
SSC New Recruitment 2025 : চাকরি বাতিল হয়েছে ২৬ হাজার আর সেই সাথে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে, সেই নির্দেশিকা মেনে পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে বদল করেছিল পরীক্ষা বিধিতে। একাধিক নতুন নিয়ম জারি করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন আর তাতেই ধাক্কা খেতে হচ্ছে হাইকোর্টে।
নতুন নিয়োগ বিধি মানতে নারাজ বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা
মামলা দায়ের করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধেই। তারা জানিয়েছেন নতুন নিয়োগ পদ্ধতিতে বদলানোর জরুরী সে কারণেই হাইকোর্টে মামলা। এসএসসি ২০১৬ সালের যেসব পরীক্ষা নেয়া হয়েছিল সেই একই বিজ্ঞপ্তি জারি করলে কোন সমস্যা হতো না কিন্তু নতুন করে পরীক্ষা পদ্ধতি জারি করায় চাকরিহারা প্রার্থীরাও খুব্ধ হয়েছেন তারাও চাইছেন পরীক্ষার পদ্ধতিকে বদল হোক।
বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের স্পষ্ট দাবি আদালতে তারা চায় ২০১৬ সালের নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হোক নতুন কোন পদ্ধতি চাই না তারা। এমনকি একের পর এক চাকরি হারা পা থেকে জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের দাবি ও মানছে না রাজ্য সরকার। আর সে কারণেই একাদশ-দাদশ নবম দশম নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল চেয়ে মামলার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টে মামলা দায়ের Ssc নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে
বহু চাকরি হারা পরীক্ষার্থীরা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন নাম্বার বিভাজন এবং শূন্য পদ বৃদ্ধি করতে হবে। যদিও নতুন শিক্ষাবিদ অনুযায়ী ১০ নম্বর এগিয়ে থাকবেন চাকরি হারারা তবে তাতেও মানতে নারাজ কারণ তাদেরকে আগে লিখিত পরীক্ষায় পাশ করতে হবে তারপরেই তারা সেই সুযোগ পাবে।
অনেকে বলেছেন পড়াশোনার সময় নেই তারা নতুন প্যাটার্ন পরীক্ষা দিতে চায় না এই পুরনো প্যাটার্ন এই থাকতে চায়। বহু বঞ্চিত চাকরি হারারা পরীক্ষায় বসতেই চায় না। তারা বলছে আমরা সংসার সামলাবো নাকি পরীক্ষায় জন্য প্রস্তুতি নেব নাকি ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করাবো।
🧾 WB SSC New Recruitment – Key Points
বিষয় | বিবরণ |
---|---|
বাতিল হওয়া চাকরি | প্রায় ২৬,০০০ টি SSC নিয়োগ বাতিল হয়েছে |
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ | নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে এবং নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে |
SSC-র পদক্ষেপ | নতুন নিয়মে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে |
প্রার্থীদের অভিযোগ | পুরনো ২০১6 সালের নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ হওয়া উচিত |
হাইকোর্টে মামলা | নতুন নিয়ম ও পরীক্ষা পদ্ধতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে |
চাকরি হারা প্রার্থীদের দাবি | পুরনো নিয়মে পরীক্ষা, নম্বর বিভাজন পরিষ্কার ও শূন্য পদ বাড়াতে হবে |
পরীক্ষায় না বসার কারণ | সংসার, কাজ, ক্লাস করানো—সব সামলে নতুন প্যাটার্নে প্রস্তুতি সম্ভব নয় |
SSC-র যুক্তি | নতুন শিক্ষানীতির সঙ্গে মানিয়ে নতুন নিয়ম দরকার |
প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQ) — WB SSC নতুন নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক
প্রশ্ন: WB SSC-র ২৬,০০০ চাকরি কেন বাতিল হলো?
উত্তর: ২০১৬ সালের নিয়োগে অনিয়ম থাকার কারণে সুপ্রিম কোর্ট এই চাকরিগুলি বাতিলের নির্দেশ দেয় এবং নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
প্রশ্ন: নতুন নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা কোথায়?
উত্তর: চাকরি হারা অনেক প্রার্থী বলছেন, নতুন নিয়ম ২০১৬ সালের নিয়মের থেকে আলাদা ও বিভ্রান্তিকর। তারা চান পুরনো নিয়মে পরীক্ষা ও নিয়োগ হোক।
প্রশ্ন: কারা হাইকোর্টে মামলা করেছে?
উত্তর: WB SSC-র বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছেন বহু বঞ্চিত চাকরি হারা প্রার্থী, যারা নতুন নিয়োগ পদ্ধতির বিরোধিতা করছেন।
প্রশ্ন: প্রার্থীদের মূল দাবি কী?
উত্তর: তাদের দাবি, পুরনো নিয়মেই নিয়োগ হোক, নম্বর বিভাজন পরিষ্কারভাবে জানানো হোক, এবং শূন্যপদ বৃদ্ধি করা হোক।
প্রশ্ন: নতুন নিয়োগ নিয়ম কি বাতিল হবে?
উত্তর: এই বিষয়টি বর্তমানে হাইকোর্টে বিচারাধীন। আদালতের রায় অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারিত হবে।
প্রশ্ন: WB SSC কি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানছে না?
উত্তর: চাকরি হারা অনেক প্রার্থীর দাবি, WB SSC সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পুরোপুরি মানছে না এবং নিজেদের মতো করে নতুন নিয়ম চালু করেছে।
প্রশ্ন: নতুন নিয়োগে কী ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে?
উত্তর: নতুন নিয়মে পরীক্ষার পদ্ধতি, নম্বর বিভাজন এবং মেধা তালিকা তৈরির পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে প্রার্থীরা বিভ্রান্ত ও ক্ষুব্ধ।
প্রশ্ন: চাকরি হারা প্রার্থীরা নতুন নিয়মে পরীক্ষা দিতে চাইছে না কেন?
উত্তর: তাদের মতে সংসার, চাকরি, কোচিং বা পড়ানো সামলে নতুন প্যাটার্নে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয়। অনেকেই পুরনো নিয়মে পরীক্ষায় বসতে চান।
প্রশ্ন: SSC 2016 বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরীক্ষা নিলে কী সুবিধা হতো?
উত্তর: প্রার্থীদের মতে, পুরনো বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পরীক্ষা হলে বিভ্রান্তি থাকতো না এবং আইনি জটিলতাও তৈরি হতো না।
প্রশ্ন: এই মামলার ফলাফল কবে জানা যাবে?
উত্তর: বর্তমানে মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন। কবে রায় হবে তা বলা যাচ্ছে না, তবে রায়ের উপর পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করবে।