
বর্তমান সময়ে গৃহস্থ বাড়িতেই হোটেলের স্বাদে বিরিয়ানি তৈরির ঝোঁক ক্রমশ বাড়ছে। ব্যস্ত জীবনে বাইরের খাবারের ওপর নির্ভরতা যেমন বেড়েছে, তেমনি বাড়ির পরিবেশে স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু রান্নার ইচ্ছেও তৈরি হয়েছে। ঠিক সেই চাহিদাকে মাথায় রেখেই আজকের এই প্রতিবেদনে রইল একেবারে হোটেল স্টাইল চিকেন বিরিয়ানি তৈরির সহজ ও পরীক্ষিত রেসিপি।
চিকেন, বাসমতী চাল, এবং রান্নাঘরের সাধারণ কিছু মশলা দিয়ে কীভাবে আপনি রেস্টুরেন্টের স্বাদ আনতে পারেন, তা ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনটিতে। ফলে যাঁরা প্রথমবার বিরিয়ানি রাঁধছেন, কিংবা রোজকার বিরিয়ানিতে নতুন স্বাদ আনতে চান—তাঁদের জন্য এই প্রতিবেদন নিঃসন্দেহে উপকারী হবে।
হোটেল স্টাইল চিকেন বিরিয়ানিতে কী কী উপকরণ লাগবে? দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা
খাদ্য রসিকদের জন্য সেরা হয়ে উঠবে আজকের প্রতিবেদন কারণ আজকের প্রতিবেদন থাকছে চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি যা প্রত্যেক বাঙালির খাদ্যের তালিকায় প্রথমে থাকে। কোন অনুষ্ঠান বাড়ি হোক বা কোন পছন্দের হোটেল প্রথমেই অর্ডার করার আগে যে খাবারের কথা সবচেয়ে বেশি মনে চিকেন বিরিয়ানি, রেসিপিটি বানাতে কি কি উপকরণ লাগবে টেবিলে উল্লেখ করলাম।
ক্রমিক | উপকরণ | প্রয়োজনীয় পরিমাণ ও ব্যাখ্যা |
---|---|---|
১ | বাসমতী চাল | প্রায় ২৫০ গ্রাম – সুগন্ধি চাল ব্যবহার করলেই ভালো হয় |
২ | মুরগির মাংস (মাঝারি/বড় টুকরো) | আধা কেজি – ভালভাবে ধুয়ে রাখা |
৩ | পেঁয়াজ বাটা | ১ চা চামচ – মশলার স্বাদ বাড়ানোর জন্য |
৪ | আদা বাটা | ১ চা চামচ – টাটকা হলে বেশি ভালো |
৫ | রসুন বাটা | ১ চা চামচ – গন্ধ ও স্বাদের ভারসাম্য রাখতে |
৬ | ধনে গুঁড়ো | ১ চা চামচ – মশলার বেস হিসেবে |
৭ | শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো | ১ চা চামচ – স্বাদ অনুযায়ী কম বেশি করতে পারেন |
৮ | টক দই | ৪ চা চামচ – মুরগি মেরিনেট করতে লাগে |
৯ | লবণ | ১ চা চামচ – মেরিনেশনের জন্য |
১০ | হলুদ গুঁড়ো | ১ চা চামচ – মুরগির রঙ ও স্বাদের জন্য |
১১ | আলু (মাঝারি আকারের) | ২-৩টি – খোসা ছাড়িয়ে অর্ধেক করে কাটা |
১২ | আলু ভাজার আগে যা মাখাতে হবে | হলুদ – ১ চা চামচ, লবণ – ১ চা চামচ, রঙ – ১/৪ চা চামচ |
১৩ | তেজপাতা | ৫-৬টি – চাল সিদ্ধ বা দমে ব্যবহৃত হবে |
১৪ | তরল দুধ | ২ টেবিল চামচ – জাফরান মিশাতে ব্যবহার |
১৫ | পাতলা কাটা পেঁয়াজ (ভাজার জন্য) | ১টি বড় – হালকা বাদামি করে ভাজতে হবে |
১৬ | সর্ষের তেল | প্রায় ১/৪ কাপ – বিরিয়ানির ঘ্রাণে আলাদা মাত্রা আনে |
১৭ | জাফরান | ১ চিমটি – দুধে ভিজিয়ে রেখে ব্যবহার করুন |
১৮ | শাহী বিরিয়ানি মসলা | ২ চা চামচ – স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ানোর মূল উপকরণ |
১৯ | ঘি | ২ টেবিল চামচ – উপরে ছড়িয়ে দিতে হয় |
২০ | গোলাপ জল | ১ চা চামচ – অতিরিক্ত ঘ্রাণের জন্য |
২১ | কেওড়া জল | ২ চা চামচ – রোস্টেড ফ্লেভার বাড়ায় |
২২ | মিঠা আতর | ৪-৫ ফোটা – ঐতিহ্যবাহী ঘ্রাণ যোগ করে |
২৩ | চাল সেদ্ধ করার সময় যে মশলাগুলো লাগবে | লবণ, দারচিনি (১/২ চা চামচ), এলাচ (২-৩টি), লবঙ্গ (৪-৫টি), জয়ফল (অর্ধেক), জয়িত্রী (১/৪ চা চামচ) |
২৪ | দমের হাঁড়ি বন্ধ করতে যা দরকার | ময়দা – ১টা রুটির মতো ডো বানিয়ে মুখ সিল করতে হবে |
বাড়িতেই রেস্টুরেন্টের স্বাদ! জেনে নিন চিকেন বিরিয়ানি বানানোর সম্পূর্ণ প্রণালী
চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি শুরু করার আগে আমাদের বুঝে নিতে হবে—এই প্রণালীটি ধৈর্য ও যত্নের প্রয়োজন। কারণ একটি নিখুঁত chicken biryani recipe বানাতে গেলে শুধু উপকরণ যথাযথ হলেই চলবে না, প্রতিটি ধাপে ভালোবাসা মেশাতে হয়। নিচে ধাপে ধাপে এই রেসিপিটি তুলে ধরা হল।
মাংস মেরিনেশন: স্বাদের প্রথম চাবিকাঠি
প্রথমেই চিকেনের টুকরোগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এবার একে একে দিতে হবে—১ চা চামচ লবণ, ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, আদা, রসুন ও পেঁয়াজের বাটা (সবই ১ চা চামচ করে)। এর সঙ্গে দিতে হবে ধনে গুঁড়ো, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, ১ চা চামচ কেওড়া জল, ১ চা চামচ শাহী বিরিয়ানি মসলা এবং ৪ চা চামচ টক দই। সব মশলা ভালোভাবে মাখিয়ে মাংসটা কমপক্ষে এক ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিতে হবে। এই ধাপটি সঠিকভাবে না করলে চিকেন বিরিয়ানি প্রণালী পুরো স্বাদ হারিয়ে ফেলতে পারে।
বিরিয়ানির চাল প্রস্তুতি
চিকেন বিরিয়ানি প্রণালীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ যেটা অবহেলা করলে চলবে না, তা হল বাসমতি চাল। ২৫০ গ্রাম চাল ধুয়ে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। তারপর জল ঝরিয়ে রাখতে হবে।
এক কাপ চালের জন্য ছয় কাপ জল একটা হাঁড়িতে বসাতে হবে। জলে দিতে হবে ২ চা চামচ লবণ। এবার মসলিন কাপড় বা সাদা পরিষ্কার কাপড় নিয়ে তার মধ্যে রাখতে হবে ১/২ চা চামচ দারচিনি কুচি, ২-৩টা এলাচ ফাটিয়ে, ৪-৫টা লবঙ্গ, আধা জায়ফল ও ১/৪ চা চামচ জয়িত্রী। কাপড়টা পুঁটলির মতো বেঁধে ফুটন্ত জলে ফেলে দিতে হবে। এই পদ্ধতিকে বলা হয় বুকে গার্নি (Bouquet Garni), যা অনেক authentic চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি-তে ব্যবহৃত হয়।
চাল সেদ্ধ করার সঠিক সময় ও কৌশল
চাল ফুটন্ত জলে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট সেদ্ধ করতে হবে, যেন চাল ৮০% সিদ্ধ হয়। চাল নাড়াচাড়া একেবারেই করা যাবে না। না হলে চাল গলে যেতে পারে। তারপর আঁচ বন্ধ করে ঝরিয়ে জল ফেলে দিতে হবে। কাপড়ের পুঁটলির মশলাগুলো পরের মাংস রান্নায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
আলু ও ডিম: বাঙালির বিরিয়ানির অনিবার্য সঙ্গী
৩টি মাঝারি আলু খোসা ছাড়িয়ে অর্ধেক কেটে নিতে হবে। তাতে হলুদ গুঁড়ো, লবণ ও সামান্য ফুড কালার মেখে রাখতে হবে। ডিমগুলোও সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে একইভাবে লবণ ও হলুদ মেখে নিতে হবে। chicken biryani recipe-র বাঙালি ভার্সনে এই আলু-ডিমের মেলবন্ধন এক আলাদাই জায়গা রাখে।
বেরেস্তা ও ভাজাভুজি: সুবাস বাড়ানোর গোপন কৌশল
একটা কড়াইতে ১/৪ কাপ সরষের তেল গরম করে একে একে পেঁয়াজ কুচি ভেজে বেরেস্তা বানিয়ে তুলে রাখতে হবে। এরপর আলু ও ডিম গুলোও হালকা লালচে করে ভেজে নিতে হবে। এই ধাপে একটু ধৈর্য ধরতে হয়, কারণ চিকেন বিরিয়ানি প্রণালীতে এই ভাজাভুজি অংশটাই স্বাদে ব্যাপক তফাৎ এনে দেয়।
মাংস কষানো: গাঢ় ঝোল, গাঢ় স্বাদ
তেলে এবার মেরিনেট করা মাংস ঢেলে দিয়ে হালকা আঁচে কষাতে হবে। একে একে ঢাকা দিয়ে মাঝে মাঝে নাড়াচাড়া করে ৩০ মিনিট সময় ধরে কষাতে হবে। প্রয়োজনে অল্প গরম জল ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেক chicken biryani recipe-তেই এই কষানোর ধাপটা এড়িয়ে যায়, অথচ আসল স্বাদ এখানেই।
দুধ-জাফরান মিশ্রণ : সৌরভে মোড়ানো শেষ ছোঁয়া
এক বাটিতে ২ টেবিল চামচ গরম দুধ নিয়ে তার মধ্যে ১ চিমটি জাফরান ও সামান্য ফুড কালার মিশিয়ে রাখতে হবে। এটা শেষ স্তরে গন্ধ ও রং আনার জন্য খুব জরুরি।
সুগন্ধি প্রস্তুতি: ঘি, গোলাপ জল, কেওড়া জল, আতর
একটা বাটিতে গোলাপ জল ১ চা চামচ, কেওড়া জল ২ চা চামচ ও মিঠা আতর ৪-৫ ফোঁটা মিশিয়ে রাখতে হবে। আরেকদিকে ২ টেবিল চামচ ঘি গলিয়ে নিতে হবে।
স্তর বসানো ও দমে দেওয়া
হাঁড়ির তলায় আগে ঘি মাখিয়ে দিতে হবে। তারপর তেজপাতা বিছিয়ে তার উপর আলু, কিছু মাংস, কিছু ভাত দিয়ে দিতে হবে। এরপরে বেরেস্তা, সামান্য শাহী বিরিয়ানি মসলা, কেওড়া-গোলাপ-আতরের মিশ্রণ ছড়িয়ে দিতে হবে। এইভাবে একের পর এক ভাত ও মাংসের স্তর বসাতে হবে। একেবারে ওপরে ডিম ও দুধ-জাফরানের মিশ্রণ ছড়িয়ে দিতে হবে।
এরপর হাঁড়ির মুখে ময়দা মেখে সিল করে দিতে হবে যাতে ভেতরের বাস্প বাইরে না বেরোয়। এবার দমে বসাতে হবে অন্তত ৩০ মিনিট, একদম কম আঁচে।
পরিবেশন: শেষমেষ চোখজুড়ানো ও মন ভরানো এক থালা
৩০ মিনিট দমে রাখার পর ১০ মিনিট ঠান্ডা হতে দিয়ে ময়দা খুলে ঢাকনা তুলে দিলে গন্ধে মন ভরে যাবে। একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়—এটা এমন এক চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি যা একবার করলে সবাই আপনাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেবে।

প্রশ্নোত্তর (FAQ) – চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা
১. বাড়িতে রেস্টুরেন্ট স্টাইলের চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি কীভাবে বানানো যায়?
রেস্টুরেন্টের মতো সুস্বাদু চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি তৈরি করতে হলে ম্যারিনেশনে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে এবং দম দেওয়ার সময় সঠিক মাত্রায় ঘি, গোলাপ জল, কেওড়া জল ও জাফরান ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি স্তর যত্ন করে সাজানোও খুব জরুরি।
২. চিকেন বিরিয়ানি রেসিপিতে কী ধরনের চাল ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো?
বাসমতি চাল সবথেকে ভালো পছন্দ কারণ এটি দীর্ঘ দানার, সুন্দর সুগন্ধযুক্ত এবং রান্নার পর আলাদা থাকে। তবে বাড়িতে থাকলে গবিন্দভোগ বা অন্যান্য সুগন্ধি চালেও চিকেন বিরিয়ানি প্রণালী অনুসরণ করে সুস্বাদু রান্না করা যায়।
৩. চিকেন বিরিয়ানি বানাতে চাল কতটা সেদ্ধ করতে হয়?
চালকে পুরোপুরি না সেদ্ধ করে প্রায় ৮০% পর্যন্ত সেদ্ধ করতে হয়। তারপর দমে রেখে সম্পূর্ণ রান্না সম্পন্ন হয়। এতে চাল ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
৪. চিকেন বিরিয়ানিতে আলু ও ডিম ব্যবহার করবো কখন?
চিকেন বিরিয়ানি রেসিপিতে আলু ও ডিম ভেজে নিতে হয় মাংস কষানোর আগে। দম দেওয়ার স্তরে আলু নিচে এবং ডিম ওপরের স্তরে রাখা হয়। এতে স্বাদ ও পরিবেশনা দুটোতেই বৈচিত্র্য আসে।
৫. জাফরান না থাকলে কি চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি সম্পূর্ণ হয় না?
জাফরান না থাকলে সামান্য ফুড কালার ও দুধের মিশ্রণ ব্যবহার করলেও সুন্দর রঙ ও হালকা গন্ধ আসে। তবে আসল জাফরান থাকলে স্বাদে আলাদা মাত্রা যোগ হয়।
৬. বিরিয়ানি রান্নায় কেওড়া জল বা গোলাপ জল না থাকলে কী করতে পারি?
যদি এগুলো না থাকে, তাহলে শুধু ঘি ও বেরেস্তার গন্ধেই কাজ চালানো যায়। তবে যেকোনো একটি সুগন্ধি উপাদান যোগ করলেই চিকেন বিরিয়ানি রেসিপির আসল ঘ্রাণ বজায় থাকে।
৭. এক প্লেট চিকেন বিরিয়ানি বানাতে কী পরিমাণ উপকরণ লাগে?
প্রায় ২৫০ গ্রাম বাসমতি চাল ও ৫০০ গ্রাম চিকেন দিয়ে তিন থেকে চার প্লেট চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি তৈরি করা যায়। পরিমাণ বাড়ানো বা কমানো যায় মানুষের সংখ্যা অনুযায়ী।
৮. চিকেন বিরিয়ানি রেসিপিতে কী কী মশলা ব্যবহার হয়?
এই রেসিপিতে ব্যবহৃত মশলাগুলোর মধ্যে রয়েছে—ধনে গুঁড়ো, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, শাহী বিরিয়ানি মসলা, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, জয়িত্রী, জায়ফল ইত্যাদি। এগুলোর সঠিক পরিমাণে ব্যবহারেই স্বাদ আসে।
৯. চিকেন কষানোর সময় কি পানি দিতে হয়?
প্রয়োজনে এক-দু’বার অল্প করে গরম জল ব্যবহার করা যায়, তবে বেশি না। মাংস কষানোর সময় ঢেকে রেখে রান্না করলেই জলের প্রয়োজন খুব একটা পড়ে না।
১০. দম দেওয়ার সময় হাঁড়ির মুখ আটকে দেওয়া কেন জরুরি?
চিকেন বিরিয়ানি প্রণালীতে দম দেওয়ার সময় বাস্প আটকে রাখার জন্য ময়দা দিয়ে হাঁড়ির মুখ বন্ধ করা হয়। এতে গন্ধ, স্বাদ ও নরমতা ঠিকঠাক থাকে।
ভবিষ্যতে আরও রেসিপি নিয়ে আসবো
আমাদের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা শুধু কলকাতার সুস্বাদু চিকেন দম বিরিয়ানি রেসিপি শিখলাম। তবে ভবিষ্যতে আমরা আপনাদের জন্য আরও নানা রকম বিরিয়ানি নিয়ে আসবো। যেমন:
- কলকাতা স্টাইল দম বিরিয়ানি
- হায়দ্রাবাদি চিকেন বিরিয়ানি
- মুসলিম বিরিয়ানি
- আন্ধ্র বিরিয়ানি
- কচ্চি বিরিয়ানি
- বেঙ্গলি স্টাইল মাটন বিরিয়ানি
প্রতিটি বিরিয়ানির আলাদা স্বাদ, রান্নার পদ্ধতি এবং বিশেষ গন্ধ থাকে। আমরা ধীরে ধীরে এসব রেসিপি নিয়ে আসবো যাতে আপনারা ঘরেই বাড়ির মতো স্বাদ পেতে পারেন। এছাড়াও রান্নার সময় কী কী সতর্কতা নিতে হবে, মশলার ব্যবহার কেমন হবে, আর বিভিন্ন অঞ্চল অনুযায়ী কিভাবে বিরিয়ানি রান্না হয়, সবকিছু সহজ ভাষায় বিস্তারিত জানানো হবে।
তাই আমাদের সাথেই থাকুন, কারণ সামনে আসছে আরও মজাদার ও পরিপূর্ণ বিরিয়ানি রেসিপি, যা আপনাদের রান্নার জগৎকে আরও রঙিন করে তুলবে।