
অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের জন্য সুখবর : বাজেটে ঘোষণা তাতেই প্রকৃত হবেন সারা বাংলার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল ফোন দেয়া হবে এবং যারা যারা রাজ্য সরকারের আশা আশাপদে চাকরি করেন তাদের জন্য বিরাট বড় সুখবর দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদেরকেও মোবাইল ফোন তুলে দেয়া হবে। রাজ্য সরকার তাদের কাজের মান আরো উন্নত করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ঘোষণা হলো কেন্দ্র বাজেটের পর রাজ্য বাজেট আর এবার বিরাট বড় খবর স্মার্টফোন পাবেন মহিলারা রাজ্যের আশা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর মহিলারা স্মার্টফোন পাবেন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বহুদিন ধরেই একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে মোবাইল ফোন দিয়ে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আর এবার বাজেটে বিরাট ঘোষণা ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ শুধুমাত্র মোবাইল ফোনের জন্য আসা এবং অঙ্গন বাড়ি কর্মীদের।
অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের মোবাইল ফোন দেবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়
পশ্চিমবঙ্গে মোট ৭০ হাজার আশা কর্মী এবং প্রায় লক্ষাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী রয়েছে। সেই সব অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশা কর্মীদের স্মার্ট ফোন কেনার জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন মমতা ব্যানার্জি। বুধবার রাজ্য বাজেটে পেশ করে এমনটাই অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন। আর তারপরেই বিষয়টি বিস্তারিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে ধরেছেন।
রাজ্য বাজেটে ঘোষণা করেন প্রায় লক্ষাধিক আশা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী তাদের কাজের সুবিধার জন্য স্মার্টফোন কিনে দেবে রাজ্য সরকার। এবং তাদেরকে মোবাইল ফোন দেওয়ার জন্য তাদের অংকের বরাদ্দ জানিয়ে দেয়া হলো।
অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের মোবাইল ফোন
অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের মোবাইল ফোন : চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন আশা কর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং কাছাকাছি স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সেতু বন্ধন তৈরি করেন। সেই সাথেই মা এবং শিশুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবা বরাবরই প্রদান করে আসছেন অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশা কর্মীরা।
এছাড়া অন্যান্য অসংক্রামক ব্যাধি যেরকম মধুমেয় রক্ষা ক্যান্সার ডেঙ্গু রক্তচাপ বিভিন্ন রোগের নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন বহুদিন ধরে। এবার তাদের কথা ভেবেই বিরাট সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার তাদের দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব যাতে পালন করতে পারেন সেই জন্য সাহায্যের হাত বাড়ালাম মমতা ব্যানার্জির সরকার তৃণমূল সরকার।
অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের মোবাইল ফোন কেন দেয়া হবে? কি কি কাজ করতে হবে?
বর্তমানে বহু পরিবর্তণ এসেছে কাজের ক্ষেত্রে অঙ্গন বাড়ি আশা কর্মীদের ও কাজের ধরন বদলেছে। তাদেরকে বিভিন্ন রকম অ্যাপ সফটওয়্যার দেওয়া হয়। বিভিন্ন কাজের জন্য তবে অনেকের ক্ষেত্রে মোবাইল কেনার সামর্থ্য নেই। যার ফোনে সঠিকভাবে কাজগুলো করতে পারে না। আর এবার তাদের হাতে মোবাইল কিনে দিয়ে যাতে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে তার দিকে নজর রাখলেন বাংলার মা মাটি মানুষের সরকার মমতা ব্যানার্জি।
তবে রাজ্য বাজেটে যে ঘোষণা হয়েছে তাতে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি সুকান্ত মজুমদার এটা ভাওতা ছাড়া কিছুই নাই একের পরে কথা বলেন। শুভেন্দু অধিকারী ও বিভিন্ন কথা বলে বিদ্রুপ করেন তবে দিনের বাজেটে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন।অন্যান্য রাজ্যে বহু আগেই আশাবাদ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা মোবাইল পেয়েছেন। এই প্রকল্পটি কেন্দ্র সরকারের বলে জানাচ্ছেন তারা। এই প্রকল্পে না নিজের নামে চালানোর চেষ্টা বলে বিদ্রুপ করছেন তারা।
তবে আপনার পরিচিত কোন আশা কর্মী বা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী থেকে থাকলে কিভাবে তারা মোবাইলটি পাবেন। বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের একের পর এক পোস্টে এই পোস্টটি শেয়ার করে তাদেরকে জানার সুযোগ করে দিন। যাতে তারা মোবাইল ফোন পেয়ে যান খুব সহজে। অঙ্গনওয়াড়ি আশা কর্মীদের মোবাইল মমতা।
এছাড়াও পড়ুন:- সর্বশেষ খবর, সরকারি প্রকল্প, চাকরির খবর
নতুন তিনটি অঙ্গন বাড়ি কেন্দ্রের উদ্বোধন খুশি কর্মীরা
এবার বিরাট বড় উদ্যোগ ছাত্র-ছাত্রী এবং কর্মীদের কথা মাথায় রেখে বিরাট উদ্যোগ নেয়া হলো রঘুনাথপুরে একই সাথে তিনটি অঙ্গনওয়াড়ি ভবন উদ্বোধন। এই তিনটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেই কোন ভবন ছিল না সে কথা চিন্তা করে এই ভবনগুলো তৈরি করে দেয়া হয়েছে তারা ক্লাব ঘর বা গাছ তলায় ত্রিপল টাঙ্গিয়ে কিংবা গ্রামের কোন বাসিন্দার বারান্দায় রান্না করতে হতো। তাদের সুবিধার জন্যই এমন উদ্যোগ নেয়া হলো এই উদ্যোগ নেওয়ার পর তারা যথেষ্ট খুশি।
এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলারা এবং শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় অনেক অসুবিধায় পড়তে হয় কোন নির্দিষ্ট ভবন না থাকায় এবার সমস্ত রকম সরকারি কাজের সুবিধা এ ভবনের মাধ্যমে দেওয়া যেতে পারে। অঙ্গনওয়াড়ি ভবনটি তৈরি করার পর তিনটি চাবি কর্মীদের এবং সহায়িকাদের হাতে তুলে দিতে তারা খুব খুশি হন।
প্রশাসন সূত্রে যেটুকু আপডেট পাওয়া গেছে তাতে জানা গিয়েছে রঘুনাথপুর ব্লকের জোরাডি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাগলা এবং চোলি আমার পঞ্চায়েতের উপরডি তে দুটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। আর তার সাথে জেরাডি গ্রাম পঞ্চায়েতের উসিডে একটা শিশুশিক্ষা কেন্দ্র এবং অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। এই রুমগুলো তৈরি করতে কমপক্ষে খরচ হয়েছে প্রত্যেকটিতে ১০ লক্ষ ১৭০০০ কোথাও ১৯ লক্ষ ৮৭ হাজার। ব্লক প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
অঙ্গনওয়াড়ি তৈরি করে দেওয়ায় তাদের মতামত নেয়া হলে একজন কর্মী বুলু মাঝি তিনি জানিয়েছেন যে কে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কোন নিজস্ব ভবন শীল না থাকায় ক্লাব ঘরে রান্না করতে হতো। তাতে খুব সমস্যার মুখে পড়তে হতো ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের। এবার বাচ্চাদের পড়াশোনার পাশাপাশি রান্নার কাজে আর কোন রকম অসুবিধা হইলো না বলে জানা গিয়েছে।
অর্থাৎ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরও যেমন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে আর এবার আশা কর্মীদেরও একইভাবে সুযোগ সুবধা দিল রাজ্য সরকার অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের মোবাইল ফোন দেবেন মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্য বাজেটে ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর অনেকটাই আশার আলো। কারণ অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের মোবাইল ফোন থাকলে রাজ্য সরকার যে সমস্ত কাজগুলো দিয়ে থাকে তারা আরো ভালোভাবে করতে পারবে। অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের মোবাইল ফোন না থাকায় তারা এতদিন ঠিকঠাক কাজ করে উঠতে পারত না এবার আর কোন অসুবিধা হবে না তাদেরও।
অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের মোবাইল ফোন দেওয়া ইতিমধ্যে চালু হয়ে গিয়েছে বা কোথাও এখনো চালু হয়নি তবে সারা বাংলায় খুব শীঘ্রই অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের মোবাইল ফোন পৌঁছে দেয়া হবে।