of Contents

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সন্ধান (Government and Private Job Opportunities for Women in West Bengal)

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরির চাহিদা যেমন বেড়েছে ঠিক তেমনভাবেই চাকরির পরিমাণ ও অনেক বেড়ে গেছে এবার সরকারি ও বেসরকারি প্রত্যেক ক্ষেত্রেই পুরুষদের থেকেও নারীদের চাহিদা অনেক বেশি। বর্তমান দিনে পুরুষরা কাজের সন্ধান করতে বেরোলে যে পরিমাণ কাজ পান বা যে বেতন পান তার থেকে অনেক জায়গায় নারীদের কাজের সুবিধা অনেক বেশি। কারণ সরকারি ছাড়াও বেসরকারি কাজের ক্ষেত্রে বহু জায়গায় নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়। আমরা নিচে বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি চাকরির তালিকা উল্লেখ করলাম। তারপর প্রত্যেকটা চাকরির বিস্তারিত বিবরণ দেব।

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরির লিস্ট সরকারি ও বেসরকারি

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ সরকারি চাকরির জন্য বেশি আগ্রহ দেখান বেসরকারি চাকরির তুলনায়। তবে বর্তমানে সরকারি চাকরির তুলনায় বেসরকারি চাকরি পাওয়া অনেকটাই সহজ। এবং এবং কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও বেসরকারি ক্ষেত্রে অনেকটা বেশি। যার ফলে সরকারি এবং বেসরকারিকে সমান গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের নারীদের চাকরির ক্ষেত্রে। তাই নিচে কিছু সরকারি ও বেসরকারি চাকরির লিস্ট মেয়েদের জন্য। যেখানে বিবাহিত-অবিবাহিত সমস্ত নারী চাকরিতে আবেদন করতে পারবেন তা নিচে উল্লেখ করলাম।

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের সরকারি চাকরির তালিকা পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের বেসরকারি চাকরি তালিকা
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকনার্স / কেয়ারগিভার
পুলিশ কনস্টেবল (মহিলা)টেলিকলার / কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ
স্বাস্থ্য সহায়িকা (ASHA Worker)স্কুল টিচার (প্রাইভেট)
আঙনওয়াড়ি কর্মীফ্রন্ট ডেস্ক এক্সিকিউটিভ
নার্স (Government Hospital)ডেটা এন্ট্রি অপারেটর
কেরানি (LDC / UDC)একাউন্টস অ্যাসিস্ট্যান্ট
ব্লক অফিস সহকারীরিসেপশনিস্ট
পোস্ট অফিস কর্মীHR / রিক্রুটার
গ্রামীণ ব্যাংক কর্মীবুটিক/টেইলরিং / হস্তশিল্প কাজ
রেলওয়ে গ্রুপ-ডি / ক্লার্ককন্টেন্ট রাইটার / ডিজিটাল মার্কেটিং

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের সরকারি চাকরিগুলির বিস্তারিত বিবরণ

মেয়েদের সরকারি চাকরির খবর 2025 : সরকারি চাকরি বলতে প্রধানত যে চাকরিগুলি মানুষের মনে সবার আগে আসে তার মধ্যে সবচেয়ে আগেই এগিয়ে থাকে শিক্ষকতা চাকরি কারণ এটি সবচেয়ে নিরাপদ এবং সুবিধা জনক কর্মসংস্থান। আর এরপরেই নার্স অঙ্গনওয়াড়ি স্বাস্থ্যকর্মী বিভিন্ন দিকে মনোযোগী হয়ে থাকেন। একের পর এক সরকারি চাকরিগুলির বিবরণ যেগুলো মহিলাদের নিরাপদ এবং সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি ছুটির সংখ্যা বেশি কাজের ক্ষেত্রে সেই সমস্ত চাকরি গুলো উল্লেখ করলাম।

মহিলাদের শিক্ষকতার চাকরির বিবরণ (Teaching Jobs for Women): কিভাবে পাবেন, যোগ্যতা, বেতন, ছুটি

পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলের শিক্ষকতার পেশা মহিলাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় এর একটাই কারণ কাজের সুবিধা, ছুটির সংখ্যা প্রচুর এবং পরিবারের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ থাকে। এবং শিক্ষকতা পেশায় অনেকটা সামাজিক মর্যাদা এবং সম্মান পাওয়া যায়। তাই মহিলারা শিক্ষকতার চাকরি করতে বেশ আগ্রহী বোধ করেন। এই চাকরির দায়িত্ব যেমন ভালো তেমনি কাজের প্রেসার কম। অনেকের আবার ছোট থেকে স্বপ্ন হয়ে থাকে সরকারি চাকরির অথবা শিক্ষকতার। তাই তাদের ক্ষেত্রে এই কাজটি আরো সুবিধা জনক হয়ে থাকে।

মহিলারা শিক্ষকতার চাকরি কিভাবে পাবেন

সাধারণত প্রাথমিক মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রত্যেক বছরই শিক্ষকতার নিয়োগ হয়ে থাকে বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্য সরকার শিক্ষকতা চাকরির নিয়োগ দিয়ে থাকে। শিক্ষকতা চাকরির জন্য উচ্চমাধ্যমিকের পর গ্রাজুয়েশন অথবা গ্যাজুয়েশনের পর মাস্টার ডিগ্রি করে আবেদন করতে পারবেন। তবে তার আগে একটি কোর্স করতে হবে বর্তমানে শিক্ষকতা চাকরির জন্য বিএড অথবা ডি এল এড করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

যে সমস্ত পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরি করতে আগ্রহ রয়েছে শিক্ষকতা পেশায় তাদেরকে মাস্টার্স অথবা গ্রেজুয়েশন করার পর বিএড এবং ডিএলএড কোর্স কমপ্লিট করতে হয়।তার পর টেট কিংবা সিটেট অথবা এসএসসি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে হয়। তবে শুধু মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পড়ানোর জন্য নয় কেউ কেউ চাইলে কলেজে অধ্যাপিকার জন্য আবেদন করতে পারেন তার জন্য তাদের ইউজিসি নেট বা সেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।

মহিলাদের শিক্ষকতা চাকরিতে বেতন ও ছুটি

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের শিক্ষকতার ও চাকরিতে বেতনের দিকে কোনোভাবেই ভাবতে হয় না কারণ শিক্ষকতার জন্য যে বেতন দেয়া হয় পশ্চিমবঙ্গে তাতে একজন মহিলা খুব ভালোভাবে তাদের জীবনযাত্রা অতিবাহিত করতে পারে।

  • প্রাথমিক শিক্ষকের বেতন থাকে প্রায় ২৮ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা প্রত্যেক মাসে
  • মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বেতন থাকে মহিলাদের ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার পর্যন্ত। লেভেল অনুযায়ী কোন ক্ষেত্রে কম বেশি হতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরি নারীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের সহজলভ্য ও সুবিধাজনক চাকরি
পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরি পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরি: সময় এসেছে সঠিক পেশা বেছে নেওয়ার

মহিলাদের শিক্ষকতা চাকরিতে ছুটির পরিমাণ

মহিলারা যে কোনো কাজে বা চাকরিতে যোগদান করার আগে ছুটির দিকে বিশেষভাবে নজর দেন। কারণ অসুস্থতা থেকে শুরু করে মাতৃত্বকালীন ছুটির প্রয়োজন মহিলাদের পড়ে থাকে। সে কারণে ছুটির দিক মহিলারা চাকরির ক্ষেত্রে আগে বিবেচনা করে নেয়। শিক্ষকতার ক্ষেত্রে যে সমস্ত ছুটি গুলো পেয়ে থাকে তা হল।

  • বার্ষিক ছুটি ১৪ দিন মহিলাদের দেওয়া হয়।।
  • কোন অসুস্থতা জনিত ছুটি মহিলাদের ১০ দিন দেয়া হয়।
  • শিক্ষকতা চাকরিতে মাতৃত্বকালীন ছুটি পেয়ে থাকেন ১৮০ দিন অথবা ৬ মাস
  • শিশুর লালন পালনের জন্য দু’বছর পর্যন্ত মাঝে মাঝে ছুটি নিতে পারেন।

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের পুলিশ কনস্টেবল (WBP) চাকরির বিবরণ

মেয়েদের সরকারি চাকরির খবর 2025 : পশ্চিমবঙ্গের পুলিশে মহিলাদের বিশেষ সুযোগ দেয়া হয় যে কাজ শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল বর্তমান সময় এবং চাহিদার উপর নির্ভর করে মহিলাদের কনস্টেবল এ প্রচুর সুযোগ দেয়া হয়। শুধু কনস্টেবল নয় সময়ের সাপেক্ষে পুলিশ বিভাগে মহিলাদের একের পর এক অগ্রগতিও করা হয় সাব ইন্সপেক্টর থেকে শুরু করে আই পি এস অফিসার এ পর্যন্ত মহিলাদের সুযোগ দেয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশিভাগে মহিলারা প্রচুর আগ্রহী হয়ে থাকেন কারণ এটি যেমন চ্যালেঞ্জিং ঠিক তেমনি সম্মানজনক। এই কাজের মধ্যে প্রচুর ঝুমকি থাকে তবুও বহু মহিলা দায়িত্ব নেওয়ার সাহস দেখাচ্ছেন এবং এই কার্য যুক্ত হচ্ছেন এবং সমাজকে ইতিবাচক দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

মহিলারা পুলিশের চাকরি কিভাবে পাবেন

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরি করার ইচ্ছা শক্তি যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি চাকরির ক্ষেত্রেও মহিলাদের পদের সংখ্যা বেড়েছে।সাধারণত পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ক্ষেত্রে মহিলাদের আবেদন করতে হলে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়স হতে হবে এবং কমপক্ষে দশম শ্রেণী পাস করা বাধ্যতামূলক। প্রতিনিয়ত পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (https://wbpolice.gov.in/) আবেদনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। অনলাইনে লক্ষ্য রাখলে ওই ওয়েবসাইটে আবেদন প্রক্রিয়া এবং আবেদনের তারিখ বিস্তারিত জানতে পারবেন।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে মহিলা কনস্টেবল নিয়োগের বিস্তারিত তথ্য : সাধারণত ১৬০ সেমি উচ্চতা এবং ৪০০ মিটার দৌড়ানোর ক্ষমতা 4 মিনিটে থেকে থাকলে (অনেক সময় বিজ্ঞপ্তিতে পরিবর্তন করা হয় সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি রাখতে হবে) আবেদন করতে পারবেন। প্রথমে লিখিত পরীক্ষা তারপর দৈহিক মাপঝোক এবং এরপরে মেন পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ হলে পুলিশ পরীক্ষায় যুক্ত করা যায় তার জন্য প্রতিনিয়ত সাধারণ জ্ঞান গণিত বাংলা এবং ইংরেজিতে চর্চা করতে হবে আর সেইসাথে শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখতে হবে।

মহিলাদের স্বাস্থ্য সহায়িকা (ASHA Worker) চাকরির বিবরণ

মহিলাদের চাকরির আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হলো আশা স্বাস্থ্যকর্মী সময় যদি এগোচ্ছে চাকরির চাহিদা যত বাড়ছে দিনে দিনে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার নতুন নতুন চাকরি নিয়ে আসছে বাংলার জন্য। পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চাকরির সুযোগ হচ্ছে আশা ওয়ার্কার। এ সমস্ত কর্মীদের প্রধান দায়িত্ব হল গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত পরামর্শ এবং সহযোগিতা । এছাড়াও টিকা দান পরিবার পরিকল্পনা এবং পুষ্টি সংক্রান্ত সচেতনতা দিয়ে থাকে স্বাস্থ্য সহায়ক বা আশা ওয়ার্কাররা। তার সাথে প্রসবের পূর্বে এবং প্রসবের পরবর্তী যত্নে সহায়তা করে থাকে এই আশা কর্মীরা। তার সাথে বিভিন্ন স্বাস্থ্য শিবিরের অংশগ্রহণ ও তথ্য সংগ্রহ করে থাকে এই আশা কর্মীরাই। তাই বর্তমানে মহিলাদের চাকরির এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ আশা ওয়ার্কার।

স্বাস্থ্য সহায়িকা বা আশা চাকরি (ASHA Worker) কিভাবে পাবেন মহিলারা।

ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাস করে থাকলে আবেদন করতে পারবেন। তাই কম যোগ্যতায় এ চাকরিটি মহিলাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাড়িতে থেকে বাড়ির কাছাকাছি এই চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন তাই অনেক মহিলারাই আশা কর্মীর চাকরি করতে চাই। সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ বছরের বয়সের মধ্যে এই চাকরি করতে পারেন। ৬০ হাজার টাকা প্রতি মাসে। সাধারণত স্থান হয়ে থাকে নিজের গ্রামে বা ওয়ার্ডে।

মহিলারা সমাজসেবামূলক কাজ করার সুযোগ পানি চাকরির মাধ্যমে এবং সম্মানজনক নিরাপদ কর্মসংস্থান। বিভিন্ন সময় বিশেষ জেলাভিত্তিক আশা কর্মীর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সরকারি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লক্ষ করুন অথবা গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস থেকেও জানতে পারবেন আশা কর্মীর নিয়োগের কথা। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে তা পূরণ করে আশা কর্মীদের আবেদন করতে পারবেন।

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের আঙনওয়াড়ি কর্মী চাকরি বিস্তারিত বিবরণ

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরির সুযোগ করে দিয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ। প্রত্যেক বছর বহু সংখ্যক মহিলারা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসেবে চাকরি পেয়ে থাকেন। সময় যত এগোচ্ছে এই চাকরির প্রতি মানুষের ইচ্ছা শক্তি ও আগ্রহ বাড়ছে। অঙ্গনবাড়ী নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণত দুটো আলাদা আলাদা পদে নিয়োগ হয়ে থাকে প্রথমত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বা অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কার অন্যটি হলো অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা কর্মী।

সাধারণত ছোট বাচ্চাদেরকে প্রাথমিক শিক্ষা ও পরিচর্যা করার জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়কদের নিয়োগ করা হয়। শূন্য থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য এবং শিশুকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া। গর্ভবতী এবং স্তন্যদায়ী মহিলাদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে সহায়তা দিয়ে থাকে এই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরির ক্ষেত্রে অঙ্গনওয়াড়ি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এর কারণ এটি কেন্দ্র সরকারের চাকরি এবং যথেষ্ট সম্মানীয়।

পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা অঙ্গনওয়াড়ি চাকরি কিভাবে পাবে

নূন্যতম মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে থাকলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীতে আবেদন করা যায় এবং অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা পদে আবেদনের জন্য অষ্টম শ্রেণী পাস করতে হয়। ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়স হলে যে কোন মহিলারা এই পদে আবেদন করতে পারেন সাধারণত ৪৫০০ থেকে ৬০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন দেয়া হয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর ক্ষেত্রে এবং অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা পদে বেতন দেয়া হয় আড়াই হাজার থেকে চার হাজার টাকার মধ্যে। জেলা সমাজ কল্যাণ দপ্তর আইসিডিএসের মাধ্যমে নিয়োগ হয়ে থাকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। প্রথমে পরীক্ষা তারপরে মেধা তালিকা এর পরে ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে যাচাই হয়ে অঙ্গনওয়াড়ি পরীক্ষায় নিয়োগ হয়।

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নার্সের চাকরির (Government Hospital) বিস্তারিত বিবরণ

স্বাস্থ্য ক্ষেত্র বা স্বাস্থ্য পরিষেবা এমন একটি জায়গা যেখানে মহিলাদের উপস্থিত স্বাভাবিকভাবে উল্লেখযোগ্য। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের নামটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারণ দীর্ঘদিন ধরেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নার্সের অবদান অনেকটাই সরকারি হাসপাতালে বিশেষ করে নার্সের ভূমিকা অনেক অনেক। গ্রামের এবং শহরের মহিলারা নার্সের চাকরিকে অনেকটাই গুরুত্ব দেয়। কারণ নার্সের চাকরি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে মানবিক এবং সহানুভূতির কাজ। তবে নার্সের চাকরি করতে গেলে পশ্চিমবঙ্গে জিএনএম এবং এএনএম প্রশিক্ষণ নিয়ে নার্সের চাকরি করতে পারবেন।

মহিলারা কিভাবে নার্সের চাকরি পাবেন

পশ্চিমবঙ্গে নার্সিং ও স্বাস্থ্য দপ্তরে মহিলাদের চাকরি : গ্রামের এবং শহরাঞ্চলে সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি পাওয়ার জন্য প্রথমে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর জি এন এম অথবা এ এন এম প্রশিক্ষণ নিতে হয়। আরে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সার্টিফিকেট দেয়া হয়। তারপর স্বাস্থ্য দপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নার্স এবং বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্যকর্মীর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে, এন এম এবং জি এন এম যোগ্যতা অনুসারে আবেদন করতে হয়। তারপরে বিজ্ঞপ্তি নিয়ম অনুসারে পরীক্ষা কিংবা ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে সরাসরি চাকরিতে যোগদান করা হয়। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কাজের উপর এবং দক্ষতার উপর ভিত্তি করে নার্সিং প্রফেশনের বেতন নির্ধারণ করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা পোস্ট অফিস কর্মী নিয়োগে বিস্তারিত বিবরণ

কেন্দ্র সরকারের পোস্ট অফিসের চাকরির ক্ষেত্রে মহিলাদের দিনের পর দিন অগ্রগতি দেখা গিয়েছে। পুরুষদের সাথে সাথে এবার মহিলারাও গ্রামীণ ডাক সেবক বিপিএম বা এ বি পি এম পদে চাকরি করে থাকেন। মাধ্যমিক পাস করে থাকলে গ্রামীণ ডাক সেবক এর পদে বা gds পদে আবেদন করা যায়। এক্ষেত্রে সাধারণত মহিলাদের পোস্ট অফিসের জিডিএস বিপিএম বা এবিপিএম পদে চাকরি দেয়া হয় তবে মাধ্যমিকের নম্বরের উপর ভিত্তি করে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের পোস্ট অফিসের কর্মী নিয়োগে মহিলাদের কোন পরীক্ষা দিতে হয় না মাধ্যমিকে যাদের বেশি নম্বর আছে তাদেরকে আগে সুযোগ দেয়া হয়।

এদের মূল কাজ হচ্ছে নিজের এলাকায় পোস্ট অফিসের কাজ পরিচালনা করা ডাক বিতরণ টাকা লেনদেন স্পিড পোস্ট এবং গ্রামের চিঠিপত্র বিলি পোস্ট অফিসের সমস্ত পরিষেবা প্রদান করে থাকে এরা

পশ্চিমবঙ্গের ডাক বিভাগে মহিলারা কিভাবে চাকরি করবেন

পশ্চিমবঙ্গে পোস্ট অফিসে চাকরি পাওয়ার জন্য নূন্যতম মাধ্যমিক পাস করতে হবে। তার সাথে অবশ্যই কম্পিউটার সার্টিফিকেট প্রয়োজন। তাই যারা মাধ্যমিকে খুব ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন তারা মাধ্যমিক পাস করার পরেই উচ্চমাধ্যমিক করার সাথে সাথে একটা কম্পিউটার কোর্স করে নেবেন। প্রত্যেক বছর নির্দিষ্ট সময়ে পোস্ট অফিসের গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয় আর সেখানে আবেদন করতে পারবেন প্রত্যেক মাধ্যমিক পাস ছাত্রছাত্রীরা যাদের কম্পিউটার সার্টিফিকেট আছে।

মূলত কম্পিউটার সার্টিফিকেট এবং মাধ্যমিকের নম্বর ভালো থাকলেই পশ্চিমবঙ্গের যে কোন মহিলা নির্দিষ্ট বয়সের আবেদন করলে পোস্ট অফিসে চাকরি পেয়ে যাবেন। মেয়েদের বাইরে যেতে হয় না এই কাজের জন্য বাড়ির কাছাকাছি পোস্ট অফিসে চাকরি পাওয়ার সুযোগ থাকে তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পোস্ট ফাঁকা না থাকলে বাইরে যেতে হয়। পোস্ট অফিসে চাকরিতে স্থায়িত্ব থাকায় কাজের সুবিধা অনেক ভালো এবং সহজ।

আরো কিছু সরকারি চাকরি রয়েছে যেখানে বিবাহিত এবং অবিবাহিত মহিলারা আবেদন করে চাকরি করতে পারেন

রেলওয়ে গ্রুপ-ডি / ক্লার্ক : বর্তমানে রেলওয়ে গ্রুপ ডি নিয়োগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চাকরির সুযোগ রয়েছে মহিলাদের। মাধ্যমিক পাস এবং আইটিআই পাস করে থাকলে প্রচুর ক্যান্ডিডেট বর্তমানে রেলওয়ে চাকরি করে থাকেন। গ্রুপ ডি কো চাকরি বা ক্লার্ক পদে চাকরি করার জন্য নির্দিষ্ট ফর্মে ফিলাপ করে প্রচুর মহিলারা আবেদন করতে পারবেন সরকারি এবং কেন্দ্র সরকারি চাকরি হয়েছে। রেলওয়ে গ্রুপ ডি চাকরির ক্ষেত্রে ঝুঁকি সামান্য থাকলেও বেতন খুব ভালো রয়েছে এবং ভবিষ্যতে ক্রমশান ও পাওয়া যায়। তাছাড়া বিভিন্ন সরকারি অফিসে রাজ্য সরকারের ক্লার্ক পদে আবেদন করতে পারেন মহিলারা। এতে এমন কিছু বিশেষ পরীক্ষাও দিতে হয় না সামান্য পরীক্ষাতে ভালো নাম্বার পেলেই ক্লার্ক পদে নিয়োগ হয়ে যায়।

গ্রামীণ ব্যাংক কর্মী : নারীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের সহজলভ্য ও সুবিধাজনক চাকরি গ্রামীণ ব্যাংক কর্মী পদে চাকরি। এক্ষেত্রে এইট পাশ থেকে মাধ্যমিক পাস সমস্ত বিভাগে আলাদা আলাদা চাকরি পেয়ে থাকেন গ্রামীণ ব্যাংকে। এর জন্য নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে বা যোগাযোগ করে গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি পেয়ে থাকেন। ব্যাংকের বিভিন্ন রকম মানুষের ফরম ফিলাপ এবং হিসাব কিতাব করার জন্য সাহায্য করতে হয় গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মীদের। এক্ষেত্রে বেতন প্রায় ছয় হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা হয়ে থাকে এবং বাড়ির কাছাকাছি চাকরি করার সুযোগ পেয়ে থাকেন মহিলারা।

মাধ্যমিক কিংবা অষ্টম শ্রেণী পাস করে থাকলে অবশ্যই আপনার পার্শ্ববর্তী ব্যাংকে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন কোন ভেকেন্সি রয়েছে কিনা কারণ মহিলাদের জন্য গ্রামীণ ব্যাংকে ভালো সুযোগ থাকে। ১০ম ও ১২শ পাশ মহিলাদের চাকরি একটি ভালো সুযোগ গ্রামীণ ব্যাংক কর্মী কারণ এই যোগ্যতায় খুব সহজেই গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি পাওয়া যায়।

ব্লক অফিস সহকারী : পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের জন্য আদর্শ ও সুবিধাজনক চাকরির মধ্যে ব্লক অফিসে চাকরি কে খুবই উল্লেখযোগ্য হিসেবে ধরা হয়। এই চাকরিগুলোতে খাটনি তেমন থাকে না মাথার উপর প্রেসার পড়ে না বেশিরভাগ সহকারী কর্মীরা ব্লক বা বিডিও অফিসের ছোটখাটো কাজের সাহায্য করে থাকেন। অষ্টম কিংবা দশম শ্রেণী পাস করে থাকলে ব্লক বা বিডিও অফিসে চাকরি পাওয়া যায়। অনেকে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে ব্লক অফিসে চাকরি করে থাকেন। এক্ষেত্রে তেমন পরীক্ষা হয় না বা অনেক ক্ষেত্রে সামান্য পরীক্ষা হয়ে থাকে। ভ্যাকেন্সি প্রকাশ হলে যোগাযোগ করতে পারেন আপনার নিকটবর্তী ব্লক অফিসে পশ্চিমবঙ্গের মেয়েদের জন্য নতুন সরকারি চাকরি ব্লক অফিসে প্রকাশ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

কেরানি (LDC / UDC) : যে চাকরিগুলো পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ও সুবিধাজনক তারমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চাকরি হচ্ছে কেরানি বা লোআর ডিভিশন ক্লার্ক । সাধারণত অষ্টম শ্রেণী পাস করে থাকলে এবং মাধ্যমিক পাস করে থাকলে বিভিন্ন রকম কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের অফিসে পরীক্ষার মাধ্যমে কেরানী পদে নিযুক্ত হতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরির সুযোগ পাওয়া যায় বিভিন্ন রকম স্টাফ সিলেকশন কমিশনের ক্লারকে নিয়োগ এমন কি গ্রুপ ডি এসএসসি তরফ থেকে নিয়োগ করা হয়ে থাকে সেখানে কেরানি পদে চাকরি পেতে পারেন। এক্ষেত্রে বেতন ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে প্রায়। কোন কোন ক্ষেত্রে কাজের মান অনুযায়ী বেতন কম হতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের বেসরকারি চাকরিগুলির বিস্তারিত বিবরণ

মেয়েদের বেসরকারি চাকরির খবর 2025 : বর্তমানে সরকারের কাজের সুযোগ-সুবিধা অনেক কম থাকায় বেসরকারি ক্ষেত্রে অনেক মানুষ কাজের জন্য মন দেন। পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরির অনেক সুযোগ করে দিয়েছে বেসরকারি ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রাইভেট স্কুল থেকে শুরু করে অফিস, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসরকারি চাকরি করতে পারে মহিলারা। পশ্চিমবঙ্গের নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য চাকরির বিশেষ সুযোগ দিয়ে থাকে। বর্তমানের ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে শুরু করে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরে ও এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় চাকরি সুযোগ থেকে যায় মহিলাদের।

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরি নারীদের জন্য কর্মজীবনের সেরা ঠিকানা: পশ্চিমবঙ্গের সুবিধাজনক চাকরির তালিকা
পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরি নারীদের উপযোগী পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে সুবিধাজনক চাকরি

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের প্রাইভেট স্কুল টিচার চাকরি বিস্তারিত বিবরণ

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের বেসরকারি চাকরির সুযোগ আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে গেছে কারণ এখন সরকারি স্কুলের থেকেও প্রাইভেট স্কুলগুলোতে আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। তাই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরি পাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে বেসরকারি ক্ষেত্রে। প্রাইভেট স্কুলের সাধারণত দুই ধরনের চাকরি হয়ে থাকে পার্ট টাইম এবং ফুলটাইম জব। নূন্যতম উচ্চ মাধ্যমিক পাস করলেই ছোট প্রাইভেট স্কুলে পড়ানোর সুযোগ পেয়ে যাবেন। তবে ইংরেজি প্রাইভেট স্কুলগুলোতে অবশ্যই ইংরেজিতে সাবলীল হতে হবে। এবং ভালো পড়ালে পরবর্তীকালে প্রাইভেট স্কুলগুলোতে পড়ানোর অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি করা হয়।

প্রাইভেট স্কুলগুলোতে বেতন সাধারণত ৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি মাসে দেয়া হয়ে থাকে। কিছু কিছু ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের বেতন কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত দেয়া হয়। তবে গ্রামের দিক থেকে সুযোগ সুবিধা কম থাকলেও শহরের দিকে প্রাইভেট স্কুলে প্রচুর সুযোগ থাকে। বর্তমানে গ্রামের দিকেও প্রচুর নার্সারি প্রাইভেট স্কুল চালু হয়েছে সেখানেও মহিলারা কথা বলে বা বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে চাকরি করতে পারেন। বর্তমানে গ্রামের কাছাকাছি বা গ্রাম থেকে শহরের মাঝামাঝি প্রচুর নার্সারি স্কুল তৈরি হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ মহিলাদের জন্য চাকরির সুবিধা ও পথ প্রশস্ত হয়েছে। কলেজ পড়ুয়া ও গৃহবধূ মেয়েদের জন্য সহজ বেসরকারি চাকরি যারা করতে চায় তারা প্রাইভেট স্কুলে যোগাযোগ করতে পারে।

ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে মেয়েদের চাকরি বিস্তারিত বিবরণ

ফ্রেশার মেয়েদের জন্য বেসরকারি চাকরির সেরা ক্ষেত্র ডাটা এন্ট্রি অপারেটর খুব ভালো সুযোগ ২০ থেকে ২৫ টি শব্দ প্রতি মিনিটে ভালো টাইপ করতে পারলে এবং কম্পিউটারের দক্ষতা থাকলে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের পথে আবেদন করতে পারবেন। পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরি সুযোগ এনে দিয়েছে বিভিন্ন রকম বেসরকারি সংস্থা যেখানে কম্পিউটার স্কিল টেস্ট এবং টাইপিং টেস্ট নেয়া হয় তারপর ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হয় যেখানে কাজ থাকে কম্পিউটারের তথ্য ইনপুট এক্সেল এবং সফটওয়্যারের ফরম ফিলাপ করা। যাচাই এবং সংশোধন করা। ই-মেইল এবং ফাইল তথ্য খতিয়ে দেখা প্রভৃতি কাজ হয়ে থাকে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরে।

১০ম ও ১২শ পাশ মেয়েদের জন্য বেসরকারি চাকরির সুযোগ যারা খুঁজছেন তাদের জন্য ডাটা এন্ট্রি অপারেটর খুবই ভালো একটি পদ বেতন সাধারণত ৬০০০ থেকে ১৫ হাজার কোথাও বা ১২ হাজার থেকে পঁচিশ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। নূন্যতম উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে থাকলে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের পদে চাকরি পাওয়া যায়। তবে কম্পিউটারের ভালো দক্ষতা থাকা জরুরী অনেক সময় ওয়ার্ক ফ্রম কাজ হতে পারে।

বেসরকারি নার্সিং চাকরি

সময় যত এগোচ্ছে মেয়েরা চাকরির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে আর এমনই সময় বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিংহোমে চাকরির সুযোগ পাচ্ছে মেয়েরা। যারা জিএনএম এবং এন এম পাস করে এসেছে বাইরে রাজ্য থেকে কিংবা পশ্চিমবঙ্গে তাদের ও বেসরকারি সংস্থাগুলো চাকরির সুযোগ দিয়ে থাকে কম বেতনে। তবে যাদের কাছে সার্টিফিকেট থেকে থাকে তাদের জন্য ভালো সুযোগ থাকে বেসরকারি নার্সিংহোমে চাকরি করার। পশ্চিমবঙ্গে নার্সিং ও স্বাস্থ্য দপ্তরে মহিলাদের চাকরি যারা চেষ্টা করছেন তারা সচরাচর চাকরি না পারলে বেসরকারি নার্সিংহোমগুলোতে চাকরি করে দক্ষতা বাড়াতে পারেন। ভবিষ্যৎ এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট দেখিয়ে আপনি বেতন বেশি পেতে পারেন অন্য জায়গায় চাকরি পেলে।

মহিলাদের বুটিক/টেইলরিং / হস্তশিল্প কাজ বিস্তারিত বিবরণ

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরি সরকারি বেসরকারি জায়গায় রয়েছে তাছাড়া নিজের মতো করে যদি কোন আর্নিং করতে চান সেক্ষেত্রে বুটিক টেলারিং হস্তশিল্পের কাজের সাথে যুক্ত থাকতে পারেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানিও আপনাকে সাহায্য করতে পারে অথবা নিজেই কোন সংস্থার আন্ডারে কাজ করতে। এমনকি কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার ও হস্তশিল্পের উপর বর্তমানে অনেক জোর দিয়েছে। গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর গড়ে তুলতে হস্তশিল্প টেলারিং এবং বুটিক বিভিন্ন রকম কাজের উপর লোন এবং সুবিধাও পাওয়া যায়। এছাড়া হস্তশিল্পের মাধ্যমে মহিলারা ইনকাম করতে পারেন বিভিন্ন রকম সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করে আমাজন ফ্লিপকর্ত এর মাধ্যমে হস্তশিল্পের প্রচুর জিনিস বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে সৌন্দর্যের জন্য।

তবে আপনি হস্তশিল্পে কোনরকম দক্ষতা না থাকলেও সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন মহিলা প্রশিক্ষণ প্রকল্প এবং ঋণের সুবিধার মাধ্যমে আপনাকে প্রথমে প্রশিক্ষণ দিয়ে তারপরে বিভিন্ন দ্রব্য কেনার জন্য টাকাও দেয়া হবে। এমনকি প্রয়োজন হলে আপনার দ্রব্যাদি বিক্রির জন্য হাটের ব্যবস্থাও করে দেওয়া রাজ্য সরকার। বাংলার গ্রামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর করতেই এমন প্রকল্প নিয়ে আসছে রাজ্য সরকার থলে মহিলাদের সুযোগ অনেক বেড়ে যাচ্ছে।

এছাড়া আরো অনেক বেসরকারি সংস্থায় কাজ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি নিজেকে স্বনির্ভর করে তুলতে পারেন

মহিলাদের কল সেন্টারে চাকরি:- অষ্টম পাস করে থাকলেই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার আন্ডারে আপনি কল সেন্টার চাকরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে ৬ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন হতে পারে আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে। এখানে পরীক্ষা দেওয়ারও কোন প্রয়োজন তেমন পড়ে না তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ হয়ে থাকে কল সেন্টারে চাকরি পাওয়ার জন্য। অনেক সময় ওয়ার্ক ফ্রম হোম বাড়িতে বসেও কল সেন্টারে কাজ করতে পারেন।

মহিলাদের রিসেপশনিস্ট পদে চাকরি : – বর্তমান সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরি বেসরকারি কিংবা সরকারি সমস্ত ক্ষেত্রেই অনেকটাই জটিল হয়ে পড়ে। কারণ অত্যধিক শিক্ষার হার এবং কর্মসংস্থানের অভাব এমনই সময় রিসিভসনিস্ট আপনাকে দারুন সুযোগ দিতে পারে উপার্জনের। বর্তমান সময়ে রিসেপশনের হিসেবে কাজ করতে হলে ন্যূনতম উচ্চ মাধ্যমিক বা স্নাতক পাস হওয়া জরুরী। এই চাকরি অনেকটাই অফিস ভিত্তিক ফোন রিসিভ করা ভিজিটরদের সঙ্গে কথা বলা তথ্য নেওয়া নির্দিষ্ট বিভাগে গাইড করা তেমন কোন কঠিন পরিশ্রমে চাকরি নয়।

পোস্টটি মহিলাদের জন্য উপযুক্ত কারণ তুলনামূলকভাবে এটি সুরক্ষিত এবং ভালো পরিবেশে চাকরি পাওয়া যায় শারীরিক পরিশ্রমও কম।আপনি যদি রিসিপশনি পরে আগ্রহ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার স্থানীয় স্কুল প্রাইভেট অফিস কিংবা হোটেল গুলোতে বিজ্ঞপ্তি আছে কিনা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন কারণ মহিলাদেরকে বেশিরভাগ রিসেপশনিস্ট পদে চাকরি দেয়া হয়।

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরি সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন উত্তর উল্লেখ করা হলো (FAQ)

১/ পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি চাকরি গুলো কি কি?

উ: পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের জন্য যে সমস্ত সরকারি চাকরিগুলো রয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ি চাকরি আশা কর্মী, পোস্ট অফিসের, স্কুল শিক্ষিকা পদে চাকরি, মহিলা পুলিশ কনস্টেবল চাকরি, স্বাস্থ্য দপ্তরে সরকারি হাসপাতালে চাকরি।

২/ মহিলারা মাধ্যমিক পাস করে থাকলে কোন কোন চাকরিতে আবেদন করতে পারবেন ?

উ: পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা মাধ্যমিক পাস করে থাকলে অঙ্গনওয়াড়ি সহায়ক পদে আবেদন করতে পারবেন, পোস্ট অফিসের গ্রুপ ডি চাকরিতে আবেদন করতে পারবেন বা জিডিএস, পুলিশ কনস্টেবল পদে মাধ্যমিক পাশে আবেদন করা যায়।

৩/ পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা অষ্টম পাস করে থাকলে কোন চাকরিতে অবদান করতে পারবেন ?

উ: পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা অষ্টম পাস করে থাকলে অঙ্গনওয়াড়ি সহায়ক পদে আবেদন করতে পারবেন। রাজ্য সরকারের ক্লার্ক ও গ্রুপ ডি পদে আবেদন করতে পারবেন।

৪/ পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরির ছুটি বেশি পাওয়া যাবে কোন পেশার চাকরিতে ?

উ: পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের শিক্ষকতা পেশায় ভালো ছুটি পাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্যান্য পেশায় ও মহিলাদের জন্য আলাদা ছুটির ব্যবস্থা থেকে থাকে।

৫/ পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা বাড়ির কাছাকাছি কোন চাকরিতে কাজ করতে পারেন?

উ: পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা চাকরি করতে চাইলে তাও আবার বাড়ির কাছে স্বাস্থ্য দপ্তরের আশা ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করতে পারেন, এছাড়া অঙ্গনওয়াড়ি চাকরিতেও বাড়ির কাছে কাজের সুযোগ থাকে, এমনকি পোস্ট অফিসেও অনেক ক্ষেত্রে বাড়ির কাছাকাছি বসে সুযোগ পাওয়া যায় চাকরি করার। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়ির বাইরেও যেতে হয়।

1 thought on “পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের চাকরির সেরা, সুবিধাজনক ও নিরাপদ কর্মসংস্থানের সন্ধান 2025”

Leave a Comment

Facebook WhatsApp Share
পাকাবাড়ি লক্ষীভান্ডার 10পাস চাকরি আবহাওয়া আজকের খবর কলকাতার খবর সোনার দাম বাসের সময়সূচী মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক