
উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ নতুন নিয়ম পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল ২০২৫ কঠোর নিয়ম মোবাইল পেলে পরীক্ষা বাতিল সব পরীক্ষা কেন্দ্রে কঠোর নিয়ম জারি হল।
সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে এই নিয়ম মেনে তবে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা হবে।
পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল ২০২৫ নতুন নিয়ম :-
মাধ্যমিক পরীক্ষায় যেমন একের পর এক পরীক্ষা বাতিল এবার উচ্চমাধ্যমিকেও কঠোর হলো পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক (HS) শিক্ষা কাউন্সিল ২০২৫ জারি করল বিরাট নিয়ম।
এবার থেকে সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে বাধ্যতামূলকভাবে দুটো সিসিটিভি ক্যামেরা থাকতে হবে একটি থাকবে পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান গেটে অপরটি থাকবে ভেন্য সুপারভাইজারের ঘরে যেখানে প্রশ্ন রাখা হয়।
তাই কোনরকম টুকলি ধরা পড়লে বা পরীক্ষায় কোন অনৈতিক উপায় অবলম্বন করলে যেমন কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংসদ এবার মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কঠোর নিয়ম জারি করল।
কারো কাছে পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল বা কোন ইলেকট্রনিক যন্ত্র পাওয়া সাথে সাথেই তার পরীক্ষা বাতিল করা হবে। এমনকি শেষ দিনেও যদি কোন পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে মোবাইল পাওয়া যায় তাহলে সেই পরীক্ষা বাতিল করবে পশ্চিমবঙ্গ ( west Bengal ) উচ্চ মাধ্যমিক 2025 কাউন্সিল ২০২৫ এর কঠোর নিয়ম অনুসারে।
পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল ২০২৫ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা উচ্চ মাধ্যমিকের :-
এ বছর পশ্চিমবঙ্গ ( west Bengal ) উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিল ২০২৫ জানিয়েছে উচ্চমাধ্যমিকে তাদের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৯ হাজার। গত বছরের তুলনায় প্রায় পৌনে তিন লক্ষ পরীক্ষার্থী কমে গিয়েছে। সাধারণত ২০২৩ সালে মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী কম ছিল তাই এ বছরের পরীক্ষার্থী সংখ্যাও কম বলে মনে করছে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল ২০২৫ ।
এছাড়াও পড়ুন:- সর্বশেষ খবর, সরকারি প্রকল্প, চাকরির খবর
পশ্চিমবঙ্গ এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ( west Bengal ) উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল ২০২৫ চালু করছে তিন মাস চলবে ১৮ই মার্চ পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিকের দশটা থেকে পরীক্ষা চলবে দুপুর 12 টা 45 পর্যন্ত।
তবে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ( west Bengal ) উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিল ২০২৫ উচ্চ মাধ্যমিকের কঠোর নিয়ম যেখানে বাধ্যতামূলকভাবে দুটো সিসিটিভি ক্যামেরা থাকতেই হবে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল (WBCHSE): পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষার মেরুদণ্ড
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যা রাজ্যের ১০+২ স্তরের শিক্ষাব্যবস্থার মানোন্নয়ন ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে।
১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল, রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর সদর দফতর কলকাতার সল্টলেকে অবস্থিত এবং এটি পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার স্কুলের সঙ্গে সংযুক্ত।
প্রতিষ্ঠা ও কাঠামো
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল ১৯৭৫ সালের একটি আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সেই সময় থেকেই এটি পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে সুসংগঠিত ও মানসম্পন্ন করে তুলতে কাজ করছে।
বর্তমানে কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে রয়েছেন ড. চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এবং সচিব পদে রয়েছেন ড. প্রিয়দর্শিনী মল্লিক।
মূল দায়িত্ব ও কার্যক্রম
- উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার গঠন ও রূপরেখা নির্ধারণ
- স্কুলকে স্বীকৃতি প্রদান ও পরিদর্শন
- পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নির্ধারণ
- উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান ও বৃত্তির সুযোগ
পাঠ্যক্রম ও বিষয়বস্তু
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে দুটি শ্রেণির জন্য (একাদশ ও দ্বাদশ) পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করে। নতুন সিলেবাসে বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে যা আধুনিক শিক্ষার চাহিদা অনুযায়ী সাজানো হয়েছে।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ১৭টি বিষয়ে নতুন সিলেবাস চালু করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল, যার ফলে ছাত্রছাত্রীদের কাছে বিষয়বস্তুর ব্যাখ্যা আরও সহজতর হয়েছে।
সেমিস্টার সিস্টেম চালু
বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করেছে, যার ফলে পরীক্ষার চাপ কমেছে ও ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ সহজ হয়েছে।
প্রতি শ্রেণিতে দুটি করে সেমিস্টার নেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে কিছুতে MCQ ও কিছুতে বিস্তারিত প্রশ্ন থাকে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বেশি ফলপ্রসূ ও সময়োপযোগী পদ্ধতি।
ডিজিটাল পরিবর্তন ও প্রযুক্তির ব্যবহার
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল রূপান্তরের পথে অগ্রসর হয়েছে। অনলাইন ফর্ম পূরণ, রেজিস্ট্রেশন, অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড এবং রেজাল্ট দেখার সুবিধা এখন শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই পাচ্ছে।
এই উদ্যোগের ফলে প্রায় ১৮ লক্ষ শিক্ষার্থী উপকৃত হচ্ছেন।
বৃত্তি ও সুযোগ-সুবিধা
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল বিভিন্ন বৃত্তি, পুরস্কার ও সম্মাননার মাধ্যমে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করে। শিক্ষক-প্রশিক্ষণ ও বিদ্যালয় প্রধানদের ওয়ার্কশপের ব্যবস্থাও এই কাউন্সিল নিয়মিতভাবে করে থাকে।
উপসংহার
সার্বিকভাবে বলা যায়, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের আধুনিক পদ্ধতি, নতুন পাঠ্যক্রম এবং প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনে সাহায্য করছে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল ভবিষ্যতে আরও উন্নত ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা পরিবেশ তৈরি করবে, এই আশাই করি।