দিঘা জগন্নাথ মন্দির বিতর্কে মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, উড়িষ্যা সরকারের গায়ে জ্বালা ধরেছে দীঘায় জগন্নাথ ধাম বিতর্কের মাঝেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় মমতা। তার কথা আমরা তো পুরীতে যাই দিঘাতে মন্দির হলে এত হিংসে কেন? আরো কি কি বললেন ? তা নিয়ে থাকছে আজকের প্রতিবেদন।

দিঘা জগন্নাথ মন্দির বিতর্কে মুখ খুললেন মমতা ব্যানার্জি
দীঘা সমুদ্রের ধারে উদ্বোধন হয়ে গেল জগন্নাথ ধাম কালচারাল ধর্মস্থান, উদ্বোধনের আগে থেকেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে “জগন্নাথ ধাম” কথাটি ব্যবহার করায়। এরপর থেকেই একের পর এক অভিযোগ এমনকি আইনত ব্যবস্থা নিতে চলেছে উড়িষ্যা সরকার। দাবি করা হচ্ছে পুরি মন্দিরের অবশিষ্টাংশ নিম কাঠ দিয়ে বানানো হয়েছে দিঘার জগন্নাথের বিগ্রহ। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি কি প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নিচে উল্লেখ করা হলো।
- ওরা বলছে আমি নাকি নিম গাছ চুরি করেছি আমার বাড়িতে চার চারটে নিমগাছ আছে। এখনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত খারাপ সময় আসেনি যে নিম গাছ চুরি করতে হবে।
- জগন্নাথের মূর্তি কিনতে পাওয়া যায় অনেকে বাড়িতেও জগন্নাথের মধ্যে রাখে ওটা দৈত্যপ্রতি নিয়ে এসেছেন অন্য জায়গা থেকে।
- আর সেই দৈত্য প্রতীকের ডাক পড়েছে শোকজ করা হয়েছে উড়িষ্যা সরকারের তরফ থেকে।
- শোকজ এর পর মমতা বলেন এত গায়ে লাগছে কেন আমরা তো পরিযায় এত হিংসের কিসের? আমরা তো এত প্রশ্ন করি না? হিংসার কোন ওষুধ হয় না প্রতিক্রিয়া মমতা ব্যানার্জি।
দিঘাতে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হওয়ার পর মুর্শিদাবাদ গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে জবাব দিলেন উড়িষ্যা সরকারকে। তার স্পষ্ট কথায় আমি দুর্গাপুজো করি কালীপুজো করি দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক করি তাতে কোন প্রশ্ন হয় না আর দিঘাতে জগন্নাথ ধাম করলেই গায়ে লেগেছে।
কেন দিঘা জগন্নাথ মন্দির নিয়ে হিংসায় উড়িষ্যা সরকার?
উদ্বোধন হয়েছে দীঘায় জগন্নাথ মন্দির আর দীঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের মূল প্রতিষ্ঠার কাজে যুক্ত ছিলেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়কদের মধ্যে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদেরকে ডেকে পাঠিয়েছি উড়িষ্যা সরকার। সেবা উদ্দিন প্রশ্ন করা হচ্ছে কোন কার্ড দিয়ে দীঘার মন্দিরের বিগ্রহ তৈরি হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়।
সন্দেহ করা হচ্ছে নবকলে বলে ব্যবহৃত পবিত্র নিম কার্ডের যে অবশিষ্টাংশটি রয়ে গিয়েছিল সেই অংশ দিয়ে বানানো হয়েছে দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের বিগ্রহ। আর এই প্রসঙ্গ করার পরে মমতা বলেন ওরা বলছে আমি নাকি নিম গাছ চুরি করেছি আমার বাড়িতেই চারটা নিমগাছ রয়েছে। মমতা বলেন, আসলে আমাদের দীঘার মন্দির নিয়ে প্রচুর জ্বালা উড়িষ্যার বিজেপি সরকারে তাই বারে বারে এত প্রশ্ন ।
উড়িষ্যা বনাম পশ্চিমবঙ্গ: জগন্নাথ মন্দির ঘিরে টানাপোড়েন
জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে উড়িষ্যার সরকার ভালো চোখে দেখছে না। তাছাড়া এতদিন জগন্নাথ ধাম বলতে শুধু উড়িষ্যা কে মানুষ বুঝত। বর্তমানে দীঘায় জগন্নাথ ধাম তৈরি হয় বিতর্ক সৃষ্টি করছে উড়িষ্যা সরকার। এরপর উড়িষ্যা সরকারের সাথে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাণ করন চলছে।
উড়িষ্যা সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, উড়িষ্যায় আলুর ডান করলে বাংলা যোগান দেয় সেগুলো ভুলে যাবেন না, আপনাদের সাইক্লোনের সব উড়ে গেলে রাস্তায় পাইপ নষ্ট হয়ে যায় আমরা এখান থেকে ইঞ্জিনিয়ার পাঠায় বাংলায় সবচেয়ে বেশি পর্যটক পরিজন আমাদের কোন সমস্যা নেই কিন্তু আমরা দিঘাতে পর্যটন কেন্দ্র বানিয়ে জগন্নাথ মন্দিরের স্থাপন করলে আপনাদের এত হিংসে।
এছাড়াও পড়ুন:- সর্বশেষ খবর, সরকারি প্রকল্প, চাকরির খবর
পুরীর মন্দিরের কাট দিঘায় ? দিঘা জগন্নাথ মন্দির বিতর্কে বড় পদক্ষেপ
দীঘার মন্দির করতে এসেছিলেন পুরীর সেবায় রাজেশ দ্বৈতাপতি তারপরই যত পরিস্থিতি জল ঘোলা। রবিবার শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে যদি উত্তর দিতে না পারে সন্তোষজনক তাহলে জগন্নাথ মন্দির আইন ১৯৫৫ অনুসারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ওই সেবায়তের। দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের দার উদ্ঘাটন বা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল ওই ব্যক্তিকে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তার নেতৃত্বে দীঘার জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার মার্বেল পাথরের মূর্তির পাশাপাশি কাঠের বিদ্রোহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তবে উড়িষ্যা পৌঁছানোর পর স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিয়েছেন নবকলের ব্যবহৃত কার্ড দিয়ে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের বিগ্রহ বানানো হয়নি। আলাদা নিম কার্ড দিয়ে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার কাঠের মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। তবে উড়িষ্যার মন্দির কর্তৃপক্ষে তরফ থেকে জানানো হয়েছে জগন্নাথ বিদ্রোহ তৈরিতে পরস্পর বিরোধী মন্তব্য তৈরি করে কোটি কোটি ভক্তের মনে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হয়েছে। সেই সাথে রাজেশের আচরণে উড়িষ্যার ভাবমূর্তি ও নষ্ট হয়েছে।
জগন্নাথ থাম লেখা উধাও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে মামলা
জগন্নাথ মন্দির বিতরকের মাঝে আরো এক বিতর্ক সামনে চলে আসছে, জগন্নাথ ধাম নামের বিতর্ক হঠাৎ করেই এক গুজব ছড়িয়ে পড়ছে কেউবা কারা বলছেন জগন্নাথ ধাম লেখা সরানো হয়েছে। সেই অভিযোগকে খারিজ করে দিল পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ। এটা সম্পূর্ণ গুজব বলে জানিয়ে দিয়েছে এটা ইচ্ছে করে রটানো হচ্ছে এমনকি যারা রটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যেখানে কান্ড ঠিক উঠেছিল জগন্নাথ ধাম লেখা একটি কাঠামো জগন্নাথ ধাম লেখা মন্দিরের সামনে রাখা ছিল। এবার তা নিয়েই বিতর্ক এক্স হ্যান্ডেল এ পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার অভিযোগ সরিয়ে ফেলা হয়েছে জগন্নাথ ধাম লেখা। তারপরেই ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন যে কাঠামো সরানো হয়েছে সেটা অস্থায়ী কাঠামো ছিল পার্মানেন্ট নয় উদ্বোধনের দিনই সরিয়ে দেয়া হয়েছে। মন্দির উদ্বোধনের জন্যই ওই অস্থায়ী ঘাটামো তৈরি করা হয়েছিল উদ্বোধনের পরে তিনি তার সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অখিলগিরিও।
দীঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ ইতিহাস ও ভূমিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বরাবরই বাঙ্গালীদের দীঘা ছিল পছন্দের টুরিস্ট স্পট তবে তার মধ্যে ধর্মীয় পর্যটনদের কিছুটা অভাব ছিল। আরে ধর্মের সাথে পর্যটন মিলে গেলেই মানুষের আবেগ আকাঙ্ক্ষা যেন একই জায়গায় ধরা দেয়। আর সেজন্যই জনপ্রিয় দীঘার বুকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২২ সালে পরিকল্পনা করেন জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের। যার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে প্রায় দেড় বছর থেকে দু বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজটি শেষ করে ফেলেন।
উদ্বোধন হয়ে গেছে জগন্নাথ মন্দির আর এই মন্দির ইতিহাসের পাতায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম কেউ সাথে নিয়ে যাবে। তার উদ্যোগেই তৈরি হলো দিঘাতে জগন্নাথ মন্দির ধর্মীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এরপরে যেমন মানুষের ভিড় বাড়ছে সমুদ্র দর্শনে ঠিক তেমনি ধর্মীয় টানেও ছুটে যাচ্ছে দীঘা উপকূলে বাংলা এবং গোটা দেশের মানুষ।
দিঘা জগন্নাথ মন্দির বিতর্ক রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
বাংলা থেকে গোটা দেশ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি এ কথাটি বরাবরই শোনা যায়। একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাম মন্দির উদ্বোধন থেকে বিতর্ক শুরু হয়। তেমনি দীঘার জগন্নাথ মন্দিরেও বিতর্ক অর্থাৎ ধর্মের সাথে রাজনীতি যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে।
দিঘা জগন্নাথ মন্দির বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলে যান শুভেন্দু অধিকারী তার কথাই সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। শুধু বাংলার বিরোধী নয় উড়িষ্যা সরকার ও অভিযোগ একের পর এক দায়ের করেছে কখনো জগন্নাথ ধাম নিয়ে, কখনো বা উড়িষ্যার অবশিষ্টাংশ পুরি মন্দিরের কার্ড নিয়ে জগন্নাথ দেবের মূর্তি তৈরীর মতো অভিযোগ।
সব ক্ষেত্রেই স্পষ্ট জবাব দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি তিনি জানান আমরাও তো দুর্গাপুজো করি কালীপুজো করি তখন তো প্রশ্ন উঠে না আর জগন্নাথের পুজো করলেই তোমাদের এত প্রশ্ন কেন ? নাকি হিংসে হচ্ছে হিংসের কোন ওষুধ হয় না আমরাও তো পুরি মন্দিরে যাই আমরা তো এত প্রশ্ন করি না স্পষ্ট বার্তা দিলাম মমতা।
দীঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে পর্যটন ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব বৃদ্ধি
ভ্রমণপিপাসু বাঙালি যেমন গোটা দেশকে চষে বেড়ায় মনের পিপাসা মিটানোর জন্য। তেমনি বারে বারে দিঘার বুকে ছুটে যায় নিজের অভিজ্ঞতাকে উন্নতি করতে। সমুদ্রের হাওয়ায় নিজেকে পরিপূর্ণ করতে। আর এবার তৈরি হল এত বিতর্কের মাঝে অধিকার জগন্নাথ মন্দির যার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমিয়েছে দীঘার বুকে।
দীঘা সমুদ্র উপকূলের সারা বছরই ভিড় লেগে থাকত আর এবার জগন্নাথ দর্শনে যেন উৎসবে মেতে উঠেছে গোটা ভারত জুড়ে। দূর দূরান্তেরে মানুষ এসে উপস্থিত হচ্ছেন দিঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শনে হোটেল টোটো খাবার দোকান সমস্ত ক্ষেত্রেই উন্নতির সম্ভাবনা ধর্মীয় দর্শনে আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এবার দিঘার জগন্নাথ ধাম। তাই সরকার আশা করছে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক দিঘা ভ্রমণের অংশগ্রহণ করবেন যার ফলে পর্যটনের রাজস্ব পারবে আর সেই সাথে কর্মসংস্থানও তৈরি হবে।
এছাড়াও পড়ুন:- সর্বশেষ খবর, সরকারি প্রকল্প, চাকরির খবর
দিঘা জগন্নাথ মন্দির বিতর্ক সংক্রান্ত FAQ
1. দীঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত কোথা থেকে?
বিতর্কের সূত্রপাত হয় ‘জগন্নাথ ধাম’ নাম ব্যবহার এবং অভিযোগ অনুযায়ী পুরীর মন্দিরে ব্যবহৃত পবিত্র নিম কাঠের অংশ দীঘার বিগ্রহ তৈরিতে ব্যবহারের অভিযোগ ঘিরে।
2. মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিতর্কে কী প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন?
মমতা বলেন, ‘আমার বাড়িতে চারটে নিমগাছ আছে, নিম কাঠ চুরি করার প্রয়োজন নেই। আমরা পুরীতেও যাই, তাহলে দিঘায় মন্দির হলে এত হিংসে কেন?’
3. পুরীর কোন সেবায়েত দীঘার মন্দির নির্মাণে যুক্ত ছিলেন?
রাজেশ দ্বৈতাপতি নামে এক সেবায়েত দীঘার মন্দির নির্মাণে যুক্ত ছিলেন, যাকে পরে উড়িষ্যা সরকার শোকজ নোটিশ পাঠায়।
4. দীঘার জগন্নাথ বিগ্রহ কি পুরীর নবকলে ব্যবহৃত কাঠ দিয়ে তৈরি?
উড়িষ্যা সরকারের দাবি অনুযায়ী সন্দেহ থাকলেও, মুখ্যমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন বিগ্রহ আলাদা নিম কাঠ দিয়ে তৈরি হয়েছে।
5. ‘জগন্নাথ ধাম’ লেখা সরিয়ে ফেলা হয়েছে—এই অভিযোগ কতটা সত্য?
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ জানিয়েছে এটি সম্পূর্ণ গুজব। উদ্বোধনের জন্য সাময়িক কাঠামো তৈরি হয়েছিল, যা পরে সরানো হয়েছে।
6. দীঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরি করার পেছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা কী ছিল?
২০২২ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করেন এবং তারই উদ্যোগে প্রায় দুই বছরের মধ্যে এটি নির্মিত হয়।
7. দীঘার মন্দির ঘিরে কি রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হয়েছে?
হ্যাঁ, শুভেন্দু অধিকারী এই প্রকল্পকে ‘ধর্ম নিয়ে রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ করেন, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা ‘হিংসা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেন।
8. দীঘার জগন্নাথ মন্দির কি পর্যটনে প্রভাব ফেলেছে?
ধর্মীয় আবেগ ও সমুদ্র দর্শনের সমন্বয়ে দীঘা এখন আরও বড় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে, যার ফলে ব্যবসা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে।
9. উড়িষ্যা সরকার কেন এত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে এই মন্দির নিয়ে?
‘জগন্নাথ ধাম’ শব্দটি এতদিন শুধুমাত্র পুরীর সাথে যুক্ত ছিল। দীঘায় একই নাম ও কাঠামো আসায় উড়িষ্যা তা তাদের ধর্মীয় ঐতিহ্যের অবমাননা হিসেবে দেখছে।
10. এই বিতর্কের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে?
বিতর্ক রাজনৈতিক ও আইনি স্তরে চলবে। রাজ্য সরকার তাদের অবস্থানে অনড়, তবে উড়িষ্যা সরকারও আইনত পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।