
সুখের দিন দেখতে না দেখতেই যেন দুঃখের সময় ঘনিয়ে এলো ভাবতেই পারেনি মাত্র ২৫ দিনের মাথায় পুত্রকে হারাতে হবে মা রিঙ্কু মজুমদার। মায়ের বিয়েতে মদ ছিল ছেলের আগেই জানিয়েছিলাম দিলীপবাবুকে খুব পছন্দ করতেন তবে হঠাৎ করে এমন মৃত্যু অনেকে আত্মঘাতী ও ভেবেছিলাম দিলীপ ঘোষ ও জানিয়েছিলেন এরকম কিছুটা ইঙ্গিত তবে দিন পোস্টমাডাম এর রিপোর্ট আসতেই সবটা পরিষ্কার বোঝা গেল কিভাবে মৃত্যু থাকছে আজকের প্রতিবেদনে।
প্রয়াত দিলীপ ঘোষের পুত্র পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রীতম দাশগুপ্তের কি কারনে মৃত্যু হল
প্রয়াত দিলীপ ঘোষের পুত্র কিভাবে মৃত্যু হল দিলীপের স্ত্রী রিংকুর প্রথম পক্ষের পুত্র প্রীতম দাশগুপ্তের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে আসতেই চোখ কপালে। মঙ্গলবার উদ্ধা রয়েছে প্রীতম দাশগুপ্তের দেহ বয়স হয়েছিল মাত্র ২৫ বছর এমন তরতাজা যুবকের হঠাৎ মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছেন মা রিঙ্কু মজুমদার। আক্ষেপ ও প্রকাশ করেছেন। ময়নাতদন্ত করা হলো আরজিকর মেডিকেল কলেজে সেই ময়নাতদন্তে রিপোর্ট নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
- দিলীপ ঘোষের পুত্র প্রীতম দাশগুপ্তের য়নাতদন্ত রিপোর্টে আত্মহত্যার উল্লেখ নেই।
- হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে পরে পাঁচটা নাগাদ ময়নাতদন্ত হয়েছিল প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের উপরে চিকিৎসা করা মনতন্ত্রের মৃত্যুর সম্ভাবনার কারণ সাধারণত এ কিউটি হামারেজিক প্যানক্রিয়াটিস বলে জানিয়েছেন। অর্থাৎ যার মূল অর্থ হলো অগ্নাশয় প্রদাহ ও রক্তক্ষরণ যার কারণে মৃত্যু হয়েছে দিলীপপুত্রের। তাছাড়া হাঁ হৃদ যন্ত্রের আকার অস্বাভাবিক ছিল এও জানা যাচ্ছে রিপোর্টে।
- তাই আত্মহত্যার কোনো কারণ নেই শারীরিক অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে দিলীপ ঘোষের পুত্রের।
দিলীপ ঘোষ এর স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার জানিয়েছেন বিয়ের পর খানিকটা মনমরা হয়ে পড়েছিল তার পুত্র প্রীতম দাশগুপ্ত। খাওয়া-দাওয়া ঠিক করে করতেন না স্নায়ুর অসুখ ছিল ওষুধ পত্র ঠিকঠাক খেতেন না। আর হঠাৎ করে এমন মৃত্যুর সংবাদ যেন গোটা বাংলাকে নাড়িয়ে দিল। অচৈতন্য অবস্থায় নিজের বিছানায় পাওয়া গিয়েছিল তাকে অনেকে মনে করেছিলেন দিলীপ ঘোষের পুত্র হয়তো আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু ময়নাতদন্ত রিপোর্টে স্পষ্টভাষা কোনভাবেই সেরকম আত্মহত্যার উল্লেখ নেই।। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে।
দিলীপের সঙ্গে বিজেপি নেত্রী রিংকুর বিয়ে ১৮ই এপ্রিল হয়েছিল মাত্র ২৫ দিন পার হতে না হতেই ছেলের আকস্মিক মৃত্যুতে ভেঙ্গে পড়েছেন মা-বাবা দিলীপ ঘোষ বলেন। পুত্র সুখ তার হলো না পুত্র শোক হলো। এই খবর শোনা মাত্রই দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিংকু মজুমদারের প্রথম পক্ষের স্বামী ও ছুটে আছেন জানা যায় তার পরিচয়। প্রয়াত দিলীপ ঘোষের পুত্র তা শুনেই ছুটে এলেন তার প্রথম পক্ষের আমি ভাবতে পারেননি ছেলেকে এভাবে হারাতে হবে।
বর্তমানে জানা যাচ্ছে অত্যন্ত কষ্টের সাথে মানুষ করেছিলেন মা রিঙ্কু মজুমদার তার প্রথম পক্ষের সন্তান প্রীতম দাশগুপ্ত ওরফে সঞ্জয় কে। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল বছর 26 এর প্রীতম দাশগুপ্ত। ডাকনাম প্রীতম ভালো নাম সঞ্জয় দাসগুপ্ত অফিশিয়াল ভাবে ওই নাম ব্যবহার হতো। এক মাস আগেই তার মায়ের বিবাহ দূর থেকেই দেখেছিলেন তিনি দিলীপ ঘোষ বানিয়েছিলেন তার সাথে ভালোই সম্পর্ক। দিলীপ রিংকুর বিয়ের সময়েই তার ছেলের নাম সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছিল তখনই সবাই চিনে ফেলেছিল রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে প্রীতম দাশগুপ্ত ওরফে সঞ্জয় কে। তো এবার গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তার পুত্রের মৃত্যুতে যেন হাহাকার পড়ে গেল।
জানা গিয়েছে প্রীতমের দেহ উদ্ধারের পর প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর হাসপাতালে পরে আরজিকর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। বিধান নগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেয় ডাক্তাররা। দিলীপবাবু জানিয়েছেন খুব মেধাবী মায়ের সর্বগুণ সম্পূর্ণ ছেলে ছিল পুত্র সুখ হলো না তার। মঙ্গলবার সকালেই নিউটাউনের আবাসন থেকে সংগ্রাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দিলীপপুত্র সঞ্জয় কে।
ছেলের মৃত্যুর পর কি বলেছেন রিংকু মজুমদার তা দেখে নেব তিনি বলছেন আমার বিয়ের পর আপসেট থাকতো আমার ছেলে মন খারাপ ছিল ওর। ঠিকঠাক ওষুধও খাচ্ছিল না। তিনি আরো বলেন আমরা ডিসাইড করেই নিয়েছিলাম দিলীপের সঙ্গে কথা বলব। উনি ব্যস্ত ছিলেন আমি ভেবেছিলাম ছেলেকে আমার কাছে নিয়ে আসব না হলে আমি ছেলের কাছে গিয়ে থাকব কথাবার্তা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।উনি বলেছিলেন ওকে একটু অভ্যস্ত হতে দাও ও যদি বাইরে চাকরি করতো তখন তো বাইরে থাকতে হতো তবে আমি বুঝতে পেরেছিলাম ছেলে ঠিক যত্ন হচ্ছে না মনটাও ঠিকঠাক ছিল না আমি মা তো তাই বুঝতে পারছিলাম এমনই জানিয়েছেন দিলীপের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার।
এরপরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি এসে দিলীপবাবু জানান কি করে এমন কান্ড ঘটলো যে তার মুখে শোনা যায় যা তথ্য তাই আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো এবার। দিলীপবাবু বলেন আমি কিভাবে কি হলো বুঝতে পারছি না। রিঙ্কু মজুমদার সকালে রান্না করছিলেন তারপর হঠাৎ করে ফোন আসে ছুটে জানু রিঙ্কু। তারপরই দিলীপবাবু বলেন দেখা যাক পোস্টমাডাম হবে জানা যাবে কি করে একটা জলজন্ত্র ছেলে আমাদের ছেড়ে এভাবে দূরে চলে যায় ও মায়ের সবকিছু ছিল জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ পড়াশোনায় ভালো দেখতে শুনতে ভালো কথা বলে ভালো আমার সাথে ভালই সম্পর্ক। তারপরে দিলি বউ বলেন কখনো ভাবতে পারিনি এমন কিছু হতে পারে দুর্ভাগ্য আমার পুত্র সুখ হয়নি পুত্র শোক হল কল্পনা করতে পারিনি এমন দিন আসবে।
দিলীপবাবু বারে বারে বলে এসেছেন রিংকু মজুমদারের প্রথম পক্ষের পুত্রের কথা আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন তিনি একই কথা। তার সাথে খেলা দেখতে গিয়েছেন ভালো সম্পর্ক পুত্রহারা রিঙ্কু জানান দুটো বন্ধুর সাথে থাকতো তার ছেলে। সোমবার ওর অফিসের দুজন কলিকো এসেছিল একজন রাত দশটায় এসেছিল একজন রাত তিনটা এসেছিল রাত বারোটা নাগাদ আমার সঙ্গে কথা হয়েছে।
আর এই সমস্ত কথা শোনার পর অনেকের মনে সন্দেহের দানা বেঁধে ছিল। এর আগে এক দেড় বছর আগে সংগ্রাহীন হয়ে পড়েছিলেন স্নায়ুর অসুখের কারণেই সঞ্জয় তখন থেকে ওষুধ খেতে হতো। তবে বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল খামখেয়ালিপনা চলছিল তার মধ্যে আমি মা তাই বুঝতে পেরেছিলাম তিনি ঠিকমত ওষুধ খাচ্ছিলেন না। তাই ছেলের জন্য মন খারাপ করে নিউ আসবেন ভেবেছিলেন তবে তা আর হলো না চলে গেলেন সবাইকে ছেড়ে।
মায়ের কথায় স্পষ্ট মুখে কিছু বলত না তবে হয়তো মায়ের সাথে থাকবে এটাই স্বপ্ন ছিল তার। এমনকি আমি বলেও ছিলাম ঠিক সময়ে আমি তোকে নিয়ে আসব খুব শীঘ্রই তবে সেদিন আর এল না তুই আসবি তারপর ভর করব একসঙ্গে থাকব এমনই বার্তা দিয়েছিলেন তবে তার আগেই চলে গিয়ে ভেঙে গেল সব স্বপ্ন। আপসেট হয়ে যান রিঙ্কু মজুমদার তিনি বলেন যে ছেলে একদিন বাড়ির বাইরে থাকত না সে বন্ধুদের ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেছে। তিনি নিউটনের আবাসনে গিয়ে দেখেন ছেলের দুজন কোয়ালিক্স সেখানে রয়েছে তাদেরকে চিনতেন রিঙ্কু মজুমদার।
তবে ময়নাতদন্তে রিপোর্ট তার শারীরিক অসুস্থতার খবর জানা যাওয়ার পর যেন আরবি ভেঙে পড়লেন হয়তো মা থাকলে তাকে সময় সময় ওষুধ খাইয়ে দিত এমন দিন হয়তো দেখতে হতো না। বড় আক্ষেপ প্রকাশ করেন দিলীপবাবু এবং রিঙ্কু মজুমদার। ছেলেকে হারিয়ে যেন বুকফাটা কান্না। নিমতলা শ্মশানে শেষকৃত্যী সম্পন্ন হল দিলীপ ঘোষের এবং স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের পুত্রের। পুত্র শোকে বিধ্বস্ত দুজনেই মন খারাপ।