পাকাবাড়ি লক্ষীভান্ডার 10পাস চাকরি আবহাওয়া আজকের খবর কলকাতার খবর সোনার দাম বাসের সময়সূচী মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক লক্ষীভান্ডার 10পাস চাকরি আবহাওয়া আজকের খবর
🔴 BREAKING NEWS

দিলীপ ঘোষের নতুন জীবন শুরু: বিবাহ ২০২৫-এর বিশেষ মুহূর্ত দেখুন

নতুন জীবনের শুরু—দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদারের বিবাহের বিশেষ মুহূর্ত
নতুন জীবনের শুরু—দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদারের বিবাহের বিশেষ মুহূর্ত

বাংলার রাজনৈতিক মানচিত্রে দিলীপ ঘোষ একটি পরিচিত নাম। বহুদিন ধরে রাজনীতির ময়দানে লড়াই করা এই নেতা ২০২৫ সালে তাঁর জীবনের এক বিশেষ সিদ্ধান্ত নিলেন—তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। একক এবং রাজনৈতিক জীবনে কঠোর নিয়মে চলা এই মানুষটি এবার জীবনের কিছুটা সময় নিজেকে ও তাঁর পরিবারের জন্য বরাদ্দ করলেন।

এই প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হলো দিলীপ ঘোষের বিবাহ, কনে রিঙ্কু মজুমদারের পরিচয়, ব্যক্তিগত আবেগ, সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। যার কথাতে এক সময় বঙ্গ বিজেপির ওঠাবসা হতো সেই বঙ্গ বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষ আজ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ। ৬১ বছরে তার বিবাহ নিয়ে মানুষের উন্মাদনা প্রচুর। প্রতিমুহূর্তে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় সার্চ করছেন দিলীপ ঘোষের বিবাহ নিয়ে। কারণ বাংলার বিজেপির একমাত্র পুরনো আইকন তিনি 

Table of Contents

বিবাহের দিন ও আয়োজন

মায়ের ইচ্ছাতেই দিলীপ ঘোষের বিয়ে তিনি নিজেই প্রকাশ করেছেন এটা কেন বাকি থাকবে তাই এবার মায়ের কথামতোই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ দিলীপ ঘোষ। ২০২৫ সালের ১৮ এপ্রিল, কলকাতার নিউটাউনে দিলীপ ঘোষের নিজস্ব আবাসনে সম্পন্ন হয় এই বিবাহ। আয়োজনে ছিল না অতিরিক্ত আড়ম্বর বা গণমাধ্যমের ভিড়। বরং একান্ত নিজস্ব পরিসরে ঘরোয়া পরিবেশেই সম্পন্ন হয় এই শুভ পর্ব। বর-কনে উভয়েই চেয়েছিলেন, এই দিনটি যেন ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যায়।

কথায় আছে বিবাহের কোন বয়স নেই প্রেমের কোন বয়স নেই তাকে দেখে অনেকে ইন্সপিরেশন পাচ্ছে না যে সঠিক মানুষকে বেছে নেওয়ার জন্য কোন বয়স লাগে না। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহকর্মীরা। সাদা পাঞ্জাবি ও ধুতি পরে দিলীপ ঘোষ বর সাজেন। কনে রিঙ্কু মজুমদার পরেন লাল বেনারসী, গলায় সোনার গহনা ও হাতে শাঁখা-পলা—একেবারে ঐতিহ্যবাহী সাজ। বিবাহটি হয় হিন্দু মতে ও আদালতের নথিভুক্ত রূপে। ৬১ বছরের দিলীপ ঘোষ ৫১ বছরের রিঙ্কুকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে গোটা বাংলাকে এক নতুন ছন্দে পৌঁছে দিয়েছেন।রাজনীতির ময়দানে যখন ওয়াকফ  আন্দোলন 26000 চাকরি বাতিল ইস্যু নিয়ে তোলপাড় এমন সময় গোটা সংবাদ মাধ্যমের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষের বিবাহ অনুষ্ঠান।

বিবাহের রাতের মেনুও ছিল উল্লেখযোগ্য। অতিথিদের জন্য পাতে ছিল ভাত, বেগুন ভাজা, সুক্তো, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, পাবদা মাছের ঝোল, মাটন কারি এবং শেষে রসগোল্লা ও আইসক্রিম। ঘরোয়া হলেও আয়োজন ছিল উপচে পড়া আন্তরিকতায় ভরপুর।

কনে রিঙ্কু মজুমদার রাজনীতি ও সংসার জীবন

বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন রিঙ্কু মজুমদার বিয়ে করে তিনি খুব খুশি ছেলে মত রয়েছে বিয়েতে। শেষ জীবনে তিনি দিলীপ ঘোষের সাথেই কাটিয়ে দিবেন এমনই আশা করছেন সকলে। তার পরিচয় শুধু দিলীপ ঘোষের বর্তমানে স্ত্রী নয় একজন উল্লেখযোগ্য বঙ্গ বিজেপি নেত্রী। তিনি আগে মহিলা মোর্চার বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছেন। পাশাপাশি ওবিসি ফ্রন্ট ও হ্যান্ডলুম সেলেও তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। দলীয় কাজকর্মে সুসংগঠিত, সাহসী ও স্পষ্টবাদী হিসেবে তিনি পরিচিত।

এই বিয়ে ছিল তাঁর দ্বিতীয়। তাঁর প্রথম পক্ষের পুত্র বর্তমানে কলকাতার সল্টলেকে একটি বহুজাতিক আইটি সংস্থায় কর্মরত। তিনি নিজে এই বিবাহের সময় শহরের বাইরে থাকলেও মা ও দিলীপ ঘোষকে একটি আন্তরিক বার্তা পাঠান—“তাঁরা দু’জন একসঙ্গে সুখে থাকুন, আমি তাঁদের জন্য শুভকামনা জানাই।” এই প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে, নতুন সংসার শুরু হলেও সম্পর্কের বন্ধন যথেষ্ট সুস্থ ও সমর্থনশীল।

দিলীপ ঘোষের সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত জীবনের মূল্যায়ন

বহু বছর রাজনীতিতে কাটিয়ে দিলীপ ঘোষ কখনওই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তেমন কিছু বলেননি। কখনও তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রসঙ্গ রাজনীতির মঞ্চে আসেনি। এই প্রথমবার, ৬০ বছর বয়সে তিনি জানালেন—এই বিবাহ মূলত তাঁর মায়ের ইচ্ছাতেই।আর তার কথাতেই আবারো প্রমাণ হলো কতটা মাকে ভালোবাসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেমন মায়ের জন্য কত কিছুই না করে গেছেন একইভাবে তারই অনুগামী দিলীপ ঘোষ ও মায়ের কথায় বিবাহ পর্যন্ত করলেন ৬১ বছর বয়সে।

তিনি বলেন, “মা বারবার বলতেন, সংসার কর। আমার বয়স হয়েছে, কিন্তু মা’কে আর অপমান করতে পারলাম না। তাঁর শেষ ইচ্ছেটুকু পূরণ করতেই এই সিদ্ধান্ত।” এ যেন এক সন্তানের চরম শ্রদ্ধা, মমতা ও দায়িত্ববোধের নিদর্শন। দিলীপ ঘোষ তার মাকে যে কতটা ভালবাসেন কতটা শ্রদ্ধা করেন তার কথায় বারে বারে ফুটে উঠেছে। তবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও তারা রাজনৈতিক মতামতের কোন পরিবর্তন হবে না।

 দিলীপ ঘোষ নিজেই আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, এই বিবাহ তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কোনো প্রভাব ফেলবে না। বরং এর ফলে জীবনে ভারসাম্য আসবে। তিনি বলেন, “আমি দল ও রাজ্যের কাজে যেমন ছিলাম, তেমনই থাকব। এই পরিবর্তন আমার কর্তব্যকে লঘু করবে না।”

রাজনীতিক ও জনমানসের প্রতিক্রিয়া

বাংলার রাজনীতির ময়দানে বিজেপির পুরনো এবং আদি মুখ বলতে দিলীপ ঘোষকেই এক ডাকে সবাই চেনে।যখন বাংলার কোন বিজেপির চিহ্ন ছিল না তখনই দিলীপ ঘোষ সমস্ত প্রতিকূলতাকে দূরে সরিয়ে দলটাকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিলেন। তাই বরাবরই দিলীপ ঘোষের রাজনৈতিক জীবনকে তাদের দলের লোক ছাড়াও অন্যান্য অর্থাৎ বিরোধী দলের লোকেরা বেশি শ্রদ্ধা করেন। কারণ তার দলের প্রতি আনুগত্য স্যাক্রিফাইজ। তাই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছিল এই দিলীপ ঘোষের বিবাহ নিয়ে।

বরাবরই দিলীপ ঘোষ কড়া কথার মানুষ যেটা ভালো মনে হয় যেটা সঠিক মনে হয় তিনি সেটা বলে ফেলেন। বিবাহের পর বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে শুভেচ্ছা জানান বাংলার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাও। অনুব্রত মণ্ডল, মদন মিত্রসহ বিভিন্ন দলের নেতারা তাঁর নতুন জীবনের জন্য অভিনন্দন জানান। মদন মিত্র বলেন, “রাজনীতির বাইরে আমরা সবাই মানুষ। সুখে থাকুক ওরা, এটাই কামনা করি।”

এই সৌহার্দ্যপূর্ণ বার্তাগুলি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এক মানবিক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ, পারস্পরিক সম্পর্ক ও ভালোবাসা এই দুঃসময়েও সমাজে গুরুত্বপূর্ণ—এই বিবাহ যেন সেই কথাটিই মনে করিয়ে দেয়।

বিবাহের পরদিনই কাজের ময়দানে

১৮ এপ্রিল বিবাহ হলেও, ১৯ এপ্রিল সকালেই দিলীপ ঘোষ ইকো পার্কে হাঁটতে বেরিয়ে পড়েন। ওইদিন ছিল তাঁর ৬১তম জন্মদিনও। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “কাল বিয়ে করেছি ঠিকই, কিন্তু আজ থেকে আবার দলের কাজ শুরু।” দিলীপ ঘোষের জন্মদিনেও মানুষের কৌতুহল ছিল দেখা যায় কেক কাটতে তাকে জন্মদিনের তিনি বলেন দিলীপ ঘোষ দিলীপ ঘোষ সবাই রাতে কেক কাটে আর আমি সকালে কেক কাটি। সব মিলিয়ে তারই বিবাহ রাজনৈতিক ওয়াকাফ বিল আন্দোলন ছাব্বিশ হাজার চাকরি বাতিল এত কিছুর মাঝেও এক অন্যরকম সংবাদে ভরিয়ে তুলল গোটা বাংলা কে।

এই মন্তব্য তাঁর স্বভাব চরিত্রেরই প্রতিফলন—কাজ, কর্তব্য ও নেতৃত্ব তাঁর জীবনের কেন্দ্রবিন্দুতে। তিনি জানান, রাজ্যের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বিজেপি এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করেছে। “২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আমি আবার মাঠে নেমে পড়লাম।”

একজন নেতার জীবনে মানবিক মোড়

দিলীপ ঘোষের এই বিবাহ কেবল একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি এক নেতার জীবনের এক নতুন দিকচিহ্ন। একদিকে দায়িত্বশীল সন্তান হিসেবে মায়ের ইচ্ছা পালন, অন্যদিকে একজন কর্মঠ নেতা হিসেবে দলের প্রতি দায়বদ্ধতা বজায় রাখা—এই দুইয়ের সুন্দর মিলন ঘটেছে এই ঘটনায়।

অনেক সময় রাজনীতিকদের ব্যক্তিগত জীবন অন্ধকারেই থেকে যায়। তাঁদের সংগ্রাম, নিঃস্বার্থতা, বা আবেগ সমাজ জানে না। কিন্তু দিলীপ ঘোষের এই বিবাহ মানুষকে মনে করিয়ে দেয়, রাজনীতিকরাও আমাদের মতোই মানুষ। তাঁদেরও ভালোবাসা, পরিবার, ও সম্পর্ক প্রয়োজন হয়।

দিলীপ ঘোষ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পরিচিত মুখ ও তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা

বাংলার দামাল ছেলে দিলীপ ঘোষ পশ্চিমবঙ্গ রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মুখ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)-এর অন্যতম মুখ হিসেবে পরিচিত। রাজনীতির ময়দানে তাঁর সরব উপস্থিতি, স্পষ্টভাষী চরিত্র এবং সংগঠনের প্রতি দৃঢ়তা তাঁকে বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আলাদা গুরুত্ব এনে দিয়েছে।

দিলীপ ঘোষের প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষাজীবন

১৯৬৪ সালের ১লা আগস্ট, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালে জন্মগ্রহণ করেন দিলীপ ঘোষ। সাধারণ পরিবারের সন্তান হলেও ছোটবেলা থেকেই তিনি পড়াশোনা ও নেতৃত্বগুণে এগিয়ে ছিলেন। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপরই তাঁর পথচলা শুরু হয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)-এর মাধ্যমে, যেখান থেকে তাঁর রাজনৈতিক ভিত্তি গড়ে ওঠে। দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বহু মানুষ বিজেপিতে যোগদান করেছেন দিলীপ ঘোষকে মানুষ এখনো শ্রদ্ধা করেন এবং আজীবন করে যাবেন কারণ তার দলের প্রতি একাগ্রতা এবং আনুগত্যের প্রতি সম্মান জানায় প্রত্যেকে।

দিলীপ ঘোষের রাজনীতিতে পদার্পণ ও উত্তরণ

দিলীপ ঘোষ প্রথমে একজন ফুলটাইম RSS প্রচারক হিসেবে কাজ করতেন। এরপর ২০১৫ সালে বিজেপি তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব দেয়। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে রাজ্যজুড়ে বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী হয় এবং দল ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এবার আশা করা যাচ্ছে আরও রাজনৈতিক ক্যারিয়ার আর উন্নত হবে কারণ দিলীপ ঘোষের বিবাহ সম্পন্ন হলে তার স্ত্রীও এবার তার সাথে থাকবেন তিনিও জানিয়েছেন তিনি যে কাজে যান অথবা দল তাকে যে কাজ দেয় তা তিনি পুরো দমে পালন করেন।

২০১৬ সালে তিনি খড়্গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। পরে ২০১৯ সালে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে সংসদে প্রবেশ করেন। এই জয় বিজেপির জন্য বাংলায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা ছিল। আর সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত দিলীপ ঘোষ সর্বদাই বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ পদেই থেকে এসেছেন। মাঝেমধ্যে দলের মধ্যে বিবাদ সংঘর্ষ কথা কাটাকাটি হতেই পারে কিন্তু দিলীপ ঘোষের প্রতি মানুষের আকর্ষণ সব দিনে থেকে গেছে এবং আজীবন থাকবে।

দিলীপ ঘোষের বক্তৃতা ও রাজনৈতিক অবস্থান

দিলীপ ঘোষের বক্তৃতা সবসময় সোজাসাপ্টা ও অনেক সময় আগ্রাসী হয়ে থাকে, যা তাঁকে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনে দেয়। তাঁর বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক থাকলেও তিনি নিজের অবস্থানে দৃঢ়। হিন্দুত্ববাদ ও জাতীয়তাবাদকে তিনি প্রকাশ্যে সমর্থন করেন এবং বিশ্বাস করেন সৎ রাজনীতিই দেশকে এগিয়ে নিতে পারে। তার কথায় তিনি কোনোভাবেই ফিরিয়ে নেন না একের পর এক বক্তব্য করে ভাইরাল হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু। খবরের শিরোনাম হয়ে ওঠেন তিনি সকালে ব্রাতব ভ্রমণে তাকে সবাই চেনে তখনি তিনি একের পর এক ডোজ দিয়ে খবরের শিরোনাম হয়ে ওঠেন। যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে বারমুন্ডা পড়ার মন্তব্য এছাড়া আরো অনেক অনেক মন্তব্য করে গেছেন। বারেবারে থাকে বিরোধীদের মুখে কথাও শুনতে হয়েছে তবে থেমে যাননি তিনি কোন ভাবে।

দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিত্ব ও সামাজিক যোগাযোগ

দিলীপ ঘোষ নিজেকে একজন সাধারণ জীবনযাপনকারী মানুষ হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি নিয়মিত নিজের নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে মানুষের সমস্যা শোনেন এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। কৃষক, শ্রমিক ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের উন্নয়নের পক্ষেই তিনি সর্বদা কথা বলেন।

উপসংহার

দিলীপ ঘোষের বিবাহ মনে থাকবে বহুযুগ ধরে বহু মানুষের। মায়ের কথা ৬১ বছর বয়সে সে বিবাহ সম্পন্ন করেছেন দিলীপ ঘোষ যা যেমন গোটা বাংলায় মাতৃত্তের প্রতি সম্মান কে বাড়িয়ে তোলে।তার সাথে বিবাহ এবং প্রেমের যেকোনো বয়স হয় না তাও তিনি হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন এবং অনেককে অনুপ্রাণিত করেছেন। দিলীপ ঘোষের বিবাহ ২০২৫ নিঃসন্দেহে বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি আলোচিত ও মানবিক ঘটনা। এর মধ্য দিয়ে আমরা দেখতে পাই, একজন প্রবীণ রাজনীতিকও জীবনের গভীরে এক সাধারণ মানুষ। তাঁর ভালোবাসা, দায়িত্ব ও সংকল্প—সব কিছুর মাঝে জীবনের নিখুঁত ভারসাম্য রচনার প্রয়াস।

এই বিবাহ হয়তো পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে কোনো প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলবে না, কিন্তু মানুষ হিসেবে নেতাদের নতুন করে দেখতে শেখাবে। এমন সম্পর্কগুলোই আমাদের সমাজকে মানবিক করে তোলে। সকলেই দিলীপ ঘোষের বিবাহ শুভ এবং আগামী দিনে আরো সচ্ছল হয়ে উঠবে তাদের সম্পর্কগুলো এই কামনা করেছেন।

দিলীপ ঘোষের বিবাহ সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন-উত্তর নিচে উল্লেখ করা হলো ( FAQ )

১. দিলীপ ঘোষ কবে বিবাহ করেন?

উত্তর: দিলীপ ঘোষ ২০২৫ সালের ১৮ই এপ্রিল কলকাতার নিউটাউনের নিজস্ব আবাসনে ঘরোয়া পরিবেশে বিবাহ করেন।

২. দিলীপ ঘোষের স্ত্রী কে?

উত্তর: রিঙ্কু মজুমদার হলেন দিলীপ ঘোষের স্ত্রী। তিনি বিজেপির প্রাক্তন নেত্রী হিসেবে মহিলা মোর্চা, ওবিসি ফ্রন্ট ও হ্যান্ডলুম সেলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

৩. দিলীপ ঘোষের বিবাহ অনুষ্ঠানটি কেমন ছিল?

উত্তর: বিবাহ অনুষ্ঠানটি ছিল একান্ত ব্যক্তিগত ও ঘরোয়া। অল্প সংখ্যক পরিবার ও ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহকর্মীদের উপস্থিতিতে এটি সম্পন্ন হয়, গণমাধ্যম থেকে সম্পূর্ণ দূরে রেখে।

৪. রিঙ্কু মজুমদারের প্রথম পক্ষের সন্তান সম্পর্কে কী জানা যায়?

উত্তর: রিঙ্কু মজুমদারের প্রথম পক্ষের পুত্র একজন তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী, যিনি সল্টলেকের একটি আন্তর্জাতিক আইটি সংস্থায় কর্মরত। তিনি তাঁর মা ও দিলীপ ঘোষকে শুভকামনা জানিয়েছেন।

৫. দিলীপ ঘোষ কেন এই বয়সে বিবাহের সিদ্ধান্ত নিলেন?

উত্তর: দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে, এই সিদ্ধান্ত তাঁর মা’র ইচ্ছা পূরণের জন্য নেওয়া হয়েছে। তিনি মায়ের অনুরোধে সংসার শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন।

৬. এই বিবাহ কি দিলীপ ঘোষের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রভাবিত করবে?

উত্তর: না, দিলীপ ঘোষ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন এই বিবাহ তাঁর রাজনৈতিক কাজে কোনও প্রভাব ফেলবে না। বরং এতে তাঁর জীবনে আরও ভারসাম্য আসবে বলে তিনি মনে করেন।

৭. রাজনৈতিক মহলে দিলীপ ঘোষের বিবাহ নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দেখা যায়?

উত্তর: এই বিবাহের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা দিলীপ ঘোষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এটি বাংলার রাজনীতিতে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

আরও পড়ুন

এছাড়াও পড়ুন:- সর্বশেষ খবর, সরকারি প্রকল্প, চাকরির খবর

Leave a Comment

Facebook WhatsApp Share
পাকাবাড়ি লক্ষীভান্ডার 10পাস চাকরি আবহাওয়া আজকের খবর কলকাতার খবর সোনার দাম বাসের সময়সূচী মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক