
দুষ্টুমির খেলা খেলবেন না : ভোট আসতে বিরাট বড় ঘোষণা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ২০২৬ এর খেলা যে আরো জোর কদমে নামতে হবে তা আবারও মনে করিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সাথে বললেন দুষ্টুমির খেলা না খেলতে এতে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য গোটা বাংলা জুড়ে।
বহুদিন ধরে বিজেপি তৃণমূলের রাজনৈতিক লড়াই এবার সামনে এসেছে এবার আরো এক নতুন তথ্য সামনে আসতেই গোটা বাংলা কেঁপে যাচ্ছে। বিধানসভায় মমতা ব্যানার্জি বিজেপির করা কড়া বার তার জবাব।
দুষ্টুমির খেলা খেলবেন না বার্তা মমতা
স্পষ্ট বলেন আমি কোন হিংসা রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনা। যোগ্য জবাব দিয়েছেন মমতা। আর সেই সাথে আরো বলেন আপনাদের প্রত্যেকটা ভাষার যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য মানুষ তৈরি হচ্ছে।
শুধু এটাই থেমে থাকা নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি স্বাস্থ্য সাথে নিয়েও বিরাট ঘোষণা করলেন। আগামী দিনে যে সমস্ত জবাব ভোট বাক্সের মাধ্যমে ডিজিটাল মমতা ব্যানার্জি সে কথা আরও একবার জোর কদমে বুঝিয়ে দিলেন। মমতা বলেন ফুটবল খেলুন ক্রিকেট খেলুন তবে দুষ্টুমির খেলা খেলবেন না।
এছাড়াও পড়ুন:- সর্বশেষ খবর, সরকারি প্রকল্প, চাকরির খবর
বাংলায় খেলা হবে স্লোগান একসময় ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার হয়ে কাজে লাগিয়েছে তৃণমূল। আর এবার সেই খেলা হবে কথার মাঝে মমতা বললেন দুষ্টুমির খেলা খেলবো না। ফুটবল খেলবো ক্রিকেট খেলব। আর তাড়াতাড়ি অনেকটা সাবধানতার বার্তা দিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ইফতারে গিয়ে বিরোধীদের জবাব দিয়েছেন আমি সমস্ত পুজো করি লক্ষী পূজা করি কালী পূজা করি তখন কোন প্রশ্ন করা হয় না আর এবার ইফতারে গিয়েই বিরোধীদের একের পর এক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
সময় যত এগিয়ে আসছে ভোটের প্রস্তুতি তত জোরদার শুরু হয়ে যাচ্ছে। শুভেন্দু মমতা মুখোমুখি লড়াই করবেন কিনা তা নিয়েও জল্পনা চলছে । আর এবার দেখার ২০২৬ এর ভোটে হাইভোল্টেজ আসন কোথায় হয়।
তবে ২০২৬ এর আগে বিরাট বড় ধাক্কা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হতে
২০২৬ সালের ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে একের পর একদল আর এমনই সময় 2016 সালের 26 হাজার চাকরি বাতিল যেন ২০২৬ এর ভোটকে নাড়িয়ে দিতে পারে এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২৬০০০ শিক্ষক-শিক্ষিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনভাবেই আটকাতে পারলো ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীর ভবিষ্যৎ। এই ২৬ হাজার শিক্ষকের চলে যাওয়া স্কুলে যেমন হাহাকার তৈরি হবে তেমনি কোটা সমাজ মাধ্যমেও প্রভাব পড়বে। এর দাগ সহজে মুছে ফেলা যাবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন তার আমলে ২৬ হাজার চাকরি দুর্নীতির কারণে বাদ পড়েছে। আর সেখানে আরো এক প্রশ্ন বাছা গেল না।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি কোনভাবেই এই দাবীকে মেনে নিতে পারছেন না এমনকি বিরোধীদের দিকে আঙ্গুল তুলতেও ছাড়েননি । কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেলে তার দায়ভার নিতে হবে বিজেপি সিপিএমকে এমনই করা আওয়াজ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এর সাথেই 26000 শিক্ষক শিক্ষা কর্মীকে কারাযোগ্য করা যায়নি বলে জানিয়েছে আদালত। হাইকোর্ট প্রথমে এই রাইট দিয়েছিল সমস্ত প্যানেল বাতিলের তবে সেই রায় না মেনে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার তাতেও শেষ রক্ষা হলো না শেষমেষ বাতিল হয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরির ভবিষ্যৎ অন্ধকারে।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশে রয়েছি ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকাকে কিভাবে ন্যায় দেওয়া যেতে পারে তার ভাবনা চিন্তা করে ছাড়ছে সরকার। তবে আদালত জারি করেছে যে নিয়ম তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ করতে হবে আর তা শুনে চোখে মুখে ঝাপসা দেখছে এসএসসি কারণ তিন মাসের মধ্যে এত বড় একটা নিয়োগ করা কোনভাবেই সম্ভব নয় তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। যার ফলে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীরা যারা চাকরি থেকে বরখাস্ত বা বঞ্চিত হয়ে গেলেন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেল।
বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা কেঁদে কুল পাচ্ছেন না কিভাবে তারা বাড়ি যাবেন কারণ তাদের বাড়িতে বাবা-মার কারো কারো লোন নেওয়া আছে জায়গা জমি কেউ কেউ লোন নিয়ে বাড়ি বানিয়েছেন তাদের কি হবে। আর এত বছর পর তারা নতুন করে কোথায় বা চাকরি খুঁজে পাবেন সেই চিন্তায় তাদের ঘুম উড়ে যাচ্ছে সেই 26000 শিক্ষক শিক্ষা কর্মীদের। কি হবে তাদের ভবিষ্যৎ তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন সকলে।
পূর্বে হাইকোর্টের নির্দেশ দিয়েছিল কোনভাবেই শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের মধ্যে কারাযোগ্য কারা অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব নয় তাই সমস্ত পেনাল বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তখন ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদ করেছিলেন চারিদিকে একটা অন্যরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তারপরে বিদ্যালয় ঢোকার নিষেধ ছিল স্কুল শিক্ষকদের। তবে কিছুদিন পর পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যান সেই কেসকে। আর সমস্ত শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীকে চাকরিতে নিযুক্ত থাকতে বলেন তবে তাতেও শেষ রক্ষা হলো না।
সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে তাতে কারাযোগ্য কারা অযোগ্য বাছাই করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই সমস্ত প্যানেলে বাতিল করার সিদ্ধান্তকে উত্তম বলে মনে করেছেন তারা।
তবে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হওয়ার পর তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সমাজের যেমন চিন্তা তেমনই যারা এই দুর্নীতির জন্য চাকরি পেল না তাদের নিয়েও চিন্তা থেকে যায়। এত কিছুর পরে ২৬ এর বিধানসভা ভোটে কি হবে বাংলায়, বিজেপি সরকার এবার ক্ষমতা নেওয়ার চেষ্টা করছে 26 হাজার চাকরি বাতিলের ইসুকে হাতিয়ার করে তারা আন্দোলনে নেমে পড়েছে। সামনেই রামনব আমি আর তার আগে যেমন মিছিলের পরিকল্পনা চলছে আর তেমনি 26000 চাকরি হারাদের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি একের পর এক মিটিং মিছিল করছে।
তবে শুধু চাকরি বাদিল নয় যারা অযোগ্য হিসেবে প্রমাণ হয়েছেন তাদের প্রত্যেককেই ১২% সুদে চার সপ্তাহের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে সরকারকে। যার ফলে তারা সমস্যার মুখে পড়ে যাবেন তাদের ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নিয়ে অনেকটাই চিন্তাভাবনা থাকবে। কিভাবে তারা ১২% হারে এত টাকা ফেরত দিবেন তার দিকেও চিন্তা থেকে যাচ্ছে। যার ফলে ২০২৬ এর বিধানসভা ভোট অনেকটাই হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে।
শুভেন্দু অধিকারী বিরাট বড় বার্তা দিচ্ছেন একের পর এক ঘোষণা এবং শ্লোগান করেই যাচ্ছেন যেখানে রাজ্য সরকারের দায় পুরোটা নিতে হবে এত পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে যে তারাযোগ্য অযোগ্য পৃথকই করতে পারল না। আর অপরদিকে বিজেপিতে যোগদান করা তার নেতা যিনি কিছুদিন আগেই বিচার ব্যবস্থার অধীনে ছিলেন তিনিও জানিয়েছেন একটা কমিটি গঠন করে এখনো যোগ্য অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব। তাই কারা যোগ্য প্রকৃত কারা অযোগ্য তার একটা লিস্ট তৈরি করতে চাইছেন বিজেপির নেতৃত্ববৃন্দ।