
বাংলা আবাস যোজনা বিরাট বড় সুখবর এবার বাংলা আবাস যোজনায় যারা বাড়ি বানিয়ে দেবেন অর্থাৎ শ্রমিকরা তাদের জন্যই রাজ্য সরকার বিরাট পরিকল্পনা। এবার থেকে কর্মশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বাংলার বাড়ির প্রকল্পের সাথেই বিরাট ঘোষণা।
বাংলার বাড়ি তে কর্মশ্রী প্রকল্প সুবিধা দিবে রাজ্য সরকার
বাংলার বাড়ি তে কর্মশ্রী প্রকল্প সুবিধা বাংলা আবাস যোজনা মাধ্যমে বহু মানুষ প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন। আর এমনই সময় রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং গ্রামার মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানালেন অবাক করা খবর।বাংলার বাড়ি বা বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে যে সমস্ত শ্রমিকরা কাজ করবেন।অর্থাৎ যে সমস্ত জব কার্ড হোল্ডার কাজ করবেন তারা কর্মশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা পাবেন।
কিভাবে পাবেন বাংলার বাড়ি তে কর্মশ্রী প্রকল্প সুবিধা
১০০ দিনের কাজ বহুদিন ধরে বন্ধ পড়ে রয়েছে বাংলায়। এমন সময় বাংলার বাড়ি তে কর্মশ্রী প্রকল্প সুবিধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার দীর্ঘদিন ধরে আর রাজ্যকে কোন অর্থ দেয়নি কেন্দ্র সরকার যার ফলে বাংলার আবাস যোজনায় যারা বাড়ি বানাবে। তাদের জন্য বিরাট সুখবর মুখ্যমন্ত্রীর কর্মশ্রী প্রকল্প চালু করছেন শ্রমিকদের কাজ দিতে।
কিভাবে পাবেন কর্মশ্রী প্রকল্পের টাকা
এদিন পঞ্চায়েত মন্ত্রী জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১২ লক্ষ বাড়ি তৈরি হবে আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই কাজে যারা নিযুক্ত হবেন তারাই পাবেনবাংলার বাড়ি তে কর্মশ্রী প্রকল্প সুবিধা। বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির টাকা কর্মশ্রী প্রকল্প থেকে। তারা যদি জব কার্ড হোল্ডার হন বা জব কার্ড। থেকে থাকে তাহলে তারা সেই কাজের জন্য কর্মশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।
এছাড়াও নির্দেশ দেন উপভোক্তারা সঠিক সময়ে কাজ শুরু করলো কিনা তা নিচু তোলায় লুকিয়ে দেখতে হবে।তারা অধিকাংশ মানুষই গরীব। তাই অন্য কোন কারণে যাতে এই টাকা পয়সা খরচ করে না ফেলে তার দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
বাংলার বাড়ির সাথে শৌচালয়ের বারো হাজার টাকা
এছাড়া বলা হয়েছে এই প্রকল্পে যারা পাকা বাড়ি পাচ্ছেন তারা যদি পূর্বে শৌচালয় না পেয়ে থাকেন। তাদেরকে একই সাথে ১২ হাজার টাকা দিয়ে শৌচালয় বানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে তার জন্য অবশ্য উপভোক্তাদের পৃথকভাবে আবেদন করতে হবে সোচালয়ের জন্য।বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির টাকা কর্মশ্রী প্রকল্প থেকে।
আপনাদের এলাকায় কারা কারা আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি করে ফেলেছে বা কাজ শুরু করেছে আপনি কমেন্টে জানাতে পারেন। আবাস যোজনা সম্পর্কিত বা বাংলার বাড়ি সম্পর্কিত কোন তথ্য জানতে অবশ্যই আমাদের কমেন্টে আপনার মতামত জানাবেন। তবে প্রতিনিয়ত একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে। এই মুহূর্তে আরো এক খবর সামনে উঠে এলো সরকারি আবাস যোজনা ঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে শিবানী মাহাতো আবাসিক টাকা পেয়েছেন পীরজাপুর গ্রামের তার বাড়ি তার মুখে শোনা গেল গুরুতর অভিযোগ ওই মহিলার ঘর ভেঙে দিয়েছে প্রতিবেশীরা। এমনকি প্রতিবাদ করতে গেলে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ এ নিয়ে বালুরঘাট থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিলা। এর সাথে আবাস যোজনায় বেশ কিছু নিয়মের ও পরিবর্তন হয়েছে। জানা গিয়েছে অনেকে আবাস যোজনায় বাড়ি কিভাবে পাবেন তা নিয়ে বিরাট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে উঠে এলো।
এবার বেশি টাকা ইনকাম করলেও পাবেন আবাস যোজনার বাড়ি
এবার থেকে বেশি টাকা ইনকাম করলেও পেয়ে যাবেন আবাস যোজনার বাড়ি নিয়মের পরিবর্তন। এতদিন পর্যন্ত অফলাইন আমার জন্য আবেদন করা যেত তবে এবার অনলাইনের মাধ্যমে আবাস যোজনা প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন। এমন কি আবাস যোজনা প্রকল্প চালু করার জন্য একটা মোবাইল অ্যাপো চালু করেছে যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় খুব সুন্দরভাবে আবেদন করতে পারবেন। বর্তমানে অ্যাপটি প্লে স্টোর এ রয়েছে আপনি সেখান থেকেও কেন্দ্রে আবাস যোজনায় বা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আবেদন করতে পারবেন। তবে বর্তমান বাংলা বঞ্চিত কেন্দ্র আবাস যোজনা বা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে। তাই মুখ্যমন্ত্রী নিজের কোষাগার থেকে চালু করেছে বাংলা আবাস যোজনা আর তাতেই টাকা পাচ্ছে বাংলা জনগণ।
তবে কেন্দ্র আবাস যোজনায় পরিধি বাড়িয়েছে সরকার মাসিক আয় যাদের 10 হাজার টাকা ফ্রিজ বাইক মোবাইলও রয়েছে তাদের এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি পূর্বে। তবে এখন সেই নিয়মের বদল করা হয়েছে যাদের বেতন প্রায় ১৫ হাজার টাকা বা তার বেশি তারাও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আবেদন করতে পারবেন বলে গুরুত্বপূর্ণ খবর সামনে উঠে আসছে।
বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের কারা উপকৃত হন
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন কেন্দ্র সরকার আবাস যোজনা টাকা বাংলায় না দিলেও সেই টাকা যে করে হোক জোগাড় করে বাংলায় বাড়ি তৈরি করে দেবেন রাজ্য সরকারের টাকা থেকেই। সেই ভাবনা বাস্তবায়িত করে বাংলার গৃহহীন দরিদ্র মানুষদের আবাস যোজনা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্প।
বাংলা আবাস যোজনার প্রকল্পের মূল বৈশিষ্ট্য গুলি কি ?
যাদের মাটির বাড়িতে বসবাসের অসুবিধা এবং পাকা বাড়ি তৈরি করার মতো সামর্থ্য নেই তারাই বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে আবেদন করতে পারেন।
বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের উদ্দেশ্য গুলি হল
- বাংলায় বসবাস করে এমন মানুষ যারা দুর্বল শ্রেণীর মানুষ তাদের পাকা বাড়ি তৈরিতে সাহায্য করাই বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
- প্রত্যেক পরিবারকে পাকা বাড়ি তৈরির জন্যই প্রকল্পে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত সাহায্য দেয়া হয়ে থাকে।
- বর্তমানে পাকা বাড়ির সাথে সাথে শৌচাগার পানীয় জল এর সুবিধা ও বাংলা বাড়ি প্রকল্পের সাথে যুক্ত করা হয়েছে।
- প্রত্যেক ব্যক্তি আবেদন করে থাকলে তিনটি কিস্তিতে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা পাবেন।
বাংলার বাড়ি প্রকল্প কিভাবে আবেদন করা যায়
বাংলার বাড়ি প্রকল্প আবেদন করার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস অথবা বিডিও অফিস থেকে ফর্ম সংগ্রহ করে বাংলার বাড়ির জন্য আবেদন করতে পারবেন। অথবা অনলাইনেও আপনি আবেদন করেন বাংলার বাড়ির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে। প্রত্যেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথিগুলো আপনাকে সাথে দিতে হবে যেরকম আধার কার্ড রেশন কার্ড জমির কাগজ ব্যাংকের একাউন্ট এর মত আরো অনেক তথ্য রয়েছে।
এছাড়াও পড়ুন:- সর্বশেষ খবর, সরকারি প্রকল্প, চাকরির খবর
কর্মশ্রী প্রকল্প কি ? কেন এই প্রকল্প চালু হয় ?
কর্মশ্রী প্রকল্প বেকার এবং কম দক্ষ এমন মানুষদের কাজের সুবিধা করার জন্যই রাজ্য সরকার এক প্রকল্প চালু করেন যেখানে কর্মসংস্থান এর সুবিধা প্রদান করে। সেই প্রকল্পই কর্মশ্রী প্রকল্প নামে পরিচিত।
কর্মশ্রী প্রকল্পে কারা আবেদন করতে পারেন ?
কর্মশ্রী প্রকল্প আবেদন করার জন্য কয়েকটা নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।
- ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়স হয়ে থাকলে কর্মশ্রী প্রকল্প আবেদন করা হয়ে থাকে।
- তবে অল্পবিস্তর জ্ঞান এবং কাজের দক্ষতা থাকা জরুরি কর্মসৃপক্ষ আবেদনের জন্য।
- নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ বা কর্মশালায় দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হবে
- বেকার জনসাধারণের কর্মের সংস্থান প্রদানের জন্যই কর্মশ্রী প্রকল্প চালু করা হয়েছিল।
কর্মশ্রী প্রকল্প আবেদন করার অনলাইনে অথবা অফলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এই প্রকল্প শুধু চাকরি প্রদানের সীমাবদ্ধ নয় বেকার যুবক-যুবতীদের নিজের উদ্যোগে যাতে সমাজে কিছু ইতিবাচক কাজ করানো যায় তার দিকে নজর রাখা হয়। আধুনিক শিল্প এবং প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন দপ্তরে প্রশিক্ষণ প্রদান করে সমস্ত কাজেই কর্মক্ষমতাকে বৃদ্ধি করাই কর্মশ্রী প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।
বর্তমানে বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মশ্রী প্রকল্পের সুবিধা দেয। এটি শুধুমাত্র গৃহ নির্মাণের একটি উপায় নয়, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাকে উন্নত করার চেষ্টা। বাংলা আবাস যোজনায় কর্মশ্রী প্রকল্প যুক্ত হয় প্রচুর মানুষ বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাড়ি বানিয়ে কর্মশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারবেন।
এছাড়াও পড়ুন:- সর্বশেষ খবর, সরকারি প্রকল্প, চাকরির খবর
1 thought on “বাংলার বাড়ি তে কর্মশ্রী প্রকল্প সুবিধা বাংলার বাড়ি প্রকল্পে যুক্ত শ্রমিকদের দেয়া হবে কর্মশ্রী প্রকল্পের টাকা”