
চোখ ভালো রাখার উপায় : আমাদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গগুলো ভালো রাখার মত চোখ ভালো রাখার উপায় আমাদের জানা উচিত তাই নিজের অভ্যাসে গড়ে তুলুন দৃষ্টির সুরক্ষা। আমাদের শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি হলো চোখ। প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় আমরা যতটুকু দেখি, বুঝি ও অনুভব করি, তার অধিকাংশই চোখের মাধ্যমে। কিন্তু এই চোখকেই আমরা প্রায়ই অবহেলা করি।
ছোটবেলা থেকেই মা-বাবা বা স্কুলের শিক্ষক বলতেন, “বেশি টিভি দেখো না, চোখ নষ্ট হবে।” তখন এসব কথা অনেকেই পাত্তা দিত না। কিন্তু এখনকার দিনে মোবাইল, ল্যাপটপ, ঘন্টার পর ঘন্টা স্ক্রিনে চোখ রেখে কাজ করার ফলে চোখে চাপ পড়া, জ্বালা, পানি পড়া বা ঝাপসা দেখার মতো সমস্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
চোখ ভালো রাখার ঘরোয়া উপায় ও চোখের যত্নের সহজ নিয়ম
আমরা একের পর এক ধাপে ধাপে আলোচনা করব কিভাবে চোখকে ঘরোয়া উপায়ে এবং বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলে আমাদের চোখে ভালো রাখবো এবং চোখের যত্ন করার পদ্ধতি গুলি দেখে নেব। এই লেখাটিতে আমরা আলোচনা করব কীভাবে সহজ কিছু অভ্যাসে চোখকে ভালো রাখা যায়। এখানে নেই কোনও চিকিৎসাবিদের জটিল পরামর্শ, বরং বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা ও সহজ কিছু পদ্ধতির কথা। চলুন তাহলে চোখের প্রতি একটু মনোযোগী হই, কারণ এই দৃষ্টিই আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ।চলুন দেখে নেওয়া যাক চোখকে ভালো রাখবেন কিভাবে চোখ ভালো রাখার উপায়
চোখ ভালো রাখার উপায় প্রথমত পর্যাপ্ত ঘুম ও চোখের বিশ্রাম
আমরা অনেকেই রাতে দেরি করে ঘুমাই। ফোন স্ক্রল করতে করতে কখন যে ১২টা, ১টা বেজে যায় টেরই পাই না। অথচ চোখের জন্য ঘুম অত্যন্ত জরুরি। ঘুমের সময় চোখের পেশিগুলো বিশ্রাম পায়, যার ফলে দিনের ক্লান্তি দূর হয়। দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে চোখে লালভাব, শুষ্কতা, জ্বালা ও ঝাপসা দেখার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চোখ ভালো রাখার উপায় ২০-২০-২০ নিয়ম অনুসরণ করে
যারা দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের সামনে কাজ করেন, তাদের চোখে চাপ পড়ে সবচেয়ে বেশি। এজন্য চোখের ডাক্তাররা একটা সহজ নিয়ম বলেন — ২০ মিনিট স্ক্রিনে কাজ করার পর ২০ সেকেন্ডের জন্য অন্তত ২০ ফুট দূরের কোনো বস্তু দেখুন। এতে চোখের পেশিগুলো আরাম পায়। এই ছোট্ট অভ্যাস চোখের ক্লান্তি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। আরেতে খুব সুন্দর ভাবে কম্পিউটার অনেকক্ষণ ব্যবহার করেও চোখকে ভালো রাখতে পারবেন।
খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার ও রোগ প্রতিরোধ
চোখের সুস্থতার জন্য কিছু ভিটামিন ও খনিজ খুবই দরকারি যা চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করে
- ভিটামিন A: গাজর, মিষ্টি আলু, দুধ
- ভিটামিন C: লেবু, কমলা, আমলকি
- ভিটামিন E: বাদাম, সূর্যমুখী বীজ
- ওমেগা-৩: সামুদ্রিক মাছ, আখরোট
- জিঙ্ক ও লুটিন: ডিমের কুসুম, পালং শাক
এইসব খাবার চোখের কোষ সুরক্ষিত রাখে, দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং চোখের নানান রোগ প্রতিরোধ করে।
উপাদান / খাবার | চোখের উপকারিতা |
---|---|
গাজর, মিষ্টি আলু, দুধ | ভিটামিন A সমৃদ্ধ, দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে |
আমলকি, লেবু, কমলা | ভিটামিন C-তে ভরপুর, চোখের কোষ রক্ষা করে |
পালং শাক, ডিম, কুমড়ো | লুটিন ও জিঙ্কে সমৃদ্ধ, চোখের মাকুলা সুরক্ষা দেয় |
সামুদ্রিক মাছ, আখরোট | ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, চোখের শুষ্কতা রোধ করে |
বাদাম, সূর্যমুখী বীজ | ভিটামিন E সরবরাহ করে, চোখের কোষের ক্ষয় রোধ করে |
পর্যাপ্ত জল পান চোখ ভালো রাখার উপায় গুলির মধ্যে অন্যতম
চোখে আর্দ্রতা ধরে রাখতে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। অনেক সময় চোখ শুকনো হয়ে যায়, বিশেষ করে যখন ঘরে বা অফিসে এসি চলে, তখন চোখে জ্বালা অনুভব হয়। দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস জল পান করলে শরীরের পাশাপাশি চোখও সতেজ থাকে।
চোখের যত্ন নিতে চোখে ঠান্ডা সেঁক
অনেকক্ষণ কাজের পর চোখে ঠান্ডা জল বা শসার টুকরো রাখলে চোখের ফোলাভাব কমে ও আরাম মেলে। গোলাপ জল ভেজানো তুলোও ব্যবহার করা যায়। এগুলো চোখকে শান্ত করে, বিশেষ করে যাদের চোখে চুলকানি বা জ্বালাভাব আছে। এবং যার ফলে দীর্ঘদিন চোখের কোন সমস্যা বা চোখের উপর কোন পেশার পড়ে না এবং দীর্ঘদিন চোখ ভালো থাকে।
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে রোদে বের হলে সানগ্লাস ব্যবহার করা
চোখের স্বাস্থ্য দিকে নজর রেখে অথবা চোখ ভালো রাখার জন্য সানগ্লাস ব্যবহার বিশেষ করে রোধের সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক UV রশ্মি চোখের জন্য ক্ষতিকর। বাইরে গেলে ভালো মানের সানগ্লাস ব্যবহার করা দরকার, বিশেষ করে দুপুরের সময়। এতে চোখে সরাসরি আলো পড়ে না, এবং ভবিষ্যতে ছানি পড়া বা কর্নিয়ার ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
চোখকে ভালো ও স্বাস্থ্যকর রাখতে চোখে হাত না দেওয়া
প্রতিনিয়ত আমরা কোন কিছু না ভেবেই প্রাকৃতিক যে কোন জিনিসের উপর হাত দিয়ে ফেলি তারপর খেয়াল না করে সেই হাত চোখে মুখে লাগিয়ে দি। আমরা অনেক সময় না জেনেই চোখে হাত দিই, বিশেষ করে বাইরে থেকে এসে মুখ না ধুয়েই চোখ ঘষি। এতে চোখে জীবাণু ঢুকে সংক্রমণ ঘটতে পারে। কারণ প্রকৃতির বুকে ছড়িয়ে থাকা অনেক জীবাণু যা চোখের জন্য খুবই ক্ষতিকর তাই প্রয়োজন ছাড়া চোখে হাত না দেওয়াই ভালো এতে চোখের স্বাস্থ্য আরো উন্নতি হয়।
যাদের প্রতিনিয়ত কম্পিউটার বা মোবাইলে কাজ করতে হয় স্ক্রিনে ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যবহার করা উচিত
মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ও মোবাইলের দিকে ঝুঁকে পড়ছে সময় যতই এগোচ্ছে। বর্তমান সময়ে মোবাইলের নোটিফিকেশন না দেখে থাকতে পারাটাই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোবাইল বা ল্যাপটপে দীর্ঘ সময় কাজ করলে চোখে ব্লু লাইটের ক্ষতি হয়। বর্তমানে প্রায় সব ফোনেই ব্লু লাইট ফিল্টার বা “নাইট মোড” থাকে, সেটি চালু রাখা উচিত। যারা দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করেন, তারা এন্টি-গ্লেয়ার চশমা ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
চোখ ভালো রাখার উপায় নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা
আমরা সাধারণত বরাবরই চোখে চশমা পড়তে অপছন্দ করি সানগ্লাস হলে সে অন্য কথা।তাই ডাক্তার যতক্ষণ না চশমার কথা বলছে ততক্ষণ আমরা ভাবি আমাদের চোখে চশমা লাগবেনা। কিন্তু চোখের সমস্যা না হলেও মাঝে মাঝে চোখ দেখিয়ে নেওয়া ভালো। চোখে কোনও সমস্যা না থাকলেও বছরে অন্তত একবার চোখ পরীক্ষা করানো উচিত। অনেক সময় আমরা বুঝতেই পারি না ছোট সমস্যা কোন বড় রোগের পূর্বাভাস।
গোড়া থেকে চোখ ভালো রাখার উপায় শিশুর চোখের যত্ন
বর্তমান অস্বাস্থ্য খাবার এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে চোখের যে সমস্ত খাবার প্রয়োজন সেগুলোর অভাবে ছোট থেকেই চোখের বিভিন্ন ত্রুটি লেগে থাকে। কিন্তু ছোটরা চোখের সমস্যা প্রকাশ করতে পারে না। তাই ওদের যদি বারবার চোখ ঘষতে দেখা যায়, চোখ লাল হয়ে যায় বা চোখে পানি পড়ে, তবে দেরি না করে ডাক্তার দেখানো উচিত।
দীর্ঘদিন চোখ ভালো রাখতে প্রবীণদের চোখে বাড়তি নজর
সময়ের ভার যত বাড়তে থাকে চোখের দৃষ্টিশক্তি ও কমাতে থাকে এবং একের পর এক রোগ এসে বাসা বাধে চোখে। বয়স্কদের চোখে ছানি, গ্লুকোমা, ড্রাই আই-এর সমস্যা বেশি দেখা যায়। এদের ক্ষেত্রে বছরে ২ বার চোখ পরীক্ষা করানো এবং তাদের খাওয়াদাওয়া ও ওষুধ ঠিকঠাক রাখা জরুরি।
চোখ ভালো রাখার উপায় মানসিক চাপ কমানো
সমস্ত রোগের সাথে মানসিক প্রেসার বা মানসিক চাপ অরঙ্গাঙিভাবে জড়িত শুধু চোখ নয়, প্রত্যেকটা শরীরের অঙ্গের সাথে। মন ও শরীরের সম্পর্ক যেমন, চোখের সঙ্গেও তেমনি। মানসিক চাপ থাকলে ঘুম কম হয়, খাওয়াদাওয়া ঠিক থাকে না—ফলে চোখ দুর্বল হয়। তাই দিনে অন্তত কিছুটা সময় মনকে আরাম দেওয়া, গান শোনা, বই পড়া বা প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো উচিত। বর্তমান দিনের মানুষ খেলাধুলা ছেড়ে মোবাইলে চোখ বুজে রাখে তাই প্রকৃতির সাথে যত দূরে চলে যাবে ততই চোখের সাথে শত্রুতা বাড়বে। অর্থাৎ চোখ তত ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাই যতটা সম্ভব সবুজের কাছাকাছি থাকা উচিত।
চোখ ভালো রাখার ঘরোয়া টিপস
এমন কিছু ঘরোয়া টোটকা বা টিপস আছে যেগুলো মেনে চললে খুব সহজেই চোখকে সুস্থ সবল রাখা যায়। চোখের যত্নে বেশি প্রয়োজন হয় না কিন্তু সামান্য চোখের যত্ন করলেই চোখ অনেক ভালো থাকে। চোখের যত্নে কিছু ঘরোয়া টোটকা কাজে আসে:
- ঠান্ডা দুধে তুলো ভিজিয়ে চোখে রাখুন
- শসা বা আলুর পাতলা স্লাইস চোখের ওপর দিন
- আমলকি ভেজানো জল দিয়ে চোখ ধুয়ে নিন
- তাজা নারকেল তেল দিয়ে কপালে ম্যাসাজ করলে চোখের আশপাশের রক্ত চলাচল বাড়ে
চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে চোখের ব্যায়াম
শরীরের ব্যায়াম যেমন শরীরকে শক্তিশালী করে তোলে ঠিক তেমনি চোখের ব্যায়ামও চোখকে আরো সতেজ ও স্বাস্থ্য উন্নতি করে চোখের। চোখকে ভালো রাখতে তাই দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে চোখের ব্যায়াম করা অনিবার্য। খুব ভালো রাখার কিছু ব্যায়াম নিচে দেওয়া হল
- চোখ ডান-বাম দিকে ঘোরানো
- চোখ উপরে-নিচে দেখা
- চোখ বন্ধ করে আলতো করে চাপ দেওয়া
- ২০-২০-২০ নিয়ম অনুসরণ এই ব্যায়ামগুলো চোখের পেশি সচল রাখে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।
চোখ ভালো রাখার উপায় রাত জেগে কাজ না করা
চোখ ভালো রাখার উপায় গুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনের বেলা যেমন প্রকৃতির সাথে কাটানো তেমনি রাত্রেবেলা ও চোখকে আরাম দেওয়া। রাত জেগে মোবাইল দেখা, কাজ করা বা গেম খেলার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। কিন্তু এতে চোখ ক্লান্ত হয়, শুষ্ক হয় এবং কিছুদিন পরেই সমস্যা শুরু হয়। রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া উচিত।
চোক্ষে ভালো রাখতে হলে চোখের যত্ন যত্ন কিভাবে নিতে হয় সেগুলো জানা জরুরি,চোখের স্বাস্থ্য সঠিক রাখতে চোখ ভালো রাখার খাবার খাওয়া প্রয়োজন চোখের সমস্যা ও সমাধান খুঁজে পেতে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। চোখ পরিষ্কার রাখার উপায় অথবা চোখ ঠান্ডা রাখার টিপস বলে মেনে চলা ভালো তার সাথে প্রতিনিয়ত চোখের ব্যায়াম চোখ ভালো রাখার উপায় গুলির মধ্যে অন্যতম কিছু কিছু প্রশ্ন নিয়ে আসছি যেগুলোতে চোখের সমস্যা,চোখে ব্যথা হলে কী করবেন,চোখের যত্নের ঘরোয়া উপায় এই সমস্ত গুলো আলোচনা করে দেবো।
এছাড়াও পড়ুন:- সর্বশেষ খবর, সরকারি প্রকল্প, চাকরির খবর
চোখের ভালো রাখার উপায় ও সমস্যাগুলি নিয়ে ১০টি প্রশ্নোত্তর
১. প্রশ্ন: অনেকক্ষণ মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করলে চোখে ব্যথা কেন হয়?
উত্তর: দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে চোখের পেশিতে চাপ পড়ে। চোখের পলক কম ফেলে চোখ শুকিয়ে যায়, ফলে ব্যথা বা জ্বালাভাব হতে পারে।
২. প্রশ্ন: চোখ ভালো রাখতে প্রতিদিন কী কী অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার?
উত্তর: প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, জল বেশি করে পান করা, স্ক্রিন ব্যবহারের সময়ে বিরতি নেওয়া, এবং বাইরে গেলে সানগ্লাস পরা—এই অভ্যাসগুলো চোখ ভালো রাখে।
৩. প্রশ্ন: চোখের ক্লান্তি দূর করার জন্য ঘরোয়া কোনো উপায় আছে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, ঠান্ডা দুধ বা গোলাপজলে ভেজানো তুলো চোখে রাখলে আরাম পাওয়া যায়। শসা বা আলুর পাতলা স্লাইসও চোখের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
৪. প্রশ্ন: রাতে ঘুম কম হলে চোখে কী ধরনের সমস্যা হয়?
উত্তর: চোখ লাল হয়ে যায়, জ্বালাভাব হয়, কখনও চোখ ফুলে যায় বা দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে। ঘুম কম হলে চোখ পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না।
৫. প্রশ্ন: বাচ্চাদের চোখের যত্ন কীভাবে নেওয়া উচিত?
উত্তর: বাচ্চারা চোখ ঘষছে কিনা, চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে কিনা এসব খেয়াল রাখা উচিত। টিভি বা মোবাইল ব্যবহারে সীমা রাখা দরকার, এবং নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো ভালো।
৬. প্রশ্ন: চোখে প্রায়ই পানি পড়ে—এটা কি কোনো অসুস্থতার লক্ষণ?
উত্তর: চোখে বারবার পানি পড়া শুষ্ক চোখ বা অ্যালার্জির লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময় চোখে ধুলো বা জীবাণু ঢুকলেও এমনটা হয়। সমস্যা বেশি হলে ডাক্তার দেখানো উচিত।
৭. প্রশ্ন: চোখ ভালো রাখতে কোন ধরনের খাবার বেশি উপকারী?
উত্তর: গাজর, পালং শাক, ডিম, সামুদ্রিক মাছ, আমলকি, কমলা লেবু—এগুলো চোখের পুষ্টির জন্য খুবই ভালো। ভিটামিন A, C, E, ওমেগা-৩ থাকলে চোখ মজবুত থাকে।
৮. প্রশ্ন: কি কারণে ছানি পড়ে, এবং কীভাবে সেটা ঠেকানো যায়?
উত্তর: বেশি বয়সে, ডায়াবেটিস থাকলে বা অতিরিক্ত রোদে চোখ পড়লে ছানি পড়তে পারে। ভালো সানগ্লাস ব্যবহার করা, মিষ্টি খাওয়া কমানো ও চোখ পরীক্ষা করানো দরকার।
৯. প্রশ্ন: চোখে কাজের চাপ কমানোর জন্য সহজ কোনও নিয়ম আছে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, “২০-২০-২০ নিয়ম”—প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরে তাকানো। এটা চোখের পেশিকে আরাম দেয়।
১০. প্রশ্ন: চোখ নিয়ে ছোট সমস্যা কখন ডাক্তার দেখানো উচিত?
উত্তর: যদি চোখে কয়েকদিন ধরে লালভাব, ব্যথা, ঝাপসা দেখা বা অতিরিক্ত পানি পড়া চলতে থাকে, তাহলে আর দেরি না করে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ চোখ ভালো রাখার উপায়।
উপসংহার: চোখের যত্নের জন্য বড় কোনও চিকিৎসা বা খরচের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন শুধু সচেতনতা ও নিয়মিত যত্ন। উপরের পয়েন্ট হলো ভালোভাবে ফলো করলে বা মেনে চললে আমরা যদিচোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ানো সম্ভব। প্রতিদিন মাত্র ১৫ মিনিট চোখের যত্নে দিই, তাহলে সারাজীবন পরিষ্কার ও সতেজ দৃষ্টিতে পৃথিবীকে দেখা সম্ভব। নিজের চোখের দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। এখনই শুরু করুন এই অভ্যাসগুলো—আপনার চোখ আপনাকে ধন্যবাদ দেবে।
এছাড়াও দেখুন আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য Apple iPhone 17 Launch Date & Price in India, USA, Dubai