২০২৫ সালে কবে দোল পূর্ণিমা তিথি কখন শুরু হোলিকা দহন হোলি : ২০২৫ সালে কবে দোল পূর্ণিমা পড়ছে হলি বা দোল পূর্ণিমার তিথি কখন শুরু হোলিকা দহন উৎসব হলি মানে আনন্দ হলি মানে প্রেম হলি মানে উৎসব বসন্তে ভালোবাসা উৎসব হোলি যাতে মেতে উঠে সারা ভারতের মানুষ। ২০২৫ সালে হোলি কবে পড়েছে কত তারিখ মার্চ মাসের দেখে নেব দোলযাত্রার তারিখ । এর সাথে জেনে নেব কিভাবে পালিত হয় দোল উৎসব কতদিন চলে এই হোলি বা দোল উৎসব।
কতদিন দোল উৎসব পালন করা হয়
সাধারণভাবে বলি অথবা দোলযাত্রা দুদিন পালন করা হয় এক হচ্ছে হোলিকা দহন আর অন্যটি হচ্ছে রঙ্গলি হলি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নাম দেয়া হয় এই গুলিকে। প্রথমটি ছোট হলে এবং দ্বিতীয়টি কে বড় হলে বলা হয়ে থাকে ।
চ্যানেল ফলো করুন
২০২৫ সালে কবে দোল পূর্ণিমা
হোলি উৎসব সাধারণত একে অপরের গায়ের রং দেওয়ার উৎসব ভালবাসার আনন্দে মেতে উঠে বসন্তের এই দিন। যাকে বসন্ত পঞ্চমীও বলা হয়। একে অপরকে রাঙিয়ে তোলে গায়ের রং লাগিয়ে । এ বছর হোলি পূর্ণিমা পড়েছে 13 মার্চ সকাল ৬ টা ৫ মিনিটে। হলি পূর্ণিমা শেষ হচ্ছে ১৪ ই মার্চ ৭ টা ৫৩ মিনিটে।
২০২৫ সালে কবে দোল পূর্ণিমা বন্ধু দের শেয়ার করুন
কোথায় কিভাবে দোল পালন হয়
সারা ভারতবর্ষের উৎসব তবে সারা ভারতবর্ষের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় দোল পালিত হলেও বেশ কিছু জায়গায় দোল পূর্ণিমায় মেতে ওঠে হাজার হাজার ভক্ত। তাদের মধ্যে হল ব্রোজো দাম মানে মথুরা বৃন্দাবন গোকুল নন্দগ্রাম গোবর্ধন এইসব এলাকায় যেখানে লীলা করে গেছেন রাধা কৃষ্ণ আর শ্রী রাধা কৃষ্ণের প্রেমলীলা যুগ যুগ ধরে মেতে ওঠে নরনারী আবির উৎসবে। রং উৎসব আমাদের জীবনকে রঙ্গিন করে তোলে নতুন করে আনন্দে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে গোটা ভারতবাসী।
-: এই সংক্রান্ত আরো তথ্য দেখুন :-
দোল পূর্ণিমার ইতিহাস
ভারতের কোনায় কোনায় হোলির রঙের উৎসবে মেতে ওঠে ভারতবাসীরা হাসিখুশিতে ছোট বড় সকলেই হিন্দু ধর্মের দোল পূর্ণিমা একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই দোলযাত্রা উৎসবের শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধারানীর ঐশ্বরিক প্রেম লীলা কে আনন্দের সাথে উদযাপন করা হয় দোলযাত্রা সময়।
২০২৫ সালে ১৩ই মার্চ হোলিকা দহন উৎসব পালিত হবে হলি আগের রাতে এটা পালন করার চল রয়েছে বহুদিন ধরে। অনেকে ওই দিনটাকে ন্যাড়াপোড়া পালন করে থাকে, যা অসুরিকাকে পোড়ানো হয় এতে লোভ হিংসা পাপ সমস্ত কিছু দূর হয় বলে ধারণা রয়েছে । ১৩ই মার্চ হলিকা দহন হয়ে গেলে এরপর ১৪ই মার্চ রঙের উৎসবে মেতে উঠবে গোটা বিশ্ববাসী। তবে এই বছরের তিথিতে ১৫ মার্চ হলে পালিত হবে কারণ চৈত্র কৃষ্ণ প্রতি পদে উদয়া তিথি পড়েছে, সে কারণে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে 15 মার্চ হলি পালিত হবে।
দোল পূর্ণিমা বা দোলযাত্রা সাধারণত হিন্দু ধর্মানুসারীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব বাংলা এবং উড়িষ্যার বহু জায়গায় দোল উৎসব মহা আনন্দে বিরাট আকারে পালন করা হয়। দোল উৎসবের অপর নাম বসন্ত উৎসব ফাল্গুন মাসে পূর্ণমাত্রা তিথিতেই এই উৎসব বা দোলযাত্রা অনুষ্ঠান পালন করা হয়ে থাকে ।
তবে অনেকে জানে না দোল বা holi একই রকম মনে হলেও দুটো মূলত আলাদা আলাদা অনুষ্ঠান কখনো কখনো দোল ও হোলি একই দিনে পড়ে কখনো কখনো দোলযাত্রা বা দোল উৎসব একান্তই বাঙ্গালীদের আর হলি অবাঙালিদের উৎসব। বাঙ্গালীদের ক্ষেত্রে দোলযাত্রাকে বসন্তের আগমনী বার্তা হিসেবে মনে করা হয়।
ইতিহাস এবং বৈষ্ণবী ও বিশ্বাসের মতে এই দোল পূর্ণিমার দিনই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবির এবং গুলাল নিয়ে শ্রীরাধা এবং অন্যান্য গুপিদের সাথে রং খেলায় মেতে ছিলেন। তারপর থেকে দোল যাত্রার উৎপত্তি হয়েছে । আর এই দোল পূর্ণিমার তিথিতে এসে চৈতন্য মহাপ্রভু জন্মগ্রহণ করেছিলেন তাই এটি থেকে অনেকে গৌর পূর্ণিমা তৃতীয় বলে থাকেন ।
অপরদিকে আরও একটি কথা রয়েছে বাংলা অঞ্চলের দোল উৎসবের সূচনা করেছিলেন সেই চৈতন্য মহাপ্রভু, শুধু ভারতে নয় ভারতের বাইরেও বাংলাদেশ নেপাল পাকিস্থানে এবং মালয়েশিয়ায় এই হোলি খেলার প্রচলন রয়েই গেছে। অনেক জায়গায় কি হোলিক ফাগুয়া বলা হয়ে থাকে।
এছাড়াও পড়ুন:- সর্বশেষ খবর, সরকারি প্রকল্প, চাকরির খবর
আর আধুনিককালে বাংলায় এই দোলযাত্রার সূচনা করেছিলেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯২০ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনের দোলযাত্রা উৎসবের সূচনা করেন। এতদিনে এই দোল পূর্ণিমার দিন এই শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব পালিত হতো। তবে ২০২০ সালে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দোল যাত্রার আগেই বসন্ত উৎসব পালন করেছে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে ভেঙে দিয়ে।
