নিজস্ব প্রতিবেদন, Bengal Job Study.in: নতুন জিএসটির নিয়মে আর্থিক ক্ষতি সত্ত্বেও মানুষের স্বার্থে নতুন কাঠামোয় সায় দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশ ও রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন বার্তা দিলেন। শনিবার প্যান্ডেল উদ্বোধন ও শারদোৎসবের প্রস্তুতি নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষের স্বার্থে নতুন জিএসটির নিয়মে ‘আর্থিক ক্ষতি সত্ত্বেও’ মানুষের স্বার্থে নতুন কাঠামোয় সায় দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, যদিও রাজ্যকে ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, তবুও জনগণের স্বার্থে এই নতুন অর্থনৈতিক কাঠামোতে সায় দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধনে জিএসটি বার্তা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বিমাতে জিএসটি নেওয়া যাবে না, এই মর্মে ভারতবর্ষে প্রথম চিঠিটা লিখেছিলাম আমি।” তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এর জন্য লড়াই করেছিলেন। তবে এখন যেহেতু এটি কার্যকর হয়েছে, তাতেও কেন্দ্রের কোনও অবদান নেই।
চ্যানেল ফলো করুন
মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার জিএসটি হটানোর ক্ষেত্রে একমাত্র প্রশাসনিক ভূমিকা পালন করেছে। এর ফলে বাংলার অর্থনীতির ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্য রাজ্যগুলো ঘুরপথে ক্ষতি পূরণ করতে পারলেও বাংলার পাওনা এখনও পূর্ণ হয়নি।
শারদোৎসবের প্যান্ডেল উদ্বোধন ও সাংস্কৃতিক উন্মাদনা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার প্যান্ডেল উদ্বোধন করলেও মহালয়ার দিন নিজে চেতলা অগ্রণীতে উপস্থিত হন। তিনি বলেন, বাংলার কুটির ও অনুসারী শিল্প ও উৎপাদন শিল্প সব ক্ষেত্রে আমরা এক নম্বরে। একশো দিনের কাজের মধ্যে রাজ্য সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।
হাইলাইটস
- প্যান্ডেল উদ্বোধন: শনিবার
- মহালয়া উপস্থিতি: রবিবার চেতলা অগ্রণী
- শিল্প ও উৎপাদন খাতে বাংলা এক নম্বরে
- পিএইচই অনুদান: ৯০% বাংলার নিজস্ব তহবিল
বাঙালি অস্মিতা ও শ্রমিক সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য
মুখ্যমন্ত্রী বাঙালি অস্মিতার কথাও তুলে ধরেন। তিনি অভিযোগ করেন, পরিযায়ী শ্রমিকের প্রতি বিজেপি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় আক্রমণ করছে। মমতার বক্তব্যে, বাংলায় হিন্দি ভাষী বা অন্য রাজ্যের শ্রমিকের প্রতি বৈষম্য করা হয় না।
-: এই সংক্রান্ত আরো তথ্য দেখুন :-
দুর্গা অঙ্গন প্রকল্প: জমি ও ট্রাস্ট
মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুর্গা অঙ্গন তৈরির কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। রাজ্যে জমি পাওয়া গেছে এবং একটি ট্রাস্টও গঠন করা হয়েছে। এটি শারদোৎসবের সময় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বহন করবে।
টেবিল: দুর্গা অঙ্গন প্রজেক্ট হাইলাইটস
| information | বিবরণ |
|---|---|
| জমি | হ্যাঁ, রাজ্য প্রশাসনের উদ্যোগে |
| ট্রাস্ট গঠন | হ্যাঁ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজের জন্য |
| উদ্বোধন সময় | শারদোৎসবের দিন |
| প্রকল্পের লক্ষ্য | সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অংশগ্রহণ |
GST নিয়ে অর্থনৈতিক ক্ষতি ও রাজ্যের ভূমিকা
মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেন, “আমাদের ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্য রাজ্য ঘুরপথে পায়, আমাদের পাওনা এখনও ১ লক্ষ ৯২ হাজার কোটি টাকা।” তিনি আরও বলেন, রাজ্যের স্বার্থে নতুন জিএসটির নিয়মে ‘আর্থিক ক্ষতি সত্ত্বেও’ মানুষের স্বার্থে নতুন কাঠামোয় সায় দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সারসংক্ষেপ লিস্ট: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় GST বার্তা
- বিমাতে জিএসটি হটানোর প্রথম চিঠি মমতার
- রাজ্যের ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
- জনগণের স্বার্থে নতুন কাঠামোতে সম্মতি
- দুর্গা অঙ্গন প্রকল্প এগিয়ে চলছে
- শিল্প ও কুটিরখাতের মধ্যে বাংলার নেতৃত্ব
- পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি বৈষম্য না করার প্রতিশ্রুতি
- প্যান্ডেল ও মহালয়া উদ্বোধনে সরাসরি অংশগ্রহণ
FAQ: নতুন জিএসটির নিয়মে ‘আর্থিক ক্ষতি সত্ত্বেও’ মানুষের স্বার্থে নতুন কাঠামোয় সায় দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
নতুন জিএসটির প্রবর্তন বাংলায় কবে শুরু হয়েছিল?
নতুন জিএসটির নিয়ম বাংলায় প্রয়োগ করা হয়েছে রাজ্যের অর্থনৈতিক কাঠামোকে মজবুত করার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যদিও এই প্রক্রিয়ায় রাজ্যের ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, তবুও জনগণের স্বার্থে নতুন কাঠামোতে সায় দেওয়া হয়েছে।
জিএসটি হটানোর ক্ষেত্রে বাংলার ভূমিকা কী ছিল?
বাংলার প্রশাসন একমাত্র রাজ্য হিসেবে বিমা ও কুটির শিল্পে জিএসটি হটানোর উদ্যোগ নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার এই কাজ সম্পন্ন করেছে, যার ফলে রাজ্য অর্থনীতিতে প্রয়োজনীয় স্বচ্ছতা এসেছে।
নতুন জিএসটির ফলে রাজ্যের ক্ষতি কত হয়েছে?
মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, রাজ্য ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। অন্যান্য রাজ্য ঘুরপথে কিছুটা ক্ষতি পুনরুদ্ধার করতে পারলেও বাংলার পাওনা এখনও ১ লক্ষ ৯২ হাজার কোটি টাকা।
শারদোৎসব এবং প্যান্ডেল উদ্বোধনের সঙ্গে জিএসটির সম্পর্ক কী?
মুখ্যমন্ত্রী প্যান্ডেল উদ্বোধন ও মহালয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বাংলার শিল্প, কুটির ও উৎপাদন খাতের অগ্রগতি তুলে ধরেছেন। নতুন জিএসটির নিয়মে ‘আর্থিক ক্ষতি সত্ত্বেও’ মানুষের স্বার্থে নতুন কাঠামোয় সায় দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যা এই অনুষ্ঠানের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকে শক্তিশালী করে।
দুর্গা অঙ্গন প্রকল্পের সঙ্গে জিএসটির সম্পর্ক কী?
দুর্গা অঙ্গন তৈরির জন্য রাজ্যে জমি পাওয়া গেছে এবং একটি ট্রাস্টও গঠন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, নতুন জিএসটির নিয়ম বাস্তবায়নের পরও রাজ্য এই সাংস্কৃতিক উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে মমতার অবস্থান কী?
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি বৈষম্য করা হয় না। তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেছেন, নতুন জিএসটির নিয়মে ‘আর্থিক ক্ষতি সত্ত্বেও’ মানুষের স্বার্থে নতুন কাঠামোয় সায় দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যা রাজ্যের সকল নাগরিকের কল্যাণ নিশ্চিত করছে।
