
তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থ ও তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা উচ্চারণ : আজ আমরা আলোচনা করব তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থ সহ উচ্চারণ । এই পোস্টটি সম্পূর্ণরূপে পড়ার পর তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ সহ উচ্চারণ করতে আর কোন অসুবিধা হবে না।
আমি আশা করি আজকের পোস্ট টি দেখার পরে তারাবি নামাজের মোনাজাত সম্পর্কিত আর কোন পোস্ট দেখার প্রয়োজন হবে না । আপনি ইতোমধ্যেই অনেক পোস্ট দেখেছেন সেখানে তারাবি নামাজের মোনাজাতের সাথে অর্থের কোন মিল নাই আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে তারাবি নামাজের মোনাজাত আরবি বাংলা উচ্চারণ এবং অর্থসহকারে ভেঙ্গে ভেঙ্গে খুব সহজে মুখস্ত করিয়ে দিব ।
তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থ সহ উচ্চারণ এর সাথে কি কি জানতে পারবেন আজকের পোস্টে
তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ ছাড়াও আরো জানিয়ে দিব তারাবি নামাজের মোনাজাত চার রাকাত পর পর করতে হয় নাকি একেবারে শেষে গিয়ে করতে হয় তারাবি নামাজের মোনাজাতের ভেতর এই মোনাজাতটি বাদে অন্য কোন দোয়া পড়া যাবে কিনা বাংলাতে আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়া যাবে কি না ।
তারাবি নামাজের মোনাজাত কখন করতে হবে ?
তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থ সহ উচ্চারণ দেখার আগে প্রথমে আমরা জেনে নিব তারাবি নামাজের মোনাজাত কখন করতে হবে। তারাবি নামাজের মোনাজাত একেবারে শেষে গিয়ে করতে হবে। দুই রাকাত পড়ে বা চার রাকাত পড়ে মোনাজাত করার কোন প্রয়োজন নাই আপনি তারাবি নামাজ যে কয় রাকাত পড়বেন ওই কয় রাকাত পড়ে শেষ করে এরপর মোনাজাত করতে হবে ।
তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থ সহ উচ্চারণ
নিচে পরপর তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা উচ্চারণ এবং তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থ উল্লেখ করলাম
তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান নার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফারু, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তারু, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বারু, ইয়া খালিকু ইয়া বাররু। আল্লাহুম্মা আঝিরনি মিনান নার। ইয়া মুঝিরু ইয়া মুঝিরু ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থ
হে আল্লাহ, আমরা জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই, হে জান্নাত ও জাহান্নামের সৃষ্টিকর্তা, তোমার রহমতে, হে পরাক্রমশালী, হে ক্ষমাশীল, হে উদার, হে আবরণকারী, হে করুণাময়। হে পরাক্রমশালী, হে সৃষ্টিকর্তা, হে অনুগ্রহকারী , হে আল্লাহ, আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন, হে রক্ষাকারী, হে রক্ষাকারী, হে মুক্তি দানকারী তোমার রহমতে আশ্রয় চাই, হে পরম করুণাময়
আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থ সহ বাংলা উচ্চারণ কোন রূপ ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা উচ্চারণ এর লেখাতে অথবা তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থ সহ উচ্চারণ লিখতে গিয়ে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন এবং ত্রুটি মার্জনা করবেন ।
রমজান মাসে মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি বিশেষ নামাজ হচ্ছে তারাবি নামাজ। এটি শুধু ইবাদতের মাধ্যম নয়, বরং আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর নৈকট্য অর্জন এবং পবিত্র কুরআনের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার একটি মহান সুযোগ।
তারাবির নামাজ কী?
তারাবি (تراويح) শব্দটি এসেছে আরবি “রাহা” থেকে, যার অর্থ বিশ্রাম। এটি এশার পর রমজানে আদায়কৃত একটি বিশেষ নফল নামাজ।
ইতিহাস ও গুরুত্ব
- রাসূলুল্লাহ (সা.) জীবদ্দশায় কয়েকদিন জামাতে পড়েছেন।
- খলিফা উমর (রা.) জামাতে তারাবি নামাজ চালু করেন।
তারাবির নামাজের রাকাত সংখ্যা
সাধারণত ২০ রাকাত পড়া হয়। অনেক জায়গায় ৮ রাকাতও প্রচলিত। এটি সুন্নত মুঅক্কাদা।
তারাবির নামাজের সময়
এশার পর থেকে ফজরের আগে পর্যন্ত, তবে সাধারণত এশার ফরজ ও বিতরের মাঝে আদায় করা হয়।
তারাবির নামাজের নিয়ম
- জামাতে পড়া উত্তম।
- প্রতি দুই রাকাতে সালাম ফিরানো হয়।
- কুরআন তিলাওয়াত সহকারে ধীরে ধীরে পড়া হয়।
তারাবির নামাজের ফজিলত
“যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াবের আশায় রমজানে তারাবির নামাজ পড়বে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।” – বুখারী ও মুসলিম
তারাবির নামাজ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন | উত্তর |
---|---|
কত রাকাত তারাবি নামাজ? | সাধারণভাবে ২০ রাকাত। |
৮ রাকাত কি বৈধ? | হ্যাঁ, অনেক হাদীসে উল্লেখ আছে। |
মহিলা কি পড়তে পারবে? | হ্যাঁ, একা বা জামাতে। |
জামাতে না পড়লে? | একা পড়লেও সাওয়াব পাওয়া যাবে। |
না পড়লে গুনাহ? | গুনাহ না হলেও ক্ষতি হবে। |
তারাবির নামাজের উপকারিতা
- আত্মিক প্রশান্তি ও পরিশুদ্ধি।
- আল্লাহর নৈকট্য অর্জন।
- পবিত্র কুরআনের সাথে সংযোগ বৃদ্ধি।
- দীর্ঘ নামাজে দাঁড়ানোর মাধ্যমে শরীরচর্চা।
উপসংহার
তারাবির নামাজ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, বিশেষ করে রমজান মাসে। এটি আত্মিক উন্নয়ন এবং আল্লাহর রহমত লাভের উত্তম সুযোগ। আসুন আমরা সবাই প্রতিদিন এই নামাজে অংশগ্রহণ করি এবং রমজানকে ইবাদতের মাধ্যমে পূর্ণ করি।
প্রশ্নোত্তর (FAQ) – তারাবির নামাজ
প্রশ্ন ১: তারাবির নামাজ কি বাধ্যতামূলক?
উত্তর: না, তারাবির নামাজ বাধ্যতামূলক নয়। এটি সুন্নত মুঅক্কাদা, যা নিয়মিত আদায় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সওয়াবের কাজ।
প্রশ্ন ২: ৮ রাকাত এবং ২০ রাকাত – কোনটি সঠিক?
উত্তর: উভয় মতেরই হাদীস দ্বারা সমর্থন রয়েছে। নবী (সা.) ৮ রাকাত পড়তেন বলে জানা যায়, আবার হজরত উমর (রা.)-এর সময় ২০ রাকাত জামাতে আদায় হতো। দুটোই গ্রহণযোগ্য।
প্রশ্ন ৩: মহিলারা কি জামাতে তারাবি পড়তে পারেন?
উত্তর: হ্যাঁ, মহিলারা বাড়িতে একা বা অন্য মহিলাদের নিয়ে জামাতে তারাবি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদে যাওয়াও ইসলামী দৃষ্টিতে বৈধ, তবে পর্দা রক্ষা করা আবশ্যক।
প্রশ্ন ৪: যদি কেউ কুরআন মুখস্থ না জানে, সে কি তারাবি পড়তে পারবে?
উত্তর: হ্যাঁ, মুখস্থ যতটুকু জানেন, তা দিয়ে পড়া যাবে। যারা মুখস্থ কম জানেন, তারা ছোট সূরা দিয়ে তারাবি আদায় করতে পারেন।
প্রশ্ন ৫: এক রাকাত বিতর ওয়াজিব কি তারাবির পরে পড়া বাধ্যতামূলক?
উত্তর: বিতর নামাজ তারাবির পরে আদায় করাই সুন্নত। তবে যদি কেউ পরে পড়তে চান, তাহলে একা বা জামাতে আদায় করতে পারেন।
প্রশ্ন ৬: তারাবি না পড়লে কি রোযার সাওয়াব কমে যায়?
উত্তর: রোযা ও তারাবি আলাদা ইবাদত হলেও, তারাবি নামাজ না পড়লে রমজানের পূর্ণ ফজিলত থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।