
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প বা লক্ষী ভান্ডার স্কিম পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের জন্য একটি সরকারি প্রকল্প। আজকের প্রতিবেদনে জানবো পশ্চিমবঙ্গ লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প অনলাইন আবেদন পদ্ধতি, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে নথি কি কি লাগবে, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে যোগ্যতা কি লাগবে, লক্ষ্মীর ভান্ডার স্ট্যাটাস চেক কিভাবে করবেন। পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে এই প্রকল্প।
তাই আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য কি, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা কি রয়েছে, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে কারা সুবিধা পাবে, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের যোগ্যতার কি থাকতে হবে, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের বয়স কত লাগবে, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের স্ট্যাটাস গুলো কিভাবে চেক করবেন বিস্তারিত যদি আপনি জানতে চান তাহলে আমাদের প্রতিবেদনটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুঁটিনাটি দেখতে থাকুন কারণ এই প্রতিবেদনের মাঝেই লক্ষ্মীর ভান্ডারে যাবতীয় তথ্য গুলি উপস্থাপন করা রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প বা লক্ষ্মীর ভান্ডার যোজনার উদ্দেশ্য
প্রকল্পটির নাম | পশ্চিমবঙ্গ লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প |
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পটি চালু করেছে কোন সরকার | পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করেছে |
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য | লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের উদ্দেশ্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা |
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে কারা সুবিধা পাবেন | পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী সমস্ত মহিলা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন |
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প কিভাবে আবেদন করা যায় | অনলাইন এবং অফলাইন দুটো প্রক্রিয়াতে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প আবেদন করা হয়ে থাকে। |
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প কত সালে প্রথম চালু হয় | ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। |
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প জেনারেল কাস্ট এর জন্য কত টাকা দিয়ে থাকে | প্রথমে প্রত্যেক মাসে জেনারেলদের ৫০০ টাকা দেয়া হতো এখন লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা বাড়িয়ে জেনারেলদের জন্য ১০০০ টাকা করা হয়েছে |
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প জাতি উপজাতি অর্থাৎ এস টি এস সি কাস্ট এর জন্য কত টাকা দিয়ে থাকে | প্রথমে তফসিল জাতীয় পদার্থের মহিলারা ১০০০ টাকা পেতেন লক্ষীর ভান্ডারে বর্তমানে তাদের টাকা বাড়িয়ে রাজ্য সরকার ১২০০ টাকা করেছে। |
পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের নিয়ম কানুন গুলি কি কি
পশ্চিমবঙ্গ লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে বেশ কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে তবে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন নিচে সমস্ত নিয়ম কানুনগুলি এক এক করে উল্লেখ করা হলো:
- লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প আবেদন করতে কোনরূপ টাকা-পয়সার প্রয়োজন প্রয়োজন নয় বিনামূল্যে এই প্রকল্প আবেদন করা যায়।
- লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার পূর্বে বেশ কিছু কাগজপত্র আপনার কাছে রাখতে হবে অর্থাৎ যে সমস্ত নথিগুলো প্রয়োজন লক্ষ্মীবাণুর আবেদনে তার মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য আধার কার্ড এবং ব্যাংকের পাস বই। আর সেই সাথে বাসিন্দা সার্টিফিকেট, ইনকাম সার্টিফিকেট।
- লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প আবেদনকারীকে অবশ্যই ব্যাংকের পাস বইয়ের সাথে আধার কার্ড যুক্ত রাখতে হবে।
- লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প আবেদন করতে গেলে আপনার বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৬০ বছর । কেবলমাত্র মহিলা প্রার্থীরাই আবেদনে যোগ্য।
- লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প স্থানীয় ভিডিও অফিসার আবেদন করতে পারেন অথবা দুয়ারের সরকারি গিয়েও আপনি বিনামূল্যে আবেদন করতে পারেন।
লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্যের ভান্ডার প্রকল্প চালু করেছেন সমস্ত পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের আর্থিক সুবিধা প্রদান করার জন্য।কেবলমাত্র মহিলারাই এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন এবং তফসিল জাতি উপজাতিদের অধিক সুবিধা দেওয়া হবে। সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা ১০০০ টাকা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে বর্তমানে পেয়ে থাকেন। এবং তফসিল জাতি উপজাতির মহিলারা প্রত্যেক মাসে ১২০০ টাকা পেয়ে থাকেন ।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে যারা আবেদন করবেন তাদের অর্থ সরাসরি ব্যাংকের একাউন্টে প্রদান করা হবে। একটি পরিবারে যত সংখ্যক মহিলা থাকবে সকলকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় আনা হবে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করায় সারা বিশ্বের সুনাম অর্জন করেছেন। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য নারী ও শিশু উন্নয়ন দপ্তরের কাছে পুরস্কার ও পেয়েছেন। ভান্ডার প্রকল্প চালু করায় বিশ্বের দরবারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নাম অর্জন করেছেন। এবং বাংলাকে এক অন্য জায়গায় নিয়ে গেছেন লোকটির ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে।
পশ্চিমবঙ্গের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করার মূল উদ্দেশ্য
পশ্চিমবঙ্গ সরকার লক্ষীর বান্ডেল প্রকল্প চালু করেছে এই প্রকল্প চালু করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী সমস্ত মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। এবং পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মহিলাকে সক্ষম করে তোলা। যখন প্রথম ২০২১ সালের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প চালু হয়েছিল প্রথমে ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকা করে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছিল। সাধারণ সম্প্রদায়ের মহিলারা 500 টাকা করে পেতেন এবং তফসিল জাতির উপজাতির মহিলাদের ১০০০ টাকা প্রদান করা হতো।
বর্তমানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে বাংলার প্রসার এবং নারীদের আরো উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা বৃদ্ধি করেছেন। বর্তমানে লক্ষির ভান্ডার প্রকল্পে প্রত্যেক মাসি ব্যাংকের একাউন্টে সাধারণ মহিলাদের ১০০০ টাকা প্রদান করেন এবং তফসিল জাতীয় প্রজাতি মহিলাদের হাজার দুশো টাকা প্রদান করেন।।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য গুলি হলো:
- লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো মহিলাদের আর্থিকভাবে সক্ষম করে তোলা
- লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে গ্রামীন কোন নগরের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করে তোলা।
- গ্রামীণ মহিলা এবং শহরের মহিলাদের স্বনির্ভর করে তালা।
- লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী সমস্ত মহিলার দৈনিক আর্থিক চাহিদা পূরণ করা।
এছাড়াও পড়ুন:- সর্বশেষ খবর, সরকারি প্রকল্প, চাকরির খবর
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প চালুর বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছেন এই প্রকল্প চালু করার বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা গুলি নিচে উল্লেখ করা হল :
- পশ্চিমবঙ্গ সরকার মহিলাদের জন্য চালু করায় এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প।
- এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের পারিবারিক অর্থ প্রদান করে।
- এই প্রকল্প পূর্বে ৫০০ ও ১০০০ টাকা দেয়া হলেও বর্তমানে এই প্রকল্পের সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা ১০০০ টাকা পেয়ে থাকেন এবং এস টি,এস সি শ্রেণীর মহিলারা ১২০০ টাকা পান।
- লক্ষিত ভান্ডার কর্মসূচির ফলে পশ্চিমবঙ্গের ১.৬ কোটি পরিবার সহায়তা পাবে।
- এই প্রকল্পের সাহায্যে মাসিক মহিলাদের খরচের ১০ থেকে ২০ পার্সেন্ট টাকা সাহায্য করা হবে।
- লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সমস্ত টাকা উক্ত ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তরিত করা হবে।
- এস টি এস সি সম্প্রদায়ের প্রত্যেকটি পরিবার এই কর্মসূচির অধীনে আবেদন করতে পারবেন সাধারণ মহিলারাও প্রকল্প আবেদনের যোগ্য।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের এমন নামকরণের কারণ
গ্রাম বাংলার মহিলাদের আমরা সাধারণত লক্ষ্মী রূপেই বিবেচনা করে থাকি। বিশেষ করে গ্রামীন স্ত্রীদের। আরো বহুদিন থেকেই তাদের বাড়িতে ছোট ছোট মাটির পাত্রে টাকা জমিয়ে রাখত। এবং প্রয়োজন হলে তা খরচ করত। সেই মাটির পাত্রকে বলা হতো ভান্ডার। যেহেতু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সমস্ত মহিলাদের জরুরী সময়ে টাকা সরবরাহ করার জন্য এই টাকা প্রদান করা হচ্ছে। তাই মিসেস ভাবেই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার। এবং এই নামকরণের জন্যই এই প্রকল্প বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প আবেদনের জন্য কি কি নথিপত্রের প্রয়োজন
আপনার কাছাকাছি বিডি অফিস কিংবা দুয়ারে সরকারের প্যান্টে লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য আবেদন করতে পারেন। অনলাইন অথবা অফলাইনে আবেদন করার জন্য যে সমস্ত নথি প্রয়োজন তা হল :
- আবেদনকারীর আধার কার্ড
- আবেদনকারীর জাতিগত শংসাপত্র বা কার সার্টিফিকেট
- বাসিন্দা সার্টিফিকেট
- রেশন কার্ড লাগবে
- বয়সের প্রমাণপত্র
- পায়ের প্রমাণপত্র অর্থাৎ ইনকাম সার্টিফিকেট
- আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ফটো
- ব্যাংক একাউন্টের সঠিক বিবরণ
লক্ষ ভান্ডার আবেদনের জন্য কি কি যোগ্যতার প্রয়োজন
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার জন্য যে যোগ্যতার প্রয়োজন ত নিচে একের পর এক উল্লেখ করা হলো :
- লক্ষীর ভান্ডারে আবেদন করতে হলে অবশ্যই মহিলাকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
- লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প আবেদনের জন্য কমপক্ষে ২৫ বছর বয়স হতে হবে।
- লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে তাদের বয়স্ক ভাতায় রূপান্তরিত করা হবে ( মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা থেকে জানা গিয়েছে )
- আবেদনকারীর একটি ব্যাংকের একাউন্ট থাকতেই হবে।
- লক্ষীর ভান্ডারে আবেদন করতে হল ব্যাংকের একাউন্টের সাথে আধার কার্ড যুক্ত থাকা বাধ্যতামূলক।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প আবেদনের স্ট্যাটাস চেক করবেন কিভাবে
পশ্চিমবঙ্গের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প আবেদন করার পর কিভাবে স্ট্যাটাস চেক করবেন তা নিচে উল্লেখ করা হলো :
- ধাপ ১ : লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান
- ধাপ ২ : লক্ষীর লগইন করার প্রথম পেজটি খুলুন।
- ধাপ ৩ : উপযুক্ত স্থানে আপনার মোবাইল নম্বর লিখুন এবং ওটিপি অপশন এ ক্লিক করুন
- ধাপ ৪ : ওটিপি মোবাইল নাম্বারে আসার সাথে সাথে আপনি যথা জায়গায় ওটিপি দিয়ে সাবমিট করুন।
- ধাপ ৫ : লগইন অপশন আপনার সামনে চলে আসবে সেখানে ক্লিক করে লগইন করুন।
- ধাপ ৬ : লক্ষীর ভান্ডার এর স্ট্যাটাস অপশনে ক্লিক করুন।
- ধাপ ৭ : যেখানে আবেদন করেছেন সেইখান থেকে পাওয়া আপনার রেফারেন্স নম্বরটি ফিলাপ করুন।
- ধাপ ৮ : এরপরে স্ট্যাটাস চেক করার অপশনে ক্লিক করুন।
- ধাপ ৯ : আপনার লক্ষীর ভান্ডারের স্ট্যাটাস কি রয়েছে দেখে নিন
লক্ষীর ভান্ডার ওয়েবসাইটে কি করে লগইন করবেন অনলাইনে
লক্ষীর প্রকল্পে খুব সহজে আপনি লগইন করতে পারবেন নিচের পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করলে :
- ধাপ ১: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্যের ভান্ডার প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি সার্চ করবেন।
- ধাপ ২ : লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট টু হোম পেজ ভিজিট করুন।
- ধাপ ৩ : লগইন করার জন্য আপনার মোবাইল নম্বরটি এন্টার করুন
- ধাপ ৪ : মোবাইল নম্বর দেওয়ার পর ওটিপি জন্য ক্লিক করুন
- ধাপ ৫ : উপযুক্ত স্থানে ওটিপি দিয়ে লগইন অপশনে ক্লিক করলেই আপনি সফলভাবে লগইন করতে পারবেন।
লক্ষীর ভান্ডারে পেমেন্ট ঢুকেছে কিনা কিভাবে পেমেন্ট স্ট্যাটাস চেক করবেন
- লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করে হোমপেজে ক্লিক করুন।
- যেকোনো একটি অপশন ক্লিক করে উপযুক্ত তথ্য দিন আপনার আইডি নাম্বার অথবা মোবাইল নম্বর বা আধার নম্বর না হলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের নম্বর দিয়ে।
- এরপরে ক্যাপচার কোড লিখে সার্চ অপশনটিতে ক্লিক করুন।
- এরপরে আপনার মাসিক পেমেন্টের অবস্থান দেখতে পারবেন লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প আবেদনের পদ্ধতি
পশ্চিমবঙ্গ লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকে দুই ভাবে আবেদন করা যায় :
- অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি
- অফলাইনে আবেদন পদ্ধতি
লক্ষীর ভান্ডার অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প অনলাইন আবেদন করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
লক্ষ্মীবাংলার প্রকল্প অনলাইনে আবেদন করতে কতগুলো স্টেপ গুলি নিচে দেয়া হল :
- গুগলে গিয়ে লক্ষীর ভান্ডার সার্চ করলেই সরকারের তরফ থেকে প্রকাশিত করা ওয়েবসাইটে আপনি চলে আসবেন আর ওই ওয়েবসাইটে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন ভান্ডার প্রকল্পের জন্য।
- সরাসরি পিডিএফ ফরম্যাটেও ডাউনলোড করতে পারবেন লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প আবেদন করার জন্য।
- সরকারি ওয়েবসাইট থেকেই ফ্রম ডাউনলোড করার পর সেতু প্রিন্ট আউট বের করে নিজের মতো করে ফিলাপ করতে হবে।
- সেখানে পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগাতে হবে।
- তারপর প্রয়োজনীয় নথি সমেত আবেদন পত্রটি জমা দিতে হবে পঞ্চায়েত অফিস কিংবা বিডিও অফিসে।
- এভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প আবেদন করতে পারবেন
লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প অফলাইনে আবেদনের পদ্ধতি
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে যে সমস্ত প্রকল্প চালু করা হয়েছে প্রত্যেকটি প্রকল্পই সরকারিভাবে দোয়ারে সরকারি শিবিরে আবেদন করা যায়। কেউ যদি অফলাইনে দুয়ারে সরকার প্রকল্পে গিয়ে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে চান তাহলে তোয়ারে সরকার প্রকল্পে গিয়ে লক্ষীর ভান্ডার ক্যাম্পে যেতে হবে। এই ক্যাম্পে লাইন দিয়ে ইউনিক নাম্বার ফরম দেয়া হবে সেই ইউনিক নাম্বার ফরমটিতে ফিলাপ করে নথী সমেত আবেদনপত্রের কপি ক্যাম্পাসে জমা দিতে হবে।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প আবেদন করার জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড প্রয়োজন ?
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর প্রয়োজন কিনা তা জানিয়ে দেবো আজকের প্রতিবেদনে। বহুদিন ধরে এই প্রশ্নটি সবার মনে একটা চাপ দেয়া আছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড প্রয়োজন নাকি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ছাড়াও লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করা যাবে। আপনাদের প্রত্যেকে জানিয়ে রাখি প্রথম যখন লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করা হয় তখন সরকারিভাবে জানানো হয়েছিল লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদন করার জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড প্রয়োজন। যাদেরই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ছিল তারাই কেবলমাত্র লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে।
তবে বর্তমানে সেই নিয়মের বদল করা হয়েছে এমন কি ফর্মও পাল্টে দেওয়া হয়েছে যেখানে পূর্বে অবশ্যই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল এখান তা অপশানাল হিসেবে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এখন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকলেও অন্যান্য নথি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হলেই আবেদন করতে পারবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প।
তাই বর্তমানে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কোন প্রয়োজন নেই লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আবেদনের জন্য। তবে কেউ চাইলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জেরক্স সাথে দিতে পারে। তবে বর্তমানে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ছাড়াই প্রচুর মহিলা আবেদন করে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা সংগ্রহ করেছেন।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের কিছু তথ্য
লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | এখানে ক্লিক করুন |
রাজ্য সরকারের প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | এখানে ক্লিক করুন |
লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম ডাউনলোড লিংক | এখানে ক্লিক করে ফর্ম ডাউনলোড করুন |
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি | এখানে ক্লিক করে দেখুন |
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের অফলাইনে আবেদন কোথায় করবেন | এখানে ক্লিক করে দেখুন |
লক্ষীর ভান্ডার সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
1/ লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে কত বছর বয়স হলে আবেদন করতে পারবে ?
উ: পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী যে কোন মহিলার বয়স ২৫ বছর হয়ে থাকলে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
2/ লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে বছরে কত টাকা দিয়ে থাকে?
উ: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের প্রতি মাসে সাধারণের জন্য ১০০০ টাকা এবং তফসিল জাতি উপজাতির জন্য এক হাজার দুশো টাকা প্রদান করা হয়। সে অনুযায়ী সাধারণ দের বছরে ১২০০০ টাকা এবং তফসিল জাতি উপজাতিদের লক্ষ্যের ভাণ্ডার বছরে ১৪৪০০ টাকা দিয়ে থাকে।
3/ বিয়ের পর কিভাবে লক্ষীর ভান্ডারের জন্য আবেদন করা যাবে ?
উ: বিয়ে হয়ে গেলে যদি ডকুমেন্টস চেঞ্জ না হয় তাহলে আপনার আধার কার্ডের ডকুমেন্টস চেঞ্জ করে নিয়ে সেই ডকুমেন্টস দিয়ে ব্যাংকে একটি পাস বই খুলবেন। এবং নতুন পাস বই ও আধার কার্ড দিয়ে লক্ষীর ভান্ডারের জন্য বিবাহের পর আবেদন করা যাবে।
4/ লক্ষী মন্ডল এর ব্যালেন্স কিভাবে চেক করা যায় ?
উ: লক্ষীর ভান্ডারের ব্যালেন্স চেক করার জন্য লক্ষীর ভান্ডারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স এবং লেনদেনের হিস্টোরি চেক করতে পারবেন। সেখানে অবশ্যই আপনাকে মোবাইল নম্বর এবং ওটিপি দিয়ে লগইন করতে হবে।
5/ লক্ষীর ভান্ডারে আবেদনের জন্য কি কি নথি প্রয়োজন ?
উ: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প আবেদনের জন্য আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ব্যাংকের পাস বই এবং আরো অনেক তথ্যের প্রয়োজন যেগুলো জানতে হলে এখানে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন।
6/ অবিবাহিত মেয়েরা লক্ষ্মীর ভান্ডার জন্য আবেদন করতে পারবেন ?
উ: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প আবেদন করার জন্য যে কোন মেয়ে যোগ্য সে বিবাহিত হোক কিংবা অবিবাহিত। শুধুমাত্র ২৫ বছর বয়স হলেই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন গ্রামের এবং শহরের সমস্ত মেয়েরা।
7/ পশ্চিমবঙ্গের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম কিভাবে ডাউনলোড করব ?
উ: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম ডাউনলোড করার জন্য উপরে উল্লেখিত বক্সে লিংক দেয়া আছে এখানে ক্লিক করে দেখে নিন
8/ যাদের ওবিসি সার্টিফিকেট রয়েছে তারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে কত টাকা পাবেন ?
উ: কেবলমাত্র যারা এস টি, এস টি তারাই প্রকল্পে এক ১২০০ টাকা করে পাবেন বাকি জেনারেল এবং ওবিসি সকলেই সমান টাকা অর্থাৎ ১০০০ টাকা করে পাবেন।
9/ ব্যাংকের জয়েন্ট একাউন্ট থাকলে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাওয়া যাবে ?
উ: আবেদনে উল্লেখ করা রয়েছে আবেদনকারী ব্যক্তির সিঙ্গেল একাউন্ট লাগবে। তাই আপনি ভুল করেও জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট আবেদন করবেন না আপনার নামে একটা সিঙ্গেল একাউন্ট বানিয়ে তবেই আবেদন করবেন।
10/ লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প কি ?
উ: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চালু করা মহিলাদের আর্থিক সুবিধা প্রদান করার এক অভিনব প্রকল্প লক্ষ্যের ভান্ডার প্রকল্প এই প্রকল্পের মাধ্যমে আবেদন করে প্রত্যেক মাসে এক হাজার থেকে বারোশো টাকা অব্দি পাওয়া যায়
11/ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ছাড়া কি লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প আবেদন করা যাবে ?
উ: লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প আবেদন করার জন্য স্বাস্থ্য সাথীর প্রয়োজন হয় না বর্তমানে। এতদিন লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সাথে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বাধ্যতামূলক থাকলেও বর্তমানে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ছাড়া প্রচুর মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা পেয়েছেন। সরকারের তরফ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ছাড়া ও লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প আবেদন করতে পারবেন।
12/ লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে টাকা একটি পরিবারে কতজন পাবেন ?
উ:- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে একটি পরিবারে যতজন মহিলা থাকবেন প্রত্যেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যেকের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প থেকে টাকা পাবেন। তারা একই পরিবারের হলেও প্রত্যেককে টাকা পাবেন।