
দীঘা দর্শনীয় স্থান ও দীঘায় ঘোরার জায়গা : বাঙ্গালীদের কাছে ১লা জানুয়ারি থেকে ২৫ ডিসেম্বর দীঘা ঘোরার জায়গা নিউ দীঘা সমুদ্র সৈকত । দীঘায় কম দামের হোটেল নিন জমিয়ে আনন্দ করুন পরিবারের সাথে,দীঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শন করুন। নিউ দীঘায় ওল্ড দিঘায় স্নান করে আনন্দ করুন সারাদিন। তবে সমুদ্র স্নানের পরই প্রশ্ন উঠে দীঘায় কোন কোন জায়গা ভ্রমণ করা যাবে, অর্থাৎ সমুদ্রের কাছাকাছি দিঘার দর্শনীয় স্থানগুলি কোথায় কোথায় রয়েছে তা আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
দীঘা দর্শনীয় স্থান ও দীঘায় ঘোরার জায়গা
পশ্চিমবঙ্গের কম খরচায় ঘুরে আসার মত বাঙ্গালীদের সবথেকে সহজলভ্য টুরিস্ট স্পট বা দর্শনীয় স্থান হল দীঘা সমুদ্র সৈকত। আর এই দীঘা সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি গড়ে উঠেছে প্রচুর পর্যটন কেন্দ্র। যা দীঘার দর্শনীয় স্থান ও দিঘার ঘোরার জায়গার রূপে চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে।
বর্তমানে দিঘার ইতিহাসে আরও একটা নাম খোদাই হলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি হওয়া দীঘার জগন্নাথ দেবের মন্দির। তাই ভ্রমণ পিপাসুদের সুবিধার্থে আজকের প্রতিবেদনে দীঘার এক এক করে দীঘর দর্শনীয় স্থানগুলি উল্লেখ করা হলো এবং তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হলো।
- নিউ দীঘা সমুদ্র সৈকত
- অমরাবতী লেক এবং দীঘার বিখ্যাত রোপওয়ে
- কাজলা দিঘী ওয়ান্ডারল্যান্ড দীঘা
- দীঘার সর্প উদ্যান
- দীঘা মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম ও রিজিওনাল সেন্টার
- দীঘা বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং সাইন্স পার্ক
- ওল্ড দিঘা সমুদ্র সৈকত
- ঢেউসাগর পার্ক
- মান্দারমনি সমুদ্র সৈকত দীঘা
- তাজপুর সমুদ্র সৈকত দিঘা
- উদয়পুর সমুদ্র সৈকত দিঘা
- তালসারি সমুদ্র সৈকত দিঘা
- শংকরপুর সমুদ্র সৈকত
- চাঁদপুর সমুদ্র সৈকত
- দীঘার মোহনা সমুদ্র সৈকত এবং মাছ ধরার দৃশ্য
- চন্দনেশ্বর শিব মন্দির
- দীঘার জগন্নাথ মন্দির
- মৎস্য বন্দর শংকরপুর
- দর্শনীয় স্থান জুনপুট
- ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের মন্দির দীঘা
মধ্যবিত্ত বাঙালির পকেটে একটু পয়সা থাকলেই সপরিবারে মিলে যে জায়গাটার কথা আগে মনে পড়ে তাহলে দিপুদা এটা কোন নাম নয় এটা তিনটি অক্ষরের মিলিত একটা জায়গার নাম দীঘা, পুরী এবং দার্জিলিং। বাঙালির ভ্রমণের সাথে প্রথম থেকেই দীঘা জড়িয়ে রয়েছে।এখন বাঙালি যতই এগিয়ে যাক আর ডিজিটাল হোক ঘুরতে যাওয়ার কথা মনে আসলেই আগে দীঘা পরি দার্জিলিং ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই পারি না তবে দিঘা দিনের পর দিন যেভাবে উন্নতির দিকে এগোচ্ছে মানুষের আকর্ষণ আরো বাড়ছে দীঘা ভ্রমনে।
দীঘার দর্শনীয় স্থানগুলি কিভাবে পৌঁছবেন ও বিস্তারিত বিবরণ
প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ দিঘায় গোটা দেশ থেকে পাড়ি দেয়। খুব কম খরচায় দীঘার হোটেলে থাকা খাওয়া এবং ঘুরে বেড়ানোর অফুরন্ত সুযোগ থাকছে। এবং একই সাথে অনেকগুলো জায়গা দিঘাতে দর্শন এবং ভরা যায় খুব কম দিনের ট্যুর প্ল্যানও হয়ে থাকে জায়গা গুলো কাছাকাছি থাকার জন্য। দেখে নেব দীঘার সমুদ্র সৈকতের এবং তার কাছাকাছি দর্শনীয় স্থানগুলি কিভাবে পৌঁছবেন আর তার বিস্তারিত এক এক করে বিবরণ নিচে উল্লেখ করলাম।
1/ নিউ দীঘা সমুদ্র সৈকত :-
দিঘার নিউ দিঘা বিচ বেশ চওড়া অনেকটা জায়গা জুড়ে, যেখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিচে ভিড়। লেগেই থাকে মানুষের আনাগোনা চলতেই থাকে। নৈহাট্ট গোল আনন্দে মেতে উঠে নিউ দীঘা সিবিচ দীঘার সব থেকে বড় ভিড় হওয়ার জায়গা। তাই প্রথম দিনই দীঘা পৌঁছলে নিউ দীঘায় স্নান খেলাধুলা কেনাকাটা সমস্ত কিছু করে নিতে পারবেন এটি একটি আদর্শ জায়গা দীঘা সমুদ্রের কাছাকাছি। সকালের সূর্যোদয় থেকে রাতের সূর্যাস্ত পর্যন্ত মানুষের অবাধ বিচরণ থাকে নিউ দীঘায় আর যত রাত ঘনায় আরো আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে নিউ দীঘা সমুদ্র সৈকত।
2/ অমরাবতী লেক ও পার্ক এবং দীঘার বিখ্যাত রোপওয়ে :-
নিউ দীঘা থেকে সামান্য কিছুটা হেঁটে রাস্তায় অমরাবতী পার্ক বা অমরাবতী লেক যা দীঘার দর্শনীয় স্থান গুলির মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য। আর সেই লেকের উপর দিয়ে চলে যাওয়া রোপওয়ে মানুষের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। মাত্র ১০ টাকা তে অমরাবতি পার্ক খুব ভালোভাবে আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। সেখানে দেখার মত রয়েছে অনেক কিছু আর সেইসাথে ভোটের ব্যবস্থাও রয়েছে লেকের চারপাশটা ঘুরে দেখার জন্য।
আর যদি উপর থেকে দীঘা সমুদ্র সৈকতের খানিক কাজ পেতে হাসান এবং অমরাবতীর লেককে উপর থেকে দেখতে চান তার জন্য রয়েছে দিঘার বিখ্যাত রোপওয়ে অমরাবতী পার্কেই । পার্কটা এত বড় যে আপনার অর্ধেক বেলা শুধুমাত্র পার্কের প্রত্যেকটা আনন্দ উপভোগ করতে কেটে যাবে। তাই দীঘায় এলে অমরাবতী পার্ক এবং রোপওয়ে তে চড়ে নিয়ে এমন লোক খুব কমই রয়েছে।
3/ কাজলা দিঘী ওয়ান্ডারল্যান্ড দীঘা :-
নিউ দিঘার একদম কাছের আরও একটি আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান দিঘার এবং ভালো ঘোরার জায়গা কাজলা দিকে এটি ঠিক নিউ দীঘার কাছে অমরাবতি লেকের পেছনে অবস্থিত। দীঘার টয়ট্রেন বলতে কাজলা দেখি ওয়ান্ডারল্যান্ড কে বোঝায় এখানকার টয় ট্রেন খুবই জনপ্রিয়। কাজরাতে গিয়ে ওয়ান্ডারল্যান্ড খুবই আকর্ষণীয় দীঘার বুকে। এবং এই টয় ট্রেনে চড়ে মনের আনন্দে দীঘা ভ্রমণের আরো একটা আকর্ষণীয় মুহূর্ত স্মরণীয় হয়ে থাকে।
4/ দীঘার সর্প উদ্যান : –
দীঘা অনেকে বেড়াতে গেলেও দীঘায় যে সর্ব উদ্যান আছে এটা খুব কম লোকই জানে। আর দীঘা দর্শনীয় এবং ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে আসা এই সর্প উদ্যান দীঘার মনোরম পরিবেশকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে দীঘার সর্প উদ্যান। দীঘার ঘোরার জায়গা বা টুরিস্ট স্পট গুলির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এখনো বহু মানুষ সর্প উদ্যানের জায়গাটা জানে না কোন জায়গায় অবস্থিত দিঘার।
সর্প বিশারদ দীপক মিত্রের নিজের হাতেই গড়ে উঠেছে এই সর্প উদ্যান সেখানে রয়েছে একের পর এক বিশধর বিরল প্রজাতির সাপ যেটা সকাল ৭ঃ৩০ থেকে সন্ধ্যা ৭ঃ৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে। তবেই এই দুর্ধর্ষ ভয়ানক রোমাঞ্চকর প্রবেশ করতে পারবেন।
5/ দীঘা মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম ও রিজিওনাল সেন্টার : –
দীঘার আরো এক আশ্চর্যকর দর্শনীয় স্থান এই মেরুন একুরিয়াম এটি এশিয়ার বৃহত্তম ম্যারিন মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম। দিঘাতে প্রতিদিনই সকাল ১১টা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত খোলা থাকে এখানে সামুদ্রিক পানি এবং জীবজগৎ নিয়ে অনেক অজানা তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন যা আপনাদের দৈনন্দিন জীবন এবং বিজ্ঞানসম্মত উপায় নিজেকে আপডেট রাখতে পারবেন। নিউ দীঘা ঢোকার মুখেই দীঘা মেরিন অ্যাকোরিয়াম আপনার চোখে পড়বেই। দীঘা ঘোরার জায়গার মধ্যে দিঘা মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম এবং রেজওয়ানাল সেন্টার খুবই উল্লেখযোগ্য।
6/ দীঘা বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং সাইন্স পার্ক : –
দীঘার পর্যটন স্থান বা দীঘা দর্শনীয় স্থান হিসেব করলে দীঘার বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং সাইন্স পার্ক না ঘুরলে একটা বড় টুরিস্ট স্পট ঘোড়া বাকি থেকে যাবে আপনার। স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দীঘা বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং সায়েন্স পার্ক খুবই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে। পর্যটন কেন্দ্র এবং দর্শনীয় থান হিসেবে দিঘার শ্রী বৃদ্ধি করেছে দীঘা বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং সাইন্স পার্ক।
টুরিস্ট স্পট হিসেবে দীঘার ভূমিকা এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে এই সাইন্স পার্ক। সেখানে রয়েছে নানান অত্যাধুনিক বিজ্ঞান এবং সাইন্স রিলেটেড অনেক কিছু শিক্ষার অঙ্গ। আরে সাইন্স পার্কে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ সুবিধা রয়েছে। আর দিঘার এই সাইন্স পার্কের মধ্যেই রয়েছে জুরাসিক পার্ক। যার ফলে বাচ্চাদের জন্য দীঘা সাইন্স পার্ক খুবই আকর্ষণীয় সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকে এই পার্ক।
7/ ওল্ড দিঘা সমুদ্র সৈকত : –
ওল্ড দিঘা নাম শুনেই বোঝা যায় নিউ দীঘা এতটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠার আগে মূল আকর্ষণ ছিল পর্যটকদের ওল্ড দেখা। সময়ের সাথে সাথে নতুন দিঘার যতই জনপ্রিয়তা বেড়েছে ওল্ড দিগার জনপ্রিয়তা কমেছে। তাছাড়া পাড় ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে এই জায়গাটা স্নানের জন্য নিরাপদ নয়।
আর আকর্ষণ একমাত্র কারণ সমুদ্র স্নান তাই দীঘা সমুদ্র সৈকত বলতে ওল্ড দিঘা প্রথমে ভাবা হতো। বর্তমানে ওল্ড দিঘা তুলনায় নিউ দীঘা স্নানের সুবিধা বেশি, জায়গা অনেকটা তাই ওল্ড দিঘার সমুদ্র সৈকত বর্তমানে কেবলমাত্র পর্যটন স্থান হিসেবে রয়ে গেছে। ওল্ড দিঘার পাশেই গড়ে উঠেছে একের পর এক দর্শকদের বিশ্রাম এবং আনন্দ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম মূর্তি এবং সোশ্যাল এডুকেশন দেওয়ার মতো ছবি তুলে ধরা হয়েছে।
8/ ঢেউসাগর পার্ক দিঘা : –
দীঘা পর্যটনের বেশ কয়েকদিন যেরকম জগন্নাথ মন্দিরের আলোড়ন ফেলেছে ঠিক তেমনি ঢেউ সাগরের দোলনার ভিডিও ভাইরাল। নিউ দীঘা ঠিক পরেই ঢেউ সাগর অবস্থিত। আর এটিএমসাগর পার্ক খুবই জনপ্রিয় কারণ এটি সমুদ্র সৈকতের কিনারায় গড়ে উঠেছে। আর তাতে বিভিন্ন রকম আলোকসজ্জা দীঘার দর্শনীয় স্থান হিসেবে নতুন রূপ দেয়। সেখানকার ভেতরে বিকেল হলেই বসে যায় বিরাট মেলার আয়োজন।
বহু মানুষ এবার ঢেউ সাগর জল শুধুমাত্র দোলনার ভিডিও বানাতে। কারণ বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢেউ সাগর অনেকটাই জনপ্রিয়। দিঘার ঢেউ সাগরের মনোরম পরিবেশ ও খুব ভালো। তুর্কি আইসক্রিমের ভাইরাল কুলফি এখানে পাওয়া যায়। তাই দীঘা ঘুরতে গেলে একবার ঢেউ সাগর অবশ্যই ঘুরে আসুন। দীঘার পর্যটনীয় স্থান বা দেখার জায়গা বলতে ঢেউসগর দিনের পর দিন এক উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করছে।
9/ মান্দারমনি সমুদ্র সৈকত দীঘা : –
মান্দারমনি সমুদ্র সৈকত মধ্যবিত্ত ধনী মানুষদের কাছে খুবই জনপ্রিয় এবং পছন্দের জায়গা। পিকনিক বলুন বা কাপল লেস নিয়ে ঘুরতে যাওয়া মান্দারমনি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এটি হানিমুন ডেস্টিনেশন বা মধুচন্দ্রিমার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। দীঘা ভ্রমণের একটা দিন মান্দারমনি ঘুরে দেখার মত সময় রাখতেই হবে।
কারণ এটি নিউ দীঘা থেকে খানিকটা দূরে পায়ে হেঁটে পৌঁছানো যাবে না গাড়ি ভাড়া করলে খুব সহজেই পৌঁছতে পারবেন নিউ দীঘা থেকে মান্দারমনি। এখানকার লাল কাঁকড়া এবং শান্ত পরিবেশ গোয়ার বিচের মত ফিল এনে দেয় মান্দারমনি।তার সাথে এখানকার লাল কাঁকড়া এবং বিচে বাইক ট্যুর খুবই জনপ্রিয়। জোয়ারের সময় হোটেল গুলোর কিনারায় জলের শব্দ শুনাও এবং দৃশ্য দেখে আপ্লুতহান দর্শকরা।
আর যখন ভাটা পড়ে যায় তখন সোনালী বালির উপর ঝিনুক এবং কাঁকড়ার আঁকিবুকি দেখতে পৌঁছে যান সবাই বিচে। আরো যত সময় এভাবে পিকনিক পার্টি হোক বা বন্ধুদের সাথে পার্টি মান্দারমনি জনপ্রিয়তা দিনের পর দিন বাড়বে দীঘার দর্শনীয় স্থান বা ঘোরার জায়গার এক অন্যতম স্থান মান্দারমনি। এখানে ইচ্ছে হলে নৌকো ভাড়া করেও ঘুরে আসতে পারেন মোহনা এবং কাছাকাছি এলাকাগুলো।
10/ তাজপুর সমুদ্র সৈকত দিঘা : –
দীঘার বুকে যত সময় গড়াচ্ছে তত নতুন নতুন মানুষের রানাগুলো যেমন বাড়ছে তা বলে নতুন পর্যটন স্থান তৈরি হচ্ছেনা নতুন করে সাজানো হচ্ছে। তাজপুর ও বর্তমানে খুবই উল্লেখযোগ্য স্থান দিঘার বুকে। রামনগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে গাড়ি করে পৌঁছে যেতে পারবেন তাজপুর সমুদ্র সৈকত ।
তাজপুর লাল সন্ন্যাসী কাঁকড়া দেখার জন্যই মানুষ বেশি এসে থাকে। দূর থেকেই দেখা যায় তবে মানুষ পাশে পৌঁছে দেয় গর্তের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায়। দীঘার সমুদ্র সৈকতের দর্শনীয় স্থান তাজপুর যত সময় করাচ্ছে তত উন্নত হয়েছে এখানে ডাবের জল এবং খাদ্য পানীয় সবই পাওয়া যায় চাইলে দুপুরের লাঞ্চ সেরে দোলনাতে দোল ও খাওয়া যেতে পারে।
11/ উদয়পুর সমুদ্র সৈকত দিঘা : –
টুর ট্রাভেল নিয়ে বরাবরই মেতে থাকে বাঙালি আর যখনই ঘোড়ার কথা উঠে দীঘার উদয়পুরে পাড়ি দেয় এটা চন্দনেশ্বর থেকে তালসারি যাওয়ার পথে দু কিলোমিটার গেলেই উদয়পুর সি বিচ দেখতে পাবেন।এখানে প্রচুর অ্যাক্টিভিটি রয়েছে যেগুলো করার জন্যই মানুষ ছুটে আসে। প্রত্যেক বছরই উড়িষ্যা থেকে বহু মানুষ এখানে ছুটে আসা কারণ উড়িষ্যার খুব কাছেই উদয়পুর যার ডান দিকে উড়িষ্যা বামদিকে পশ্চিমবঙ্গ।
তাই বাঙালি উড়িষ্যার সংমিশ্রণে এই উদয়পুর খুবই জনপ্রিয়। পছন্দ সেই জিনিস কিনতে চাইলে উড়িষ্যার কাছের এই উদয়পুরের সমুদ্র সৈকতের ধারে বসা দোকানে আপনি পেয়ে যাবেন। সারা বছরই এই জায়গাটা জমজমাট থাকে এই সমুদ্র সৈকতে ঢোকার মুখেই মার্কেট তাই আপনার পছন্দমত দোকান পেয়ে যাবেন। এখানকার আরো আকর্ষণীয় জিনিস হচ্ছে পেয়ারা মাখা কামরাঙ্গা মাখা এবং কত বেল মাখা অর্থাৎ খাবারের যাবতীয় দোকান ভিন্ন ধরনের স্বাদের পেয়ে যাবেন এখানে।
দীঘা ভ্রমণে বেরোলে উদয়পুরের নাম সবার আগে মনে থাকে সবার এখানে বিশেষ আকর্ষণীয় উপরে টাঙ্গানো থাকে কাপড়ের ছাউনি নিচে প্লাস্টিকের চেয়ারের টেবিল পাতা থাকে। আপনি পছন্দমতো খেতে পারেন এখানে কাঁকড়া মাছ চিংড়ি মাছ এবং রকমারি খাবার। আরে এই কাপড়ের নিচে চেয়ার পাতা সমুদ্র সৈকত অনেকটা গোয়ার সমুদ্র সৈকতের আনন্দ দিয়ে থাকে ।
12/ তালসারি সমুদ্র সৈকত দিঘা : –
বাংলা এবং উড়িষ্যার সীমান্তে গড়ে ওঠা একজন জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান দীঘার বুকে তালসারি সমুদ্র সৈকত যা দীঘা থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে বাংলা উড়িষ্যার সীমান্তে অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত নির্জন এবং কোলাহল ছাড়াই অপরূপ শান্তি বিরাজ করে এই তালসারি সমুদ্র সৈকত।আরে শান্ত পরিবেশ কবি প্রেমিক গায়ক সবাইকে টেনে আনে তালসারি সমুদ্র সৈকতে।
এখানে সকালের নাস্তা দুপুরের খাবার এবং বাড়ির জন্য ঘুরাঘুরি করে খুব সুন্দর সুন্দর ঘর সাজানোর জিনিস কিনে রাখতে পারেন তালসারি সমুদ্র সৈকত থেকে। স্নান তো স্নিগ্ধ সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় উপভোগ করার মত এই রোমান্টিক পরিবেশেই পছন্দের জায়গা পর্যটকদের এখানে যাও এবং পিয়াল মনের সংমিশ্রণে এক অপরূপ খেলা খেলে গেছে প্রকৃতি। আর সেই সুন্দর পরিবেশ বারে বারে টেনে আনে দীঘার বুকের তালসারি সমুদ্র সৈকত প্রাঙ্গনে । প্রত্যেক বছর কলকাতা থেকে শুরু করে সারা বাংলার বহু মানুষ এখানে পৌঁছে যান।
13/ শংকরপুর সমুদ্র সৈকত : –
রামনগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মাত্র পাঁচ কিমি দূরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এক উল্লেখযোগ্য টুরিস্ট স্পট শংকরপুর সমুদ্র সৈকত। ভ্রমণ পিপাসুদের দীঘার সংকল্প জায়গাটি খুবই পছন্দ তার কারণ এটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মনারাম খোলামেলা যা সমস্ত মনের বিষাদ কে দূর করে দেয়। এখানে থাকা খাওয়ার জন্য অনেক রিসোর্ট রয়েছে যেগুলো খুব সস্তায় পাওয়া যায়। প্রচুর মানুষ প্রত্যেক বছর সংকল্পের ভ্রমণ এবং মৎস্য বন্দর দেখতে আসেন।
সমুদ্রের তীরে স্নান শেষ করে ঝাউবনের খেলাধুলা এবং বাচ্চাদের আনন্দের জন্য খুব মনোরম একটি পরিবেশ। পিকনিক স্পট হিসেবে একটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শংকরপুরে আপনার প্রিয় মানুষের সাথে হাতে হাত রেখে গল্প করতে পারেন এবং চারপাশ ঘুরে মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন। ঝাউ গাছের পরিবেষ্টিত হওয়ায় এলাকাটিতে তীব্র গরমের মধ্যেও ছায়ার বসে।সমুদ্রের সৌন্দর্য অনুভব করা যায়।
14/ চাঁদপুর সমুদ্র সৈকত : –
তাজপুর সমুদ্র সৈকত থেকে পায়ে হেঁটেই পশ্চিম দিকে গেলে আপনাদের সামনে এক অপরূপ সৌন্দর্য খারাপ দিখার দর্শনীয় স্থান বা ঘোরার জায়গা দেখতে পাবেন চাঁদপুর সমুদ্র সৈকত। যদি টুরিস্ট স্পট গুলির মধ্যে আরও এক অন্যতম। এখানেও বহু মানুষ প্রত্যেক বছর দিঘা যারা বেড়াতে আসেন তারা এসে থাকেন। এলাকাটি নাম চাঁদপুর এখানে পাড় বাঁধানো সমুদ্র সৈকতের ধারে বসে খোলা হাওয়া এবং সমুদ্রের অপর উদ্দেশ্য উপভোগ করতে পারেন।
এখানকার ঢেউয়ের ঝাপটা মাঝেমধ্যে আপনার শরীর ভিজিয়ে দেবে তবে কোনভাবেই এখানে সমুদ্রের নেমে স্নান করা উচিত নয় এটি খুবই বিপদজনক। তাই কেবল পাড়ের ধারে বসে সমুদ্রের নোনা জলের ঝাপটা উপভোগ করুন। যারা দেইখা বেড়াতে আসবেন তারা অবশ্যই চাঁদপুর একবার হলেও ঘুরে দেখবেন।
15/ দীঘার মোহনা সমুদ্র সৈকত এবং মাছ ধরার দৃশ্য : –
দীঘার ইলিশ মাছ কথাটি ভাবলেই মোহনার কথা বারে বারে মনে পড়ে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের পর্যটকদের খুবই আকর্ষণীয় এবং মাছপ্রেমীদের পছন্দের জায়গা দীঘার মোহনা। সারি সারি জেলেরা তাদের লঞ্চ নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে মাছ ধরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার জন্য আর দূরে দেখা যাচ্ছে মাঝ সমুদ্রে ভেসে যাচ্ছে লঞ্চ এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে গেলে আপনাকে পৌঁছতে হবে দীঘার মোহনা সমুদ্র সৈকত ।
এখানকার আন্তর্জাতিক মাছ বাজার গোটা ভারতের মানুষ এখানে আসে মাছ সংগ্রহের জন্য। দেশ-বিদেশের বহু জায়গায় এখান থেকে মাছ ট্রান্সফার করা হয় তাই এই স্থানটি খুবই জনপ্রিয় । আপনি এখান থেকে নিজের পছন্দের মত ইলিশ মাছ এবং চিংড়ি মাছ এবং কাঁকড়া দরদাম করে বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেন। তারা আপনাদেরকে বরফের মধ্যে প্যাকিং করে দিয়ে দেবে যাতে দূরে বাড়ি হলেও তাজা থাকবে মাছগুলো। দিঘার দর্শনীয় স্থান পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় মোহনা। বেশিরভাগ মানুষ একবার করে মোহনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করে যান।
16/ চন্দনেশ্বর শিব মন্দির : –
দীঘার দর্শনীয় স্থানগুলো হিসেব করলে আধ্যাত্মিক এবং ভক্তির দিক থেকে চন্দনেশ্বর মন্দির বহু যুগ থেকেই ইতিহাস বয়ে নিয়ে আসছে যা ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। বাংলা ওড়িশা সীমান্তে ভগবান শিবের এই মন্দির চন্দনেশ্বর মন্দির নামেই পরিচিত।
ভগবান শিবের এই মন্দিরটি ছোট কিন্তু বিরাট প্রাঙ্গণ রয়েছে ওরা ইটের তৈরি বারটি ছাদ দিয়ে মন্দিরটি তৈরি। মন্দিরের শিবলিঙ্গটি নিজে থেকে উদ্ভূত বলে জানা গিয়েছে তবে এটি দেখা যায় না এটি প্রবৃত্ত জলে ভরা একটি গর্তের ভেতরে মাটির গভীরে অবস্থিত। মন্দির প্রাঙ্গনে কিছু ছোট ছোট কাঠামো এবং মন্দির রয়েছে যার জল পবিত্র বলেই মনে করা হয়। দীঘার ভ্রমণপিপাসাদের কাছে চন্দনেশ্বর মন্দির একটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান দীঘার বুকে।
আরও পড়ুন
এছাড়াও পড়ুন:- সর্বশেষ খবর, সরকারি প্রকল্প, চাকরির খবর
17/ দীঘার জগন্নাথ মন্দির : –
নিউ দীঘার কাছেই গড়ে উঠছে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রাল বিরাট মন্দির যা দীঘার এক অন্য রূপ নিয়ে যাবে। ২০১৮ সালের মন্দিরটি তৈরি হবে বলে ঘোষণা করা হয় এবং যথারীতি সেই ঘোষণা অনুযায়ী 2022 সালের মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২৫ সালে এপ্রিল মাসে মন্দিরটি উদ্বোধন করার পরিকল্পনা চলছে।
দিঘার বুকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি হওয়া দীঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শনার্থীদের খুবই পছন্দের এবং আকর্ষণীয় হয়ে থাকবে। দীঘার স্নানের সাথে সাথে বহু মানুষ দিঘাতে ছুটে আসবেন জগন্নাথ দেবের দর্শন করার জন্য। এখানেও যথারীতি রথযাত্রার পালন করা হবে। তাই রথের সময় ভিড় জমবে দীঘার জগন্নাথ মন্দির।
18/ মৎস্য বন্দর শংকরপুর : –
দীঘা শহরের কাছে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য আরোহন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠা শংকরপুর মৎস্য বন্দর খুবই উল্লেখযোগ্য। দীঘা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই সংকরপুর মৎস্যবন্দর। এই মৎস্যবন্দরের কাছাকাছি আপনি থাকা খাওয়ার টুরিস্ট লজ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাবেন সংকর পুরে। তবে এখানকার সবচেয়ে আকর্ষণ লাল কাঁকড়া, যার জন্য বহু দর্শনার্থী ছুটে আছেন শংকরপুরের লাল কাঁকড়া দেখার জন্য।
19/ দর্শনীয় স্থান জুনপুট : –
কন্টাই থেকে যাত্রা শুরু করলে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দর্শনীয় স্থান যার নাম জুনপুট তবে এটি দীঘা থেকে বেশ খানিকটা ধরে প্রায় ৪১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ সুন্দর দর্শনীয় স্থানটি। যারা বারে বারে দীঘা ঘুরতে যান তারা এক অন্যরকম স্বাদ পাওয়ার জন্য ঘুরে আসতে পারেন অপরূপ সৌন্দর্য মন্ডিত প্রাকৃতিক আরেক সৃষ্টি জুনপুট। বিশাল ঝাও গাছ ঘেরা নির্জন শান্ত পরিবেশ আপনার পছন্দ হতে বাধ্য। দেখার কোলাহল থেকে শান্তির ছাড়া কচিতে প্রচুর মানুষ নিজের ব্যস্ততা জীবনের মাঝে খানিকটা প্রাকৃতিক উপভোগ করতে জুনপুট পৌঁছে যান।
20/ ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের মন্দির দীঘা :-
দীঘা ঘুরতে গেলে আরো এক সৌন্দর্য আপনার কাছে টানবে তা হচ্ছে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুল চন্দ্রের মন্দির।
আরও পড়ুন
এছাড়াও পড়ুন:- সর্বশেষ খবর, সরকারি প্রকল্প, চাকরির খবর
দীঘায় কম দামের হোটেল – সস্তায় দীঘা হোটেলের ঠিকানা
বাঙ্গালীদের কাছে প্রিয় ভ্রমনের জায়গা দীঘা। আর দীঘা নিয়ে মানুষের প্রচুর কৌতুহল রয়েছে যারা দীঘা ভ্রমণে যায় তিন থেকে চার দিন জমিয়ে আড্ডা করেন। তাই সকলের জানা খুব প্রয়োজন দীঘায় কম দামের হোটেল কোথায় রয়েছে তা জানাবো আপনাদের।
কিভাবে দীঘা কম দামের হোটেল বা অল্প মূল্যের হোটেল খুঁজবেন
দিঘাতে যেমন অল্প মূল্যের ভালো হোটেল থাকে তেমনই বহু হোটেল দিগুন তিনগুণ দামও নিয়ে থাকে। এবং অনেকে ফ্রড ও করে হোটেল ব্যবসায়ী। তাই বিশ্বস্ত হোটেল এবং স্বল্পমূল্যের হোটেল খুঁজতে কিছু রিভিউ দেখে নেবেন সেই হোটেলে যারা থেকেছে। এবং google ম্যাপে গিয়ে দিঘার সেই হোটেলের নাম সার্চ করে তার রিভিউ দেখে নেবেন। এবং কত টাকা কম দামে দিঘার হোটেল রয়েছে তাও গুগল ম্যাপে রিভিউতে দেখে নেবেন।
ইউটিউবে সার্চ করতে পারেন কম দামের হোটেল তাহলে বেশ কিছু ইউটিউবার যারা থেকেছে এরকম ভালো হোটেলের ঠিকানা আপনাকে দিয়ে দেবে। তবে তার আগে অবশ্যই নিজের একটু যাচাই করে নেবেন। তবে নিউ দীঘা বা ওল্ড দিঘা থেকে বেশি দূরে হোটেল নিতে যাবেন না কম দাম হলেও। সেক্ষেত্রে আপনার স্নান করতে এবং সন্ধ্যাবেলায় ভ্রমণ করতে গাড়ি ভাড়া করতেই বেশি খরচ পড়ে যাবে।
দীঘায় কমদামের হোটেল অগ্রিম বুকিং করার আগে দেখে নিন।
চেষ্টা করবেন যে দীঘার যে সমুদ্র বিচেই থাকুন না কেন। মান্দারমনি হোক বা নিউ দীঘা অথবা ওল্ড দিঘা বিচের কাছাকাছি মাঝারি দামের ভালো হোটেল নেবেন। কোন হোটেল অগ্রিম বুকিং করলে অবশ্যই সেই হোটেলের দুরত্ব দীঘার সমুদ্র সৈকত থেকে গুগল ম্যাপে আগেভাগে দেখে নেবেন। তাহলেই লো বাজেট দীঘার হোটেল আপনি পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দমত।
দীঘা পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর যাতে ঘুরতে সুবিধা হয় দীঘা দর্শনীয় স্থান গুলি
বাংলায় পর্যটন কেন্দ্র দীঘার ভূমিকা অপরিসীম বাঙ্গালীদের মনে বিজ্ঞানে অনবরত অনেক প্রশ্নই এসে থাকে। আজকে দীঘা দর্শনীয় স্থান ও দীঘায় ঘোরার জায়গা নিয়ে সমস্ত রকম প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করে দেব।
1/ একদিনের দীঘা ভ্রমনে দিঘার সেরা ৫টি স্থান কোনগুলি ?
উ:- একদিনের দীঘা ভ্রমণ করলে ভোরে উঠে নিউ দীঘার সূর্যোদয় দেখার পর টিফিন করে দিঘার সাইনসিটি পরিদর্শন করুন, দীঘার দর্শনীয় স্থান একুরিয়াম দেখার পর নিউ দীঘার একদম কাছে অবস্থিত অমরাবতি লেক ভ্রমণ করেন । রোপওয়ে এবং বোটে আনন্দ নিন অমরাবতি পার্কে। এরপরে ভাটার সময় দেখে নি। দীঘার সমুদ্রে ভাটা হওয়ার ঠিক তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে সমুদ্রে নেমে পড়ো জুটিয়ে দু থেকে আড়াই ঘন্টা সমুদ্রের ঢেউ নিয়ে খেলা করুন।
এরপরে দুপুরের খাবার খেয়ে খানিকটা ঝাউ গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিয়ে বিকেল বিকেল ওল্ড দিঘা ঘুরে দেখুন সেখানে প্রছন্দ মতো কিছু জিনিস কিনুন। তারপরে ওল্ড দিঘার ঘোড়ার হয়ে গেলে সমুদ্রের পাড় বরাবর পায়ে হেটে সমুদ্রের জলের উচ্ছ্বাস উপভোগ করতে করতে নিউ দীঘার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। তারপরে ঝাল মুড়ি পাপড়ি চাট খাওয়ার পর সরাসরি টিকিট কেটে প্রবেশ করুন নিউ দীঘার একদম শেষ প্রান্তে ঢেউ সাগর পার্কে ।
সন্দেহ ওঠার আগে ঢেউ সাগরের সম্পূর্ণ পার্ক টা ঘুরে দেখুন এবং সন্ধ্যা হলেই পৌঁছে যান ঢেউ সাগরের সমুদ্র কিনারায় । সেখানকার দোলনা অনেকটাই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ঢেউ সাগরের বিরাট দোলনায় দোল খাওয়ার পর তুর্কি আইসক্রিমের স্টলে গিয়ে পছন্দমত আইসক্রিম খেয়ে সমুদ্রের পাড়ে বসে আড্ডা দিন ।
এরপর নিউ দিঘার সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান নিউ দীঘা মার্কেট। নিউ দীঘা রাত্রিতে বিরাট মার্কেট বসে সেখানকার মাছের বাজার ভাজা মাছ কাকড়া ইলিশ মাছ সাথে সাথে টাটকা মাছ দেখি খান। কম দামের চক্করে বাসি মাছ খাবেন না। তারপরে সেই মার্কেটের পছন্দমত ঘর সাজানো এবং কিছু স্মৃতি নিয়ে যান দিঘা থেকে। এরপরেই যদি আপনি ওই রাত্রেই বাড়ি ফিরতে চান তাহলে গাড়ি করে বাড়ি ফিরুন।
আর যদি হোটেলে থাকতে চান কাছাকাছি হোটেল নিয়ে থেকে যান ভোর হলে বাড়ি চলে যাব। একদিনে দিঘার সৌন্দর্য উপভোগ করার বা দিঘা দর্শন করার সবচেয়ে কম খরচে সহজলভ্য দীঘার দর্শনীয় স্থানগুলি আপনাদেরকে জানালাম।
2/ দীঘার জগন্নাথ মন্দির নিউ দীঘা সমুদ্র সৈকত থেকে কত দূরে অবস্থিত ?
গড়ে উঠেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে নিউ দীঘা এবং ওল্ড দিঘা ঠিক মাঝামাঝি, দীঘা স্টেশনের কাছেই জগন্নাথ দেবের মন্দির। নিউ দীঘা থেকে পায়ে হাটা পাঁচ সাত মিনিটের রাস্তায় আপনি পৌঁছে যাবেন দীঘার জগন্নাথ মন্দির।অনেকটা এলাকা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে জগন্নাথ দেবের দীঘার জগন্নাথ মন্দির যা ধর্মীয় আবেগকে টেনে আনবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শনে।
3/ দীঘার জগন্নাথ মন্দির কত তারিখে উদ্বোধন হবে ?
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের আদলে দীঘার জগন্নাথ মন্দির ২৯শে এপ্রিল ২০২৫ জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করার দিন ঠিক হয়েছে। জনসাধারণের জন্য দীঘা জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে ৩০ এপ্রিল ২০২৫ থেকে।
“দীঘা ভ্রমণ গাইড ২০২৫: দর্শনীয় স্থান, কম দামের হোটেল ও জগন্নাথ মন্দির সম্পর্কে সবকিছু জানুন”-এ 2-টি মন্তব্য