জয়েন্ট পরীক্ষায় প্রথম: চিনতে পারছেন মেয়েটাকে সেই দেবদত্তা মাধ্যমিকের পর জয়েন্টে ও প্রথম

জয়েন্ট পরীক্ষায় প্রথম মমতার শুভেচ্ছা দেবদত্তা মাঝি বাংলায়
Ujjwal Dey

Published By Ujjwal Dey

Updated on: May 8, 2025

জয়েন্ট পরীক্ষায় প্রথম দেবদত্তা মাঝি বাংলায় সুখ্যাতি মাধ্যমিকের পর আবার প্রথম জয়েন্ট পরীক্ষায়
জয়েন্ট পরীক্ষায় প্রথম রেকর্ড করলেন দেবদত্তা মাঝি মাধ্যমিকের পর আবারো জয়েন্ট পরীক্ষায়

জয়েন্ট পরীক্ষায় প্রথম দেবদত্তা বাংলার মুখে দ্বিতীয়বার উজ্জ্বল করে দেখিয়ে দিল বাঙালিরা কি পারে। আগেও বহু পরীক্ষার্থী রেঙ্ক করেছে জয়েন্ট পরীক্ষায় তবে এবারে যে পাশ করেছে সে মাধ্যমিকেও রাজ্যের মধ্যে প্রথম ছিল। একটাই মেয়ে দুইবার বাংলার মুখে উজ্জ্বল পর্যায়ে পৌঁছে দিল। 

মাধ্যমিকে প্রথম হওয়া দেবদত্তাকে তখন যেমন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছিলেন। এবারেও বাংলার গর্বের মেয়ে দেবদত্তা মাজি কে শুভেচ্ছা বার্তা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

জয়েন্ট পরীক্ষায় প্রথম দেবদত্তা কি বললেন 

সারা ভারতীয় জয়ন্ত এন্ট্রান্স পরীক্ষা যার জন্য বছরের পর বছর পরিশ্রম করে আসছে বহু ছাত্র-ছাত্রী। আর এবার সেই জয়েন্ট পরীক্ষায় রেকর্ড করলেন বাংলারই এক মেয়ে গোটা দেশের মধ্যে 24 জন ১০০% পেয়েছেন এবার সেই তালিকায় জায়গা করে নিলেন বাংলার দুই পড়ুয়া যার মধ্যে একজন মাধ্যমিককে প্রথম হয়েছিল দেবদত্ত মাঝি এবং অপর একজন অর্চিষ্মান নন্দী।

কাটোয়ার বিদ্যাসাগর পল্লীতে বসবাস করেন দেবদত্তা মাঝি। পুরুলিয়া তে তারা আদি বাড়ি। বাবা-মা দুজনেই শিক্ষক-শিক্ষিকা। মায়ের স্কুলের ছাত্রী দেবদত্তা। এবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স এর প্রথম ধাপের পরীক্ষায় শীর্ষ ছিলেন রাজ্যের মধ্যে। আর ফাইনাল পরীক্ষায় 100% নম্বর পাওয়ার পর তেমন উচ্ছাস নেই দেবদত্তার বাড়িতে বলেই জানা গিয়েছে। তার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন সংবাদ মাধ্যম কে আসতেও না।

তবে উন্মাদনা বেলদা এলাকার বাসিন্দা অর্চিষ্মান কে নিয়ে। খড়্গপুরের ডিএভি স্কুলের ছাত্র ওরছিস মান আরো পড়াশোনা করে কম্পিউটার সায়েন্সের ইঞ্জিনিয়ার হতে চান। তার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে পরিবার। খরগোপুর এর কাছেই তারা বসবাস করতেন সেখানেই পড়াশোনা শুরু করেন এবং স্বপ্ন দেখেছিল ভবিষ্যতের। জয়েন্ট এন্ট্রান্স এর এই রেঙ্ক তাকে আরো শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে।

জয়েন্ট পরীক্ষায় প্রথম অর্চিষ্মান কোথায় পড়তেন 

অর্চিষ্মান প্রাথমিক পাঠ বাংলা মাধ্যমে বেলদা সংলগ্ন এক বিদ্যালয় শাউড়িতে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীকালে মায়ের চাকরি সূত্রে খড়্গপুরের বাসিন্দা তারা। এখানেই পঞ্চম শ্রেণী থেকে পড়াশোনা শুরু করেছিল জয়েন্ট পরীক্ষায় প্রথম ১০০ শতাংশ নাম্বার পেয়ে রেকর্ড গড়লেন  অর্চিষ্মান। তিনি জানিয়েছেন দাদুর কাছে খড়গপুর আইআইটি নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছেন। শুনেছেন সেখানকার অনেক গল্প তার স্বপ্ন কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করার। 

ছেলের সাফল্যে অগাধ খুশি বাবা-মা 99.98% নম্বর পেয়েছিলেন দুর্ঘটনা কবলে পড়েও অর্চিষ্মান। বাবা মিঠুন নন্দী বাবা অনিন্দিতা নন্দী ছেলের সাফল্যে প্রচন্ড খুশি। তার বাবা এক ওষুধ কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মী মা একজন বিদ্যালয়ের কর্মী ছেলের সাফল্যে বিরাট উন্মাদনা তাদের মুখে।

জয়েন্টে প্রথম হয়ে বাংলার গর্ব: দেবদত্তা মাঝি ও অর্চিষ্মান নন্দীর অনন্য সাফল্যের গল্প

এ যেন শুধুই সাফল্যের সংবাদ নয়, এ যেন গোটা বাংলার গর্বের মুহূর্ত! আবারও প্রমাণ হলো, পরিশ্রম, নিষ্ঠা আর লক্ষ্য ঠিক থাকলে অসম্ভব বলে কিছু নেই। মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে প্রথম হওয়া সেই দেবদত্তা মাঝি এবার জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাতেও দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে ইতিহাস গড়েছেন। একইসঙ্গে বাংলার আরও এক উজ্জ্বল মুখ, অর্চিষ্মান নন্দী, পেয়েছেন ১০০ শতাংশ নম্বর। একসঙ্গে দুই বাংলার সন্তান এই গর্ব এনে দিলেন গোটা রাজ্যবাসীর কাছে।

এক ইচ্ছাশক্তির নাম: দেবদত্তা মাঝি

দেবদত্তা মাঝির নাম এখন অনেকেই চেনে। যাঁরা একসময় খবরের কাগজে কিংবা টেলিভিশনে তাঁর মাধ্যমিকে রাজ্যসেরা হওয়ার সংবাদ পড়েছিলেন, তাঁদের কাছে এই খবর নতুন কোনো বিস্ময় নয়—কারণ ও যে প্রতিভার এক অনন্য নাম, সেটি বহু আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তবুও এই সাফল্য, এই ধারাবাহিকতা, এটিই আসলে বেশি করে প্রশংসনীয়।

পুরুলিয়ার আদি বাড়ি ছেড়ে বর্তমানে কাটোয়ার বিদ্যাসাগর পল্লীতে বসবাসরত দেবদত্তার পড়াশোনার পরিমণ্ডলটা বরাবরই একটু আলাদা ছিল। বাবা-মা দুজনেই শিক্ষক। মা-র স্কুলেই পড়েছে সে, মা-ই ছিলেন একাধারে শিক্ষিকা, অভিভাবক, এবং পথপ্রদর্শক। বাড়ির পরিবেশ পড়াশোনার জন্য অত্যন্ত অনুকূল ছিল, কিন্তু তাতে সহজেই সাফল্য আসে না—চাই একাগ্রতা, আত্মনিবেদন আর অসাধারণ মানসিক স্থিতি, যা দেবদত্তার মধ্যে ছেলেবেলা থেকেই ছিল।

জয়েন্ট পরীক্ষার প্রস্তুতির গল্প

জয়েন্ট পরীক্ষায় প্রথম : জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া কোনও ছেলেখেলা নয়। দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মেধাবী পড়ুয়া প্রতিযোগিতায় নামে, যেখানে শুধুমাত্র পড়ার ক্ষমতা নয়, বুদ্ধিমত্তা, স্ট্র্যাটেজি এবং মানসিক দৃঢ়তাও জরুরি। দেবদত্তার প্রস্তুতিতে কখনো কোনো ঢিলেমি ছিল না। মাধ্যমিকের ফলাফল সামনে রেখে সে জানত, তার ওপর প্রত্যাশার বোঝা বাড়বে অনেক বেশি। তাই শুরু থেকেই নিয়মিত রুটিনে পড়া, অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যমেই নিজেকে তৈরি করা, মক টেস্টে অংশ নেওয়া—এসব ছিল তার প্রতিদিনের রুটিনের অংশ।

জয়েন্ট পরীক্ষার প্রাথমিক পর্যায়ে রাজ্যের মধ্যে প্রথম হয়েই সে বোঝায় যে শেষ কথা এখনও বলা বাকি। আর সেই “শেষ কথা”-টাই বলল ফাইনাল রেজাল্টে—১০০ শতাংশ নম্বর পেয়ে গোটা দেশের মধ্যে সেরা ২৪ জনের তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়ে।

বিজ্ঞাপন

দেবদত্তার নম্রতা ও পরিণত মনোভাব

এই রকম সাফল্যের পরেও দেবদত্তা কিংবা তার পরিবারে তেমন কোনো উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি। বরং সংবাদমাধ্যমকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তারা কোনো মিডিয়া কভারেজ চাইছে না। কারণ, এই সাফল্য তাদের কাছে শুধু একটা ধাপমাত্র—প্রকৃত লক্ষ্য এখনো অনেক দূরে। দেবদত্তার মুখে শোনা যায়, “এখনো অনেকটা পথ চলা বাকি। মেডিক্যালে ভর্তি হওয়া, এরপর ভালো ডাক্তার হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো—এটাই আমার স্বপ্ন।” এই কথাগুলিই প্রমাণ করে, সত্যিকারের মেধাবী কখনও অহঙ্কারে ভোগে না।

অর্চিষ্মান নন্দী: আরেকটি বিস্ময়

দেবদত্তার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি নাম সমানভাবে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে—অর্চিষ্মান নন্দী। খড়গপুরের ডিএভি স্কুলের ছাত্র অর্চিষ্মান এবছর জয়েন্ট পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়ে চমকে দিয়েছেন সবাইকে। তার প্রাথমিক পড়াশোনা শুরু হয়েছিল মেদিনীপুর জেলার বেলদার শাউড়ি গ্রামের একটি ছোট্ট বাংলা মাধ্যম স্কুলে। পরে মায়ের চাকরির কারণে তারা খড়গপুরে চলে আসেন এবং সেখানেই তার শিক্ষা জীবন একটি নতুন মোড় নেয়।

অর্চিষ্মান জানান, তার দাদু অনেক গল্প বলতেন খড়গপুর আইআইটি নিয়ে। ছোটবেলা থেকেই কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করার স্বপ্ন বুনে চলেছিলেন তিনি। আর আজ সেই স্বপ্নের এক ধাপ এগিয়ে তিনি।

অর্চিষ্মানের সংগ্রাম ও সাফল্য

অর্চিষ্মানের গল্পটা শুধু মেধার নয়, চরম ধৈর্য আর সংকল্পেরও। কারণ, পরীক্ষার কয়েক মাস আগে একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন তিনি। শরীরে আঘাত লাগে, কিছুদিন পড়াশোনাতেও ছেদ পড়ে। কিন্তু সেই বাধাও তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ঘরে বসেই ধীরে ধীরে প্রস্তুতি চালিয়ে গেছেন। মনোবল হারাননি এক মুহূর্তের জন্যও।

তার বাবা মিঠুন নন্দী একজন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী এবং মা অনিন্দিতা নন্দী একটি স্কুলের কর্মী। ছেলের সাফল্যে তারা ভীষণ খুশি। মা জানান, “ছেলে ছোটবেলা থেকেই ভীষণ শান্ত আর মনোযোগী। খেলাধুলা বা বাইরে ঘোরাঘুরির প্রতি খুব একটা আগ্রহ ছিল না, বরং পড়ার বই, ইউটিউবের বিজ্ঞান ভিডিও, আর বিভিন্ন অনলাইন মক টেস্টেই ওর সময় কেটে যেত।”

শিক্ষক-শিক্ষিকার সন্তান, শিক্ষা তাঁদের রক্তে

দেবদত্তা ও অর্চিষ্মান—দুজনেই এমন পরিবারে বড় হয়েছে যেখানে পড়াশোনা ছিল প্রতিদিনকার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেবদত্তার মা নিজেই একজন শিক্ষিকা। স্কুল থেকে ফিরে বাড়িতেও তার পড়া আর শেখানোর মধ্যে দিয়েই কাটত। অন্যদিকে, অর্চিষ্মানের পরিবারেও শিক্ষার গুরুত্ব বরাবরই ছিল শীর্ষে। তারা জানতেন, এই প্রতিযোগিতার দুনিয়ায় টিকে থাকতে হলে শুধু পড়লেই হবে না—চাই সঠিক দিকনির্দেশনা, মানসিক দৃঢ়তা এবং অধ্যবসায়।

মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা ও গোটা বাংলার গর্ব

দেবদত্তার এই সাফল্যের পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আগেও মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রশংসা করেছিলেন। এবারেও তিনি দেবদত্তাকে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন, যেখানে লেখা ছিল, “তুমি শুধু নিজের নয়, গোটা বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছো। তোমার এই সাফল্য আরও অনেক ছেলেমেয়েকে অনুপ্রাণিত করবে।”

শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নয়, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, বন্ধু-বান্ধব, এমনকি প্রতিবেশীরাও গর্বিত এই দুই ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায়, পাড়ার আলোচনায়, খবরের কাগজে—সবখানেই এখন তাঁদের নাম।

ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলা

দেবদত্তা চান ডাক্তার হতে। মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চান। ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যে ছিল মানবিক গুণ। পাড়া-প্রতিবেশীর অসুস্থতা দেখলে ছোট ছোট প্রশ্ন করত, জানতে চাইত কীভাবে সুস্থ হয় মানুষ। আর অর্চিষ্মান চান কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে গবেষণা করতে। সে চায় এমন কিছু উদ্ভাবন করতে যা মানুষের জীবনকে সহজ ও সুন্দর করে তুলবে।

বিষয়দেবদত্তা মাঝিঅর্চিষ্মান নন্দী
বাসস্থানকাটোয়া, পূর্ব বর্ধমানখড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর
আদি বাড়িপুরুলিয়াবেলদা, পশ্চিম মেদিনীপুর
বিদ্যালয়মায়ের স্কুলেই পড়াশোনাডিএভি পাবলিক স্কুল, খড়গপুর
মাধ্যমিক ফলাফলরাজ্যসেরা (১ম স্থান)তথ্য নেই
জয়েন্ট রেজাল্ট১০০% (সারা দেশে শীর্ষ ২৪ জনের মধ্যে)১০০% (সারা দেশে শীর্ষ ২৪ জনের মধ্যে)
পেশাগত লক্ষ‍্যডাক্তারকম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশোনা, গবেষণা
বিশেষ চ্যালেঞ্জপ্রচার এড়িয়ে মনোযোগ ধরে রাখাদুর্ঘটনার পরও প্রস্তুতি অব্যাহত রাখা
পরিবারের পেশাবাবা-মা দুজনেই শিক্ষক-শিক্ষিকাবাবা ওষুধ কোম্পানিতে, মা বিদ্যালয়ে কর্মী
মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাহ্যাঁহ্যাঁ

উপসংহার

এই দুজনের গল্প আমাদের শিখিয়ে দেয়, প্রতিভা জন্মগত হলেও পরিশ্রম, নিয়মানুবর্তিতা আর সঠিক পথনির্দেশই তা সাফল্যে পরিণত করে। দেবদত্তা ও অর্চিষ্মান আজ বাংলার গর্ব—তাঁদের দেখেই নতুন প্রজন্ম শিখবে কীভাবে লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যেতে হয়।

জীবনের পথে একবার সফল হওয়া বড় কথা নয়, বারবার নিজেকে প্রমাণ করে যাওয়া, এবং নম্রতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়াটাই বড় কথা। এই প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং শ্রদ্ধা জানাই—কারণ তাঁরা শুধু পরীক্ষা নয়, একটা গোটা প্রজন্মকে জয় করতে শিখিয়েছেন।

১. দেবদত্তা মাঝি কে?

উত্তর: দেবদত্তা মাঝি একজন মেধাবী ছাত্রী যিনি মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম হয়ে নজর কেড়েছিলেন এবং ২০২৫ সালের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ১০০% নম্বর পেয়ে গোটা দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছেন। তিনি কাটোয়ার বাসিন্দা এবং তার মা একজন স্কুল শিক্ষিকা।

২. দেবদত্তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

উত্তর: দেবদত্তা ডাক্তার হতে চান। তার স্বপ্ন, মেডিক্যাল পড়াশোনা শেষ করে মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করা।

৩. অর্চিষ্মান নন্দী কে?

উত্তর: অর্চিষ্মান নন্দী খড়গপুরের ডিএভি পাবলিক স্কুলের ছাত্র। তিনিও জয়েন্ট পরীক্ষায় ১০০% নম্বর পেয়ে দেশের মধ্যে শীর্ষ ২৪ জনের তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তিনি কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চান।

৪. অর্চিষ্মান কীভাবে দুর্ঘটনার পরও প্রস্তুতি চালিয়ে গিয়েছিলেন?

উত্তর: অর্চিষ্মান একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লেও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েননি। বিশ্রামের সময় অনলাইন ক্লাস, মক টেস্ট ও নিজস্ব স্টাডি রুটিন মেনে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছিলেন।

৫. এই দুই ছাত্র-ছাত্রীর সফলতার পেছনে মূল কারণ কী?

উত্তর: নিয়মিত পড়াশোনা, আত্মনিয়ন্ত্রণ, পরিবার ও শিক্ষকদের সহায়তা এবং লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যাওয়া—এই গুণগুলোই তাঁদের সফলতার প্রধান চাবিকাঠি।

৬. দেবদত্তা ও অর্চিষ্মান কোন কোন জায়গার বাসিন্দা?

উত্তর: দেবদত্তার আদি বাড়ি পুরুলিয়ায় হলেও বর্তমানে তিনি কাটোয়াতে থাকেন। অর্চিষ্মানের পরিবার বেলদা থেকে খড়গপুরে চলে আসে, বর্তমানে সেখানেই থাকেন।

৭. জয়েন্ট পরীক্ষায় ১০০% নম্বর পাওয়া কতটা কঠিন?

উত্তর: এটি অত্যন্ত কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং। লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েকজনই এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেন। একনিষ্ঠ পরিশ্রম ও সঠিক প্রস্তুতির ফলেই এমন রেজাল্ট সম্ভব।

Leave a Comment

রাশিফল লটারি রেজাল্ট পূজার দিন বিয়ের লগ্ন পূর্ণিমা আমাবস্যা ছুটি ঘোষণা শুভ দিন ফর্ম মক টেস্ট কুইজ নোটস আবহাওয়া সোনা দাম গ্যাস দাম
⬅️ ➡️
×