
নিজস্ব প্রতিবেদন, বেঙ্গল জব স্টাডি: সকালবেলা আচমকাই দুঃস্বপ্নের মতো খবর। গুজরাতের আহমেদাবাদ শহরের মেঘানিনগর এলাকায় ঘটে গেল এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু মেম্বার—সব মিলিয়ে ২৪২ জনের জীবনে ছেদ পড়ে এক মর্মান্তিক ঘটনায়।
টেক-অফের সময়েই ঘটেছিল দুর্ঘটনার সূত্রপাত
প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, বিমানটি যখন রানওয়ে ছেড়ে টেক-অফ করছিল, ঠিক সেই সময় পিছনের অংশে একটি গাছে ধাক্কা লাগে। সেই ধাক্কাতেই বিমানের সামঞ্জস্য নষ্ট হয়ে যায়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি লোকালয়ের উপর ভেঙে পড়ে। এরপরই বিমানটিতে দাউদাউ করে আগুন লেগে যায়, ছড়িয়ে পড়ে তীব্র আতঙ্ক।
প্রাণে বাঁচার আশা নেই বলেই জানাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা
বিমানটি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভেঙে পড়ায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ভয়ানক রকমের। স্থানীয় লোকজনের মধ্যে হাহাকার, চারদিকে শুধু কান্নার রোল। দমকলের অন্তত সাতটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে উদ্ধারকারীদের মতে, বিমানে থাকা কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।
নির্মীয়মাণ বহুতলে ধাক্কার সম্ভাবনা, চলছে তদন্ত
প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই বলছেন, বিমানটি সম্ভবত বিমানবন্দরের ঠিক সামনেই থাকা একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে ধাক্কা খায়। সেটিই দুর্ঘটনার বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যদিও তদন্তকারীরা বলছেন, এখনও সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনও কারিগরি ত্রুটি, তা জানার অপেক্ষায় গোটা দেশ।
শোকস্তব্ধ গোটা দেশ, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন শোকবার্তা
এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা দেশে। প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।