২৬ হাজার চাকরি বাতিল কোনভাবেই মমতা মেনে নিতে পারছেন না 26000 শিক্ষক শিক্ষিকার ভবিষ্যৎ কি কিভাবে তাদের সংসার চলবে? পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফেরত দিতে হবে তাদেরকে চাকরির সমস্ত টাকা। গোটা বাংলায় চাকরি বাতিলের খবরে হাহাকার। কখনো মনে হচ্ছে স্বপ্ন কখনো বা সত্যি মেনে নেওয়া বড় দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গের চাকরির এই রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারে বারে বলছেন মানবতার খাতিরে এই রায়কে মন থেকে মেনে নিতে পারছি না। কিভাবে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ কি রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট দেখে নেব আজকের প্রতিবেদনে।

এসএসসি 26 হাজার চাকরি বাতিল কি রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট
ভাগ্য সাথ দিলোনা চাকরিপ্রার্থীদের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল এ ভেঙে পড়লেন হাজার হাজার শিক্ষক কেঁদে কুল পাচ্ছেন না কি করবেন। আজ সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষক বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছেন যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি পুরো প্রক্রিয়াটাই কারচুপি হয়েছে। আর তারপরে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন এই প্রক্রিয়ায় কোনরূপ বিশ্বাসযোগ্যতা নেই তাই ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হাইকোর্টের রায়কে আটকাতে পারল না সুপ্রিম কোর্ট।
অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টে বহাল থাকলো হাইকোর্টের নির্দেশ সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের টাকা ফেরত দিতে হবে সরকারকে। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশে প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেল বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা। মাধ্যমিকের খাতা দেখার নিয়ম বিরাট চাপের মুখে পড়ে গেলেন বহু শিক্ষক শিক্ষিকা। এদিকে আবার গরমের ছুটির ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে আবার ওর জামাটোল পরিস্থিতি হলো বাংলার শিক্ষার অবস্থায় শিক্ষক শিক্ষিকারা স্কুল থেকে বেরিয়ে গেলে স্কুলের অবস্থা কি হবে তা নিয়েও চিন্তায় পড়েছি অনেকে।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের তথ্য ২৬ হাজার চাকরি বাতিল
- হাইকোর্টের রায়কে কোনভাবেই হস্তক্ষেপ করার প্রশ্ন থাকছে না জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
- মোট ২৫ হাজার ৭৫২ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ঘোষণায়।
- সিবিআই তদন্তে এই রায় কোন রূপ প্রভাব পড়বে না।
- অপেক্ষমান তালিকায় প্রার্থীদের জন্য অতিরিক্ত পথ তৈরি করার জন্য যে মামলা তা চলবে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত পরবর্তী শুনানি।
- মানবিক কারণে ক্যান্সার আক্রান্তের চাকরি থাকবে।
- প্রতিবন্ধীরা যতদিন পর্যন্ত নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন।
- যারা চিহ্নিত অযোগ্য তাদেরই কেবল বেতন ফেরত দিতে হবে।
- যাদের অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা যায়নি তাদের বেতন ফেরত দেওয়ার প্রয়োজন হবে না
- 26 হাজার চাকরি বাতিল ক্ষেত্রে জানানো হয়েছে যারা আগে রাজ্য। সরকারের অন্য কোন পদে চাকরি করতেন তারা তিন মাসের মধ্যে পুরনো পদ ফেরত পেয়ে যাবেন।
- তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে ২০১৬ সালের গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাদলের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতিবাংশবাচক বিচারপতি মোহাম্মদ সাব্বারি বর্তমানে যার ফলে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। বহু শিক্ষক শিক্ষিকা রাস্তার ধারে বসে কান্নাকাটি করছেন এই রায় শোনার পর সরকার তাদেরকে কিভাবে সামাল দেবে বুঝে উঠতে পারছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রায় মানতেও পারছেন না বলে জানিয়েছেন।
এক নজরে দেখবো কি কি বলল সুপ্রিমকোর্ট
1/ হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করতে পারল না সুপ্রিমকোর্ট, হাইকোর্টের প্রকাশ করা রাই বহাল থাকলো সুপ্রিম কোর্টেও। ২৬ হাজার চাকরি বাতিলহয়ে গেল পুরো প্যানেল বাতিল। |
2/ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যোগ্য ও অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি পুরো প্রক্রিয়ায। |
3/ তার সাথে বিরাট বড় প্রশ্ন করা হয়েছে২৬ হাজার চাকরি বাতিল হলেও তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। |
4/ ২০১৬ সালে এসএসসিতে নিয়োগ করা পুরো প্যানেল টা বাতিল করে দিল সুপ্রিম কোর্ট চোখের জল চাকরি প্রার্থীদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা কেঁদে ভাষাচ্ছেন। |
এসএসসি ছাব্বিশ হাজার চাকরি বাতিলের এই মামলায় প্রচুর জটিলতা ছিল যার মধ্যে অন্যতম ছিল যোগ্য ও অযোগ্যদের বাছাই করার যে সমস্যা। আরে সেই সমস্যা থেকে বের হতে পারল না শিক্ষক-শিক্ষিকার আজ স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের মায়া কাটিয়ে তাদেরকে বিদায় নিতে হবে আবারো বাড়িতে। তবে বেশ কিছু নির্দেশিকা দেয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষকদের
- যে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা এই চাকরিতে যুক্ত হওয়ার পূর্বে অন্য কোন চাকরির সাথে যুক্ত ছিলেন তারা সেই চাকরি পুনরায় করতে পারবেন।
গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারচুপি চাকরি বাতিল
সুপ্রিম কোর্টের বিরাট বার্তা গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারচুপি রয়েছে, তাই কোন ভাবে চাকরি প্রার্থীদের তেমন সুখবর দিতে পারবে না সুপ্রিম কোর্ট কারণ যোগ্য অযোগ্য বাছাইয়ে তারা ব্যর্থ। তাই পুরোপুরি প্যানেল টাই বাতিল করে দিতে বাধ্য হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টের রায় কে বহাল রেখেছে তারা।তবে তার সাথে সবচেয়ে বড় খবর যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের অযোগ্য বলে প্রমাণ করতে পারেনি তাদেরকে টাকা ফেরত দিতে হবে না । যারা সাদা খাতা জমা দিয়েছে অথবা অযোগ্য বলে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে তাদেরকে টাকা ফেরত দিতে হবে ১২% সুদে।
এসএসসি 26 হাজার চাকরিপ্রার্থীকে চাকরিপ্রার্থীদের কত টাকা ফেরত দিতে হবে কত দিনের মধ্যে
বিরাট বড় নির্দেশিকা জারি করলো সুপ্রিম কোর্ট চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ সহ বেতন ফেরত দিতে বলা বলা হয়েছে। যার ফলে কোন নিয়মের হেরফের করা হলো না সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকেও সেই একই সময়ে ধার্য করা হয়েছে। তারমধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের কে টাকা ফেরত দিতে হবে তাও সুদে-আসলে। তাই মোটা অংকের টাকা গুনতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের। তবে যারা কেবলমাত্র অযোগ্য বলে গণ্য হয়েছেন তাদেরকেই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।
২৬ হাজার চাকরি বাতিলএসএসসি তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ কিভাবে হবে ? কারা আবেদন করতে পারবেন নতুন নিয়মে কি বলছে সুপ্রিম কোর্ট ?
স্কুল সার্ভিস কমিশন কে বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট 26 হাজার চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে এর মধ্যে আরো এক বড় নির্দেশ দেয়া হয়েছে তিন মাসের মধ্যে আবার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে এখনো অনেকের অজানা কিভাবে তিন মাসের মধ্যে আবারো নিয়োগ হবে কারা এখানে আবেদন করতে পারবে সেই ধোঁয়াশার উত্তর দিয়ে দেব আজকের প্রতিবেদনে।
এছাড়াও পড়ুন:- সর্বশেষ খবর, সরকারি প্রকল্প, চাকরির খবর
এসএসসি তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ করার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা মেনে নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি জানিয়েছেন আমরা তিন মাসের মধ্যেই নিয়োগ করে দেব । তবে কারা আবেদনের যোগ্য তেমন কোন অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত এখনও পাওয়া যায়নি। ভাবা যাচ্ছে এসএসসির সরকারি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের নির্দেশিকা প্রকাশ হলে তবেই বোঝা যাবে কারা তিন মাসের মধ্যে যে নিয়োগ জারি হবে তাতে আবেদন করতে পারবে।।
২৬ হাজার চাকরি বাতিল মমতার প্রতিক্রিয়া ও বার্তা
মমতা ৩২ মিনিট চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে বিরাট বার্তা দেন 26 হাজার চাকরি বাতিলের ব্যাপারে একের পর এক বার্তা দেন কি কি বলেছেন তা আপনাদের জানিয়ে দেব।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যারা ন্যায্য ভাবে বঞ্চিত যারা সঠিকভাবে চাকরি পেয়েছিলেন তাদের পাশে আছি চিরকাল থাকবো।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বার্তা দেন আত্মরক্ষার জন্য তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত তারা যে স্কুলে পড়ান তা অবশ্যই মনে রাখবেন।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে আনেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কথা তিনি বলেন একজনের ভুলে কয়জন শাস্তি পাবেন।
- তবে 26 হাজার চাকরি হারাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়ে বলেছেন ধৈর্য হারাবেন না মানসিক চাপ নেবেন না সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন এই 26 হাজার চাকরি বাতিল রায়কে আমরা ইতিবাচক নিচ্ছি এবং ইতিবাচক পদক্ষেপ করব।
- তবে প্রশ্ন ছুড়েদের মমতা ২৫ থেকে ২৬ হাজার শিক্ষককে বাদ দিয়ে দেওয়া হলে স্কুল এবং কলেজগুলোতে পড়াবে কারা তাও প্রশ্ন তুলে দেন।
- এবার শূন্য পদের কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে তার মাঝেই বলেন, ১ লক্ষ চাকরির শূন্য পদ রয়েছে আমাদের হাতে। স্কুল ও কলেজে বিরাট বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
- তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে যেমন আশ্বাস দিয়েছেন তেমনি জানিয়েছেন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন অনেকে, চাইনা একটাও দুর্ঘটনা ঘটুক সবার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন মমতা।
২৬ হাজার চাকরি বাতিল সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর
1/ কোন সালের চাকরিপ্রার্থীদের পুরো প্যানেল বাতিল হলো ?
উ: ২০১৬ সালে এসএসসিতে চাকরি পাওয়া চাকরি প্রার্থীদের চাকরি বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
2/ মোট কতজন চাকরি পরীক্ষার্থীর চাকরি বাতিল করা হলো ?
উ: মোট ২৫ হাজার ৭৫২ জনের চাকরি বাতিল করেছে প্রথমে হাইকোর্ট তারপরে সুপ্রিম কোর্ট সেই একই পথে।
3/ কত দিনের মধ্যে নতুন নিয়োগ এর নির্দেশ দেয়া হয়েছে এসএসসি কে ?
উ: তিন মাসের মধ্যে এসএসসি কে নতুন নিয়োগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে 26 হাজার চাকরি বাতিলে।