ঝাড়গ্রামে বাংলা ভাষা আন্দোলন ২০২৫: জঙ্গলমহলে মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা

আগামী ৬ অগস্ট, রাজবাড়ি মোড় থেকে সার্কাস ময়দান পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের বিশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।

Ujjwal Dey

By Ujjwal Dey

Updated on: August 3, 2025

বাংলা ভাষা আন্দোলন ঝাড়গ্রাম ২০২৫
বাংলা ভাষা আন্দোলন ঝাড়গ্রাম ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদন, বেঙ্গল জব স্টাডি: বাংলা ভাষা আন্দোলন ঝাড়গ্রাম ২০২৫বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় ফের পথে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তিনিকেতনের পর এবার তাঁর গন্তব্য জঙ্গলমহল। ঝাড়গ্রামে ভাষা আন্দোলনের মিছিলে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্ব এক নতুন বার্তা বহন করছে। ‘বাংলা ভাষা আন্দোলন ঝাড়গ্রাম ২০২৫’ নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার প্রস্তুতি।

ঝাড়গ্রামে ভাষা আন্দোলনের মিছিলের প্রস্তুতি

আগামী ৬ অগস্ট, রাজবাড়ি মোড় থেকে সার্কাস ময়দান পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের বিশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। সঙ্গে থাকবেন বিশিষ্টজন, আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সম্প্রদায় ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা।

বিজেপির বিরুদ্ধে ভাষাবিদ্বেষের অভিযোগ

সম্প্রতি কলকাতায় বিধানসভা ভবনে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ভাষা-বিদ্বেষের অভিযোগ তোলা হয়। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল সভাপতি দুলাল মুর্মু, বিনপুরের বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা এবং গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ মাহাতো। বিশ্ব আদিবাসী দিবস ও ভাষা আন্দোলন ঘিরে গুচ্ছ কর্মসূচির রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়।

ঝাড়গ্রামে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি সফল করতে একদিন আগেই ঝাড়গ্রামে পৌঁছবেন ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীর সফরে শুধু মিছিলই নয়, থাকবে প্রশাসনিক বৈঠক, আদিবাসী দিবস উদযাপন এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি।

বাংলা ভাষাকে অপমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

তৃণমূলের দাবি, ভিন রাজ্যে বাংলাভাষীদের উপর যে অপমান, নির্যাতন ও নিগ্রহের ঘটনা ঘটছে, তা এক গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। কখনও বাংলাদেশি সন্দেহে বাঙালিদের হেনস্থা, কখনও উপার্জন কেড়ে নেওয়া—এই সমস্ত ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই মুখ্যমন্ত্রী পথে নামছেন।

জঙ্গলমহলে তৃণমূলের সামাজিক অবস্থান

তৃণমূলের মতে, ঝাড়গ্রামের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দিক থেকে নয়, বরং তা হয়ে উঠছে এক সামাজিক বার্তা। ভাষা, পরিচয় এবং সাংস্কৃতিক অধিকারকে সামনে রেখে জঙ্গলমহলের মানুষকে একত্রিত করার চেষ্টায় নামছে দল।

মুখ্যমন্ত্রীর সফর ও কর্মসূচির বার্তা

বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর একাধিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। ভাষা আন্দোলন ছাড়াও প্রশাসনিক ও সামাজিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে এই যাত্রা। পরিস্থিতি অনুযায়ী রুট বদল হলেও বার্তা একটাই—“বাংলার সম্মানে আঘাত এলে, জবাব দেবে বাংলা।”

বাংলা ভাষা আন্দোলন ঝাড়গ্রাম ২০২৫ – মূল পয়েন্ট (টেবিলে)

বিষয়বিস্তারিত
তারিখ৬ অগস্ট ২০২৫
স্থানঝাড়গ্রাম, রাজবাড়ি মোড় থেকে সার্কাস ময়দান
নেতৃত্বমুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
উপস্থিতিবিশিষ্টজন, আদিবাসী প্রতিনিধি, তৃণমূল নেতৃত্ব
উদ্দেশ্যভাষা আন্দোলন, আদিবাসী দিবস, প্রশাসনিক বৈঠক
বার্তাবাংলার সম্মানে আঘাত এলে জবাব দেবে বাংলা

শেষ কথা

বাংলা ভাষা আন্দোলন ঝাড়গ্রাম ২০২৫’ একদিকে যেমন রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে, তেমনই তা হয়ে উঠছে সাংস্কৃতিক ঐক্যের প্রতীক। বাংলার মর্যাদা রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চলেছে।

বাংলা ভাষার সম্মান ও বাঙালির পরিচয় রক্ষায় ঝাড়গ্রামে শুরু হচ্ছে নতুন ভাষা আন্দোলন ২০২৫। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং নেতৃত্ব দেবেন এই ঐতিহাসিক কর্মসূচিতে—জেনে নিন কেন জঙ্গলমহল এখন বাংলা গর্বের কেন্দ্রবিন্দু।

এই ভাষা আন্দোলনের সামাজিক ও রাজনৈতিক তাৎপর্য কী?

বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষায় এই প্রতিবাদ শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতি ও পরিচয়ের বিরুদ্ধে যেকোনও অপমানের জবাব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ঝাড়গ্রামে এই র‍্যালি গোটা রাজ্যের মধ্যে একটি স্পষ্ট বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে—বাংলা ভাষা ও তার অস্তিত্ব নিয়ে কোনও আপস নয়। বিশেষ করে ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর আক্রমণ এবং বাংলা ভাষাভাষীদের হেনস্থার বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ ভাষা সচেতনতার একটি মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঝাড়গ্রামে ভাষা আন্দোলন কেন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে?

জঙ্গলমহল এলাকায় বহুদিন ধরে সামাজিক উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক স্বীকৃতির দাবি উঠেছে। এই ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে সেই দাবির প্রতিফলন ঘটছে। রাজবাড়ি মোড় থেকে সার্কাস ময়দান পর্যন্ত যে দীর্ঘ মিছিল সংগঠিত হচ্ছে, তা শুধু রাজনৈতিক পদক্ষেপ নয়, এটি একটি গণআন্দোলনের রূপ নিচ্ছে। স্থানীয় আদিবাসী সমাজ, সামাজিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে বাংলা ভাষা ও বাঙালিয়ানার পক্ষে সরব হচ্ছেন।

বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় রাজ্যের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

তৃণমূল সরকারের দাবি অনুযায়ী, বাংলা ভাষার সম্মান ও বাঙালির পরিচয় রক্ষা রাজ্যের নৈতিক দায়িত্ব। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা স্পষ্ট—ভাষার অপমান হলে জবাব দেবে বাংলা। আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজন ও প্রশাসনিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই ভাষা আন্দোলন হয়ে উঠেছে অনেক বড় মাত্রার সামাজিক প্রতিবাদ।

বাংলা ভাষা আন্দোলন ঝাড়গ্রাম ২০২৫ – প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ও উত্তর

বাংলা ভাষা আন্দোলন ঝাড়গ্রাম ২০২৫ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বাংলা ভাষা আন্দোলন ঝাড়গ্রাম ২০২৫ শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি বাংলার ভাষা, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের মর্যাদা রক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই আন্দোলন ভাষাবিদ্বেষ এবং বাঙালিদের উপর হওয়া অপমানের বিরুদ্ধে একটি জোরদার প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরে কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

এই সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের মিছিল ছাড়াও থাকছে প্রশাসনিক বৈঠক, বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপন এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মসূচি। সব মিলিয়ে এটি একটি বহুমুখী কর্মসূচি হয়ে উঠছে।

ঝাড়গ্রামে এই ভাষা আন্দোলনের বার্তা কী?

ঝাড়গ্রামে বাংলা ভাষা আন্দোলনের মূল বার্তা হল—বাংলার সম্মানে আঘাত এলে বাংলা চুপ করে থাকবে না। বাংলা তার ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা রক্ষায় সব সময় রুখে দাঁড়াবে।

এই আন্দোলনের সঙ্গে আদিবাসী সমাজের কী ভূমিকা রয়েছে?

এই আন্দোলনে আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। তাঁদের উপস্থিতি ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যকে সম্মান করার একটি প্রয়াস। একইসঙ্গে বিশ্ব আদিবাসী দিবসকে কেন্দ্র করে এই কর্মসূচি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বাংলা ভাষা আন্দোলন ঝাড়গ্রাম ২০২৫-এর রাজনৈতিক গুরুত্ব কতটা?

বাংলা ভাষা আন্দোলন ঝাড়গ্রাম ২০২৫ রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ভাষাবিদ্বেষের অভিযোগ তুলে এক জবাব। এটি দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করছে যে বাংলা ভাষা ও বাঙালি পরিচয়ের প্রতি কোনও অবমাননা বরদাস্ত করা হবে না।

Table of Contents

Leave a Comment

BengalJobStudy.in Bengal job study News Govt scheem