নিজস্ব প্রতিবেদক, Bengal Job Study.in : “প্রশান্ত কিশোর বিজয়ী প্রার্থী হবেন না” — বিহারে নির্বাচন ২০২৫ প্রশান্ত কিশোর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আগেই যে জল্পনা শুরু হয়েছিল, এবার সেই জল্পনাকে নিজের কথাতেই মুছে দিলেন তিনি। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে — তিনি বিহারে নির্বাচন করবেন না। এই ঘোষণার ফলে রাজনীতির রাজপথে নতুন মোড় ঘুরতে পারে।
প্রশান্ত কিশোর বললেন: আমি নির্বাচনে ভাগ নেব না
প্রসঙ্গ হিসেবে, বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বেশ কয়েকদিন ধরেই জোর দানা বেঁধেছে সারগর্ভ জল্পনা — প্রশান্ত কিশোর কিসেরে রাঘোপুর আসনে তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না।
কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিশোর জানালেন — দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবং তিনি সেই সিদ্ধান্ত মেনে চলবেন। তাদের যুক্তি — প্রার্থী হিসেবে নামলে সাংগঠনিক কাজ থেকে তার মনোনিবেশ কমে যাবে, যা দলগত স্বার্থে উপকারী হবে না।
তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাঘোপুরে ইতিমধ্যেই অন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
দলের সিদ্ধান্ত: জনসুরজ পার্টির স্বার্থে
তিনি বলেন, দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আমি সেই সিদ্ধান্ত মেনে চলব —
“দলের বৃহৎ স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে; যদি আমি প্রার্থী হতাম, তখন যে মূল সাংগঠনিক কাজ আছে, সেখান থেকে আমার মন সরে যেত।”
এই সিদ্ধান্তে যে তার রাজনৈতিক রুচি এবং দলাত্মক শৃঙ্খলা প্রাধান্য পেয়েছে — তা মোটেই অগ্রাহ্য করার নয়।
নির্বাচনে জনসুরজ পার্টির চিত্র ও সম্ভাবনা
তিনি বলেন, বিহারে নির্বাচনে জনসুরজ পার্টি যদি ভালো ফল করে — তবে তার প্রভাব দেশের রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ হবে।
কিন্তু তিনি নিজের আশা এড়াননি — বললেন, কয়েক আসন পাওয়া সম্ভব, তবে “মিডল গ্রাউন্ড” কোনো অবস্থাতেই হতে পারবে না:
- ১০-এর কম আসন পাওয়া যেতে পারে
- অথবা ১৫০-এর বেশি
- তবে তা মাঝারি কোনো ফল হবে না — বা একেবারেই সফলতা, বা ব্যর্থতা হবে
এই আশাবাদ ও স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি দলকে কিছুটা আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে — কিন্তু বাস্তব চ্যালেঞ্জ কম নয়।
বিহার নির্বাচনের সময়সূচি ও প্রক্রিয়া
নিচে একটি সংক্ষিপ্ত সময়সূচি:
ধাপ | তারিখ / বিবরণ |
---|---|
ভোট গ্রহণ – প্রথম দফা | ৬ নভেম্বর |
ভোট গ্রহণ – দ্বিতীয় দফা | ১১ নভেম্বর |
ভোট গণনা | ১৪ নভেম্বর |
মোট আসন | ২৪৩টি বিধানসভা আসন |
এই সময়কালে রাজনৈতিক দলগুলোর গতিবিধি, মনোনয়ন যুদ্ধ ও জনমত পরিবর্তন দ্রুত ঘটে যাবে — এবং জনসুরজ পার্টির অবস্থান তৎক্ষণাৎ বিচার হবে।
চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যতের ধাপগুলি
চ্যালেঞ্জ
- প্রার্থীর অভাব: দলনেতা নিজে প্রার্থী না হওয়ায় জনসুরজ পার্টির মুখ হিসেবে নতুন কাউকে তুলে ধরা গুরুত্বপূর্ণ
- সংগঠনের শৃঙ্খলা অব্যাহত রাখা
- বিরোধী দলগুলোর আচরণ ও গঠনমূলক প্রচারণা মোকাবেলা
ভবিষ্যতের ধাপ
- প্রার্থী তালিকা ঘোষণা ও প্রচার গঠন
- জনসুরজ পার্টির ভোট কেন্দ্রীকরণ ও জনমত অধ্যয়ন
- এলাকায় কার্যকর সাংগঠনিক পদক্ষেপ ও সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ
এই প্রেক্ষাপটে “বিহারে নির্বাচন” বিষয়ক মানুষের মনোযোগ এখন বেশি।
পরবর্তী কিছু দিন রাজনীতি খুবই উত্তপ্ত হবে — জনসুরজ পার্টির অবস্থান চাইলে এ বিষয়ে সামলাতে হবে চমৎকার রাজনৈতিক কৌশল।
FAQ : বিহারে নির্বাচন ২০২৫ নিয়ে সাধারণ প্রশ্নোত্তর
প্রশান্ত কিশোর কেন বিহারে নির্বাচন ২০২৫-এ অংশ নিচ্ছেন না?
প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি এইবার বিহারে নির্বাচন ২০২৫-এ প্রার্থী হচ্ছেন না। তার মতে, দলের সাংগঠনিক কাজই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এবং তিনি সেটিতেই পূর্ণ মনোযোগ দিতে চান।
জনসুরজ পার্টির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী বিহারে নির্বাচন ২০২৫-কে ঘিরে?
জনসুরজ পার্টির লক্ষ্য হল রাজ্যে একটি নতুন রাজনৈতিক বিকল্প তৈরি করা। প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, তারা চান দলকে জনগণের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করতে, যাতে বিহারে নির্বাচন ২০২৫-এ ভালো ফলাফল অর্জন করা যায়।
রাঘোপুর আসনে প্রশান্ত কিশোরের পরিবর্তে কে প্রার্থী হবেন?
রাঘোপুরে জনসুরজ পার্টি ইতিমধ্যেই অন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। প্রশান্ত কিশোর নিজে প্রার্থী না হয়ে দলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা ও সংগঠন পরিচালনার কাজ দেখবেন।
বিহারে নির্বাচন ২০২৫-এ জনসুরজ পার্টির জয়ের সম্ভাবনা কতটা?
প্রশান্ত কিশোরের মতে, জনসুরজ পার্টি এই নির্বাচনে হয় খুব ভালো ফল করবে, নয়তো একেবারেই ব্যর্থ হবে — মাঝামাঝি কিছু হবে না। তার বিশ্বাস, মানুষ নতুন বিকল্প চায় এবং সেই কারণেই বিহারে নির্বাচন ২০২৫ তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।
বিহারে নির্বাচন ২০২৫-এর ভোটগ্রহণ কবে শুরু হবে?
বিহারে নির্বাচন ২০২৫-এর প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে ৬ নভেম্বর, দ্বিতীয় দফা ১১ নভেম্বর এবং গণনা হবে ১৪ নভেম্বর। মোট ২৪৩টি আসনে এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
প্রশান্ত কিশোরের এই সিদ্ধান্তে দলের কী প্রভাব পড়বে?
দলের ভেতরে এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশান্ত কিশোর প্রার্থী না হলেও সাংগঠনিকভাবে দলের নেতৃত্ব দেবেন, যা বিহারে নির্বাচন ২০২৫-এ জনসুরজ পার্টির প্রচার ও কৌশলকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।