
নিজস্ব প্রতিবেদন, বেঙ্গল জব স্টাডি:
চারিদিকে শুধু ধ্বংসস্তূপ, কালো ধোঁয়া আর মৃত্যুর নিঃশব্দ আর্তনাদ। আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পরে যখন সবাই ধরেই নিয়েছে, বিমানের প্রতিটি প্রাণ শেষ—তখনই যেন আকাশ থেকে ভেসে আসে এক অলৌকিক বার্তা। ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে বেঁচে আছেন মাত্র একজন! এই কাহিনী শুধুই রুদ্ধশ্বাস নয়, বরং ঈশ্বরের আশীর্বাদ মনে করছেন অনেকেই।
১১এ সিটের যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশ – মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা এক জীবন
এয়ার ইন্ডিয়ার AI171 ফ্লাইটটি যখন আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ে গ্যাটউইকের দিকে রওনা দেয়, তখন কারও কল্পনাতেও ছিল না এমন পরিণতি অপেক্ষা করছে। বিমানটি আকাশে ওড়ার কিছু পরেই, মেঘানিনগরের লোকালয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। মুহূর্তেই আগুনে ভস্মীভূত হয় পুরো কাঠামো। চারদিকে শুধু ছাই আর কান্নার শব্দ।
কিন্তু সেই মৃত্যুর মিছিলে একমাত্র আলোর রেখা—বিশ্বাস কুমার রমেশ। আহমেদাবাদ পুলিশের কমিশনার জি এ মালিক জানিয়েছেন, তাঁকেই জীবিত উদ্ধার করা গেছে। বসেছিলেন ১১এ সিটে। তাঁর মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর চোট রয়েছে। বুক, চোখ এবং পায়ে গভীর আঘাত থাকলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আপাতত স্থিতিশীল তিনি।
ভাইয়ের মৃত্যু, নিজের বেঁচে ফেরা—বিশ্বাসের জীবনে এক অদ্ভুত মোড়
৪০ বছর বয়সী বিশ্বাস কুমার রমেশ বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন আহমেদাবাদের আসারওয়া হাসপাতালে। এই দুর্ঘটনায় তাঁর দাদা, ৪৫ বছর বয়সী অজয় কুমার রমেশ প্রাণ হারিয়েছেন। এক ভাই হারালেন, আরেক ভাই ফিরে এলেন মৃত্যুর মুখ থেকে। এ যেন ভাগ্যের এক কঠিন খেলা।
AI171 বিমানে ছিলেন ১৬৯ ভারতীয়, ৫৩ ব্রিটিশ, আরও আন্তর্জাতিক যাত্রী
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিমানে মোট ২৩০ জন যাত্রী ছিলেন, সঙ্গে ১২ জন কেবিন ক্রু। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, ৭ জন পর্তুগিজ ও ১ জন কানাডিয়ান যাত্রী। দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় প্রত্যেকের জীবন এক নিমেষে থেমে যায়।
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর আগুন ধরে যায় পুরো কাঠামোয়। বিভিন্ন ভিডিও ও সংবাদ চ্যানেলে দেখা গিয়েছে ভয়ানক বিস্ফোরণ, জ্বলন্ত ধোঁয়া এবং লোকালয়ের ভেঙে পড়া ঘরবাড়ি। উদ্ধারকারীদের মতে, একমাত্র বিশ্বাসের জীবিত ফিরে আসা ছিল এক অলৌকিকতা।