দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরে দিলীপ ঘোষের যোগদানের পর থেকেই বাংলার রাজনীতির ময়দান উত্তপ্ত। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করলেন দীঘায় জগন্নাথ মন্দির। জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। আর সেই আমন্ত্রণ রাখতে গিয়ে চাপে পড়লেন তিনি।তার এমন অবস্থান দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিজেপির অন্দরের একের পর এক নেতা। আর তারই জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ তা নিয়ে থাকছে বিস্তারিত প্রতিবেদন আজকের ভিডিওতে।

বাংলায় দিলীপ ঘোষ কে নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। সংবাদমাধ্যম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া সব দিকে এবার একটাই নাম বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তাকে নিয়ে একের পর এক মন্তব্য করে চলেছেন তার নিজের দলের আবোড় তাবড়া নেতারা। তার নিজের দলের নেতা-নেত্রীদের সঠিক জায়গা বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি কারো কথায় পরোয়া করেন না আরো একবার বুঝিয়ে দিলেন তিনি কারোর সমর্থন চান না, এক কথায় একাই একশ দিলীপ ঘোষ।
দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া
বরাবরের মতো শনিবারও ইকো পার্কে হাটতে গিয়েছিলাম বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিছুদিন আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন রিঙ্কুর সাথে। তা নিয়ে তাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ আলোচনা চলছিল সমাজ মাধ্যমের সাথে সাথে সংবাদমাধ্যম ও পাল্লা দিয়ে তার আলোচনা চালাচ্ছিল। ৬০ বছরের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে 51 বছরের রিঙ্কুকে বিয়ে করে যেন তাক লাগিয়ে দিয়েছেন গোটা বাংলা। আর বিবাহের পরে স্ত্রীকে নিয়ে দিলীপ ঘোষ পৌঁছে গেলেন জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ভোরে গিয়েছে একের পর এক মন্তব্য বিজেপির বড় বড় নেতাদের। তারই মোক্ষম জবাব দিলেন বিজেপি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি । কি কি প্রতিক্রিয়া দিলেন দিলীপ বাবু তা নিচে আলোচনা করা হলো।
সাংবাদিকের মুখোমুখি হন দিলীপ বাবু আর তারপরে তাকে প্রশ্ন করা হয় বিধায়ক অশোক দিন্দা যেভাবে তারা সমালোচনা করেছেন তার কিভাবে প্রতিক্রিয়া দিতে চান বাংলার দামাল ছেলে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে স্পষ্টভাবে তিনি জানিয়ে দেন দেখে রাখুন কি হচ্ছে? আগে অনেকে এরকম বলেছে আবার পরে হাতে-পায়ে ধরে ক্ষমাও চেয়েছে। তারপরে আরও একটি বার্তা স্পষ্ট করে দিলেন হঠাৎ বিজেপি যারা তারা অনেক কিছু বলবে সবার বলার অধিকার আছে উত্তর দেওয়ার দরকার নেই বিরাট স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন তিনি ।
শুধু এতই থামেননি একের পর এক সাংবাদিকদের কঠোর প্রশ্নের জবাব দিতে থাকেন তিনি। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন তাহলে কি এখন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ একা হয়ে গিয়েছেন? আর তাতেই মোক্ষম জবাব দিলেন। কষ্ট বার তো তার আমি কারো সমর্থন চাই না নিজের এমনি কি মেনে কাজ করি।
আর এরপরে যে খোঁচাটা দিয়েছেন তাতে কাকে যে স্পষ্ট করে বলেছেন তাও বোঝা যায়। তিনি বলেন একটার সময় দিল্লি নিয়ে গিয়ে লোকজনকে দলে যোগ দেওয়ানো হতো আমাকেও ডাকা হতো কিন্তু আমি যেতাম না। আমি বারবার বলেছি বাংলায় রাজনীতি করি কারো বাড়ির সামনে কখনো হাতজোড় করে দাঁড়ায়নি, দিল্লিতে কারো এপারমেন্ট চাইনা আমি। বিরাট বার্তা তার আবারো সেই আগের মেজাজই দেখা গেল।
এছাড়াও পড়ুন:- সর্বশেষ খবর, সরকারি প্রকল্প, চাকরির খবর
জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে কেন গেলেন দিলীপ ঘোষ? উঠছে প্রশ্ন
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে একই ফ্রেমে দেখা গিয়েছে দিলীপ ঘোষ আর তারপরে রাজ্য রাজনীতি যেন উঠে পড়ে লেগেছে তার পেছনে। তারই নিজের দলের একের পর এক নেতা প্রশ্ন তুলছে দিলীপ বাবুর বর্তমান অবস্থান। কেউ আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ঠাট্টা করে লিখছেন সত্যি বিয়ে করলেই মানুষ বদলে যায়। স্ত্রী সমেত বিয়ের পরই দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাকে কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে একই ফ্রেমে এর আগে এত খোলামেলা দেখা যায়নি বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি কে। বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। তবে এবারের ভিডিওতে প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে। তারপরে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়।
যদিও এত কিছুর পরেও দিলীপ ঘোষ কাউকে পাত্তা দিতে নারাজ তিনি বলেন আমি আমার নিজের রীতি মেনে কাজ করি। সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছি ধর্ম নিয়ে আমি রাজনীতি কখনো করিনি। একের পরে কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছেন প্রত্যেকে। তবুও তাকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতি কোনভাবে ফিরে কথা বলছে না এমনকি বিজেপির কেন্দ্র নেতৃত্তের কাছেও নালী জানিয়েছে। তবে কেন্দ্র নেতৃত্ব এই সৌজন্যে সাক্ষাৎ নিয়ে এত কান্ড দেখে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব কে ভালো চোখে দেখেনি। কারণ সৌজন্যের সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি এতে ভুল কিছু নেই উল্টেই রাজ্যের বিজেপি নেতাদের ধমক খেতে হয়েছে তাদের কাজকর্মের জন্য।
তৃণমূলের মঞ্চ না জগন্নাথের ধর্মীয় অনুষ্ঠান—বিতর্কের কেন্দ্রে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে যোগ দিতে গিয়ে বিপাকে পড়ে গেছেন দিলীপ ঘোষ নিজেই নিজের দলের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে বিজেপির একের পর এক নেতার আমন্ত্রণ থাকলেও কেউই যোগ দেননি। উল্টে হঠাৎ করে পৌঁছে গিয়েছেন দিলীপ বাবু তারপরে বিতর্কের সূত্রপাত কোনভাবেই ভালো চোখে দেখলেন না বিজেপির নেতারা। দিলীপ ঘোষের উপস্থিতি এবং মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা বিজেপি নেতাদের এত বড় মিটিং মিছিল সবই যেন জল ঢালা হয়ে গেল।
একদিন আগেই দিলীপকে কটাক্ষ করেছেন অশোক দীনদা, তিনি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আক্রমণ করেছেন। এতেই শেষ নয় দিলে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন বলেও একের পর এক অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আর আজ সে আক্রমণের জবাব বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারকে দীঘায় জগন্নাথ মন্দির দিলিপের বর্তমানে হট টপিক রাজনীতির ময়দানে। নেতৃত্ব তা নিয়ে বারে বারে মুখ খুলেছেন। তবে দিলীপ ঘোষ বানিয়েছেন স্মৃতি নেতৃত্বের কেউ কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি এমনকি তাদের তরফ থেকে নিয়ে কোনো যোগাযোগই করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমস্যা কি মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ?
দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে গিয়েছেন এবং সৌজন্য রক্ষা করেছেন দিলীপ ঘোষের বক্তব্য আমি পার্টি দাঁড় করিয়েছি। সেই পার্টির বাইরে থেকে যারা এসেছেন তারাই এখন বড় বড় কথা বলছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমন্ত্রণ করেছেন আর তারপরে আমি গিয়েছি সৌজন্য দেখিয়েছি কিন্তু মমতা সেটা দেখাতে পারেননি। রাম মন্দিরে দুবার এর সময় যদি ওখানে গিয়ে সৌজন্য দেখা দেন তাহলে এখানে মন্দির করতে হলো কেন। তৃণমূলকে রামনগর মিছিল করতে হয় সেদিন উনি যাননি সৌজন্য দেখান নি কিন্তু দিলীপ ঘোষ সৌজন্য দেখিয়েছেন।
তার সাথে খবর দীঘায় জগন্নাথ মন্দির বিরাট উদ্বোধন আর তাতেই প্রায় ১০ লক্ষ পূর্ণার্থী সমাগম। দীঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পরই বদলে গেছে দীঘার চিত্র এ দিঘার আগের দিঘা নয়। প্রতি মুহূর্তে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড়ে জমেছে দিঘায়। ইসকনের হিসাব কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট কোথায় মুখপাত্র দীঘার মন্দির থেকে দাবি করলেন সারে তিন দিন এই লোক সংখ্যা ১০ লক্ষেরও বেশি।
প্রত্যেকদিন সকাল ছটায় খুলে যাচ্ছে জগন্নাথ মন্দিরের মুল গেট এরপর বন্ধ হচ্ছে দুপুর একটায়। এরপর বিকেল তিনটা থেকে আবারো জগন্নাথ মন্দিরের দরজা খোলা হবে রাত নটা পর্যন্ত। দিকে দিকে মানুষ পুণ্যার্থীদের ভিড় সামলাতে রাজ্য পুলিশ এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার।
দিলীপ বাবু স্পষ্ট বার্তা বহু নেতা যারা ইতিমধ্যে আলাদা দলে ছিলেন বর্তমানে বিজেপিতে যোগদান করেছেন তারাই একসময় বিজেপির নেতাদের কেস দিয়েছেন। সুযোগ বুঝে দল পাল্টানোর কথাও প্রকাশ্যে এনেছেন দিলীপ বাবু। যার ফলে সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবেই শুভেন্দু অধিকারীর দিকে আঙ্গুল তুলেছেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।
আরো একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দেন বিজিপি নেতা কোনদিন প্রত্যক্ষভাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এসে ইট মেরে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙেননি। এই সমস্ত দলবদলের নেতারা যখন তৃণমূলে ছিলেন তারাই বিজেপির গাড়ি ভেঙেছেন। এই মন্তব্যের পরে খানিকটা বিজেপির ভেতরের খবর যেন সামনে চলে আসছে।তিনি স্পষ্ট করে বলছেন কোনভাবেই বিজেপি তাকে জানায়নি জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়া যাবেনা। তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন গিয়েছেন কে কি বলল তাতে তার কোন যায় আসে না।
দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া সংযত বিজেপি
গেরুয়া সূত্রে বিশেষ খবর দলের বিভিন্ন স্তরের একের পর এক নেতাদের বার্তা দেয়া হচ্ছে, যেভাবে অনবরত দিলীপ ঘোষের সম্পর্কে বাক্য বিনিময় করা হচ্ছে তাতে সংযত থাকতে হবে। তার সম্পর্কে কোন কথা উঠলে তা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কেউ কেউ তাকে বলছেন নির্লজ্জ কেউ আবার বলছেন ভোগী দিলীপবাবুর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আক্রমণ করতেও ছাড়ছেন না কেউ কেউ। সংসদ সৌমিত্রখানা থেকে শুরু করে সমস্ত বিজেপি নেতারাই কেউ সরাসরি নাম করেই বা কেউ নাম না করেই টার্গেট করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি কে। আর এই প্রতিক্রিয়ার উপরে বা রাজ টানল তাদের নিজের দল। ভেবে চিনতে কথা বলতে হবে কোনভাবেই দিলীপবাবুকে নিয়ে উল্টোপাল্টা মন্তব্য করা যাবে না আগাম সতর্কবার্তা জানিয়ে দিল দল।
এছাড়া দেখুন :- ভারত নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশি পণ্য, তৈরি হচ্ছে বিকল্প রাস্তা — কী প্রভাব পড়বে দুই দেশের উপর?
FAQs (প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্নাবলী)
প্রশ্ন ১: দিলীপ ঘোষ জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে কেন গিয়েছিলেন?
উত্তর: দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যে আমন্ত্রিত ছিলেন এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান বলেই সেখানে উপস্থিত হয়েছেন।
প্রশ্ন ২: বিজেপির অন্য নেতারা কেন অনুষ্ঠানে অংশ নেননি?
উত্তর: বিজেপির অধিকাংশ নেতার মতে, এই অনুষ্ঠানটি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এবং সেখানে যাওয়া উচিত হবে না বলেই তারা অংশগ্রহণ করেননি।
প্রশ্ন ৩: দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে বিজেপির ভেতরে কী প্রতিক্রিয়া হয়েছে?
উত্তর: দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে অনেকেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ কেউ এটিকে দলবিরোধী মন্তব্য বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
প্রশ্ন ৪: দিলীপ ঘোষ কি সত্যিই তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন?
উত্তর: দিলীপ ঘোষ এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন তিনি রাজনীতির বাইরে সৌজন্যতা বজায় রাখেন এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিকভাবে দেখেন না।
প্রশ্ন ৫: দিলীপ ঘোষের উপস্থিতি কি ২০২৫ সালের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে?
উত্তর: বিশ্লেষকদের মতে, তার এই পদক্ষেপ আগামী নির্বাচনের আগে রাজ্য রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।