
দর্শনীয় স্থান খড়গপুর ঘোরার জায়গা আলোচনা করার আগে খড়গপুর ভ্রমণের জায়গা গুলি জানা জরুরী খড়গপুর দর্শনীয় স্থান বলতে খড়গপুর রেলওয়ে স্টেশন আগে উঠে আসে । এবার দেখে নেব খড়গপুর ভ্রমণের বিস্তারিত বিবরণ।
খড়গপুর ঘোরার জায়গা ( Tourist Spot Kharagpur ) :-
- খড়গপুর (Kharagpur) প্রাচীনতম ঐতিহ্য ভারতের বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশন (Kharagpur junction) খড়গপুর ঘোরার জন্য খুব সুন্দর জায়গা রয়েছে ।
- খড়্গপুরে রয়েছে ভারতের প্রাচীনতম ইনস্টিটিউট “আইআইটি খড়গপুর” ( Tourist places near kharagpur )
- খড়গপুরে বায়ু সেনাবাহিনীর ঘাঁটি রয়েছে কলাইকুন্ডা । ( best place in kharagpur )
খড়গপুর ঘোরার জায়গা খড়্গপুরে দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ প্রেমীদের জন্য ( Best Kharagpur Places to Visit ):-
- আই আই টি খড়গপুর ক্যাম্পাস
- প্রত্যুষা পার্ক খড়গপুর।
- হিজলি ইকোপার্ক খড়গপুর।
- সুবর্ণরেখা নদী খড়গপুর ।
- খরগেশ্বর মন্দির খড়গপুর ।
- কুড়ুমবেড়া দুর্গ / ( Kurumbera Fort )
- ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ী।
- বেলপাহাড়ি, ঝাড়গ্রাম।
- ঝিল্লির পাখিরালয়, ঝাড়গ্রাম।
- ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্ক ( ডিয়ার পার্ক )
- চিল্কিগড় রাজবাড়ি, ঝাড়গ্রাম ।
- কনকদূর্গা মন্দির, ঝাড়গ্রাম ।
- রামেশ্বর শিব মন্দির, ঝাড়গ্রাম ।
- তপবন, ঝাড়গ্রাম ।
- চিত্রেশ্বর মন্দির, ঝাড়গ্রাম ।
- চোরচিতা চোরেশ্বর শিব মন্দির, ঝাড়গ্রাম ।
- খিরাই ফ্লাওয়ার ভেলি (ফুলের বাগান)
- পঞ্চবটি মাহাতো সরবর, ঝাড়্গ্রাম।
- কৃষ গার্ডেন, ঝাড়গ্রাম ।
- বনভূমি হোমস্টে, ঝাড়গ্রাম ।
- ক্ষুদিরাম ইকোপার্ক, মেদিনীপুর ।
- গুড়গুড়ি পাল ইকোপার্ক ।
- গোপগড় ইকোপার্ক, মেদিনীপুর।
খড়গপুর ঘোরার জায়গা অনেক রয়েছে।প্রত্যেকটা জায়গার বিবরণ জানাবো। তার আগে খড়গপুর কেন এত বিখ্যাত তা জানা জরুরী।খড়গপুর বিশ্বের তৃতীয় দীর্ঘতম আর রেলপথ প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।এবং ভারতবর্ষের সবথেকে বড় রেল কর্মশালা রয়েছে। খড়্গপুরে রয়েছে কলাইকুন্ডা দেশের প্রথম ভূতল মাটির নিচে গড়ে ওঠা সেনাবাহিনীর ঘাঁটি। তার সাথে রয়েছে সালুয়াতে আরো একটি বায়ু সেনাবাহিনীর ঘাঁটি। আমরা জানবো খড়গপুর কিসের জন্য বিখ্যাত।
খড়গপুর নামটি এসেছে খরগোপুরে অবস্থিত খড়গেশ্বর একটি পুরনো শিব মন্দির থেকে।এবার আমরা প্রত্যেকটি স্থানের বিবরণ জেনে নেব খরগোপুরে যে সমস্ত ঘোরার জায়গা গুলো আপনাদেরকে জানালাম।
1. আই আই টি খড়গপুর ক্যাম্পাস ( IIT Kharagpur Campus) :-
খড়গপুর আইআইটি পুরনো ইতিহাস বইয়ে নিয়ে আসছে অনেক দিন ধরে। ১৯৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীন লাভ করি ঠিক তারপরে ইঞ্জিনিয়ারদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্যই খড়গপুর আই আই টি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। খড়গপুর ঘোরার এটি একটি উল্লেখযোগ্য স্থান। বছরের পর বছর ধরে তার ব্যবস্থাপনা আইন স্থাপত্য এবং প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাগত দক্ষতা দিনের পর দিন বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে আইআইটি খড়গপুর কে।
2. প্রত্যুষা পার্ক খড়গপুর ( Pratyusha Park ):-
খড়গপুর ঘুরতে বেরোলে প্রত্যুষা পার্ক আপনাকে ঘুরতেই হবে। পর্যটন শিল্পের মধ্যে অন্যতম প্রত্যুষা পার্ক দিনের পর দিন হয়ে উঠেছে আরো বৈচিত্র্যপূর্ণ।
খড়গপুর থেকে কেশিয়াড়ি যাওয়ার রাস্তায় এই প্রত্যুষা পার্ক আপনারা দেখতে পারবেন। তার মনোরম সাজসজ্জা এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য মোহিত পূর্বে প্রত্যেক দর্শনার্থীদের।গুগল ম্যাপের লিংক:- প্রত্যুষা পার্ক
3. হিজলি ইকোপার্ক খড়্গপুর (Hijli Ecopark Kharagpur) :-
খড়গপুর শহরের কাছেই একদম হিজলি শহর গড়ে উঠেছে আর সেখানেই অবস্থিত হিজলি ইকোপার্ক যা খড়গপুর স্টেশন থেকেও অনেকটাই কাছে । দিনের পর দিন এই ইকো পার্কের সৌন্দর্য আরো বেড়েই চলেছে। হিজলি ইকোপার্ক খড়গপুর ঘোরার জায়গার মধ্যে এক অন্যতম দর্শনীয় স্থান হবে খড়্গপুরের। সময় করে একবার ঘুরে আসুন হিজলী ইকোপার্ক তাতে আপনার পর্যটন সাফল্য হবে।
4. সুবর্ণরেখা নদী খড়গপুর ( Subarnarekha River ) :-
সুবর্ণরেখা নদী যার নামের মধ্যেই অর্থ লুকিয়ে আছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এই নদী। কথিত আছে এই নদীতে যুগ যুগ ধরে সোনা পাওয়া যাচ্ছে। তাই এর নাম সুবর্ণরেখা। খরগোপুর এলে অবশ্যই সুবর্ণরেখা নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভ্রমণ উপভোগ করুন। এই নদী যেমন প্রাকৃতিকভাবে পরিপূর্ণ তেমনই পর্যটন এর দিক দিয়ে ভ্রমণপিপাসু মানুষদের বারে বারে ডেকে আনে এই নদীর কাছে।
5. খরগেশ্বর মন্দির খড়গপুর (Kharageshwar Temple):-
প্রায় ৪০০ বছর আগে রাজা খরগেশ্বর সিং এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মহাভারতে উল্লেখ আছে এই স্থানটি দৈত্য রাজা হিরম্ব কর্তৃক শাসিত ছিল। খড়গপুর ঘোরার জায়গা এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য খরগেশ্বর মন্দির কারণ এই মন্দির থেকেই খড়গপুর শহরের নামকরণ হয়েছে। ভগবান শিবের এই মন্দির প্রাচীন এক মন্দির খরগেশ্বর মন্দির থেকেই এই শহরের নামকরণ তাই খুবই জনপ্রিয় এই মন্দির ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম দর্শনীয় স্থান বা ঘোরার জায়গা এই খরগেশ্বর মন্দির।
6. কুড়ুমবেড়া দুর্গ / ( Kurumbera Fort ):-
খড়গপুর শহর থেকে খানিকটা দূরে কেশিয়াড়ির দক্ষিণ পূর্বে গগনেশ্বর গ্রামে অবস্থিত এই অপরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত কুরুম্বেরা দুর্গ । এটি একটি মধ্যযুগীয় দুর্গ। বহু পুরনো স্মৃতি এবং প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে এই দুর্গ নিয়ে। খড়গপুর শহর থেকে ভ্রমণ পিপাসু মানুষরা ঘোরার জায়গা হিসেবে কুরুমবেরা ফোর্ট বা দুর্গ এক উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থান বলে ধরে নেয়।
উড়িষ্যার সূর্যবংশের রাজা গজপতি কোপীলেন্দ্র দেব তার শাসনকালে। প্রায় ১৪৩৮ থেকে ১৪৬৯ সালের তার শাসনকাল ছিল। ওই সময়ের মধ্যেই এই স্থাপত্য বা পাথরের শিলালিপিটি তৈরি হয়। এসআইয়ের অধীনে একটি সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ ছিল এটি তা সত্ত্বেও এ দুর্গ সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
বহু মানুষ যারা ইতিহাস পছন্দ করেন তারা এই দুর্গের টানে বারবার ছুটে যান। খড়গপুর ভ্রমণ স্থানে এই দুর্গ এক উল্লেখযোগ্য ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে চলবে যুগের পর যুগ। খড়গপুর ভ্রমণের জায়গা মধ্যে এর ভূমিকা অপরিসীম। গুগল ম্যাপের লিংক:- কুড়ুমবেড়া দুর্গ
7. ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ী( Jhargram Rajbari) খড়গপুর ভ্রমণ করার জায়গা :-
খড়গপুর থেকে কিছুটা দূরে ঝাড়গ্রাম জেলায় অবস্থিত এক উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় বা পর্যটন স্থান ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ী অথবা ঝাড়গ্রাম রাজপ্রাসাদ। মোল্লা দেব রাজ পরিবারের বর্তমান বাসস্থান এটি। এটি মূলত ইতালি এবং ইসলামী স্থাপত্যের মডেলের একটি সমন্বয় তৈরি হয়েছে এমন কাঠামো।
খড়গপুর ঘুরে বেড়ানোর জায়গা দেখলে এই ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি কে লিস্টে রাখতেই হবে। খড়গপুর পর্যটন স্থান রুপে এটি প্রাধান্য পেয়েছে বরাবর ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে রাজা নরসিংহ মূল্য দিব্য বাহাদুরের রাজত্বের সময় এটি তৈরি করা হয়েছিল।
রাজকীয় জীবনযাত্রা এতটাই স্মরণীয় যে রাজপ্রাসাদ অতীত জীবন তো হয়ে ওঠে। প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে যারা জানতে আগ্রহী তাদেরকে এই রাজপ্রাসাদের আকর্ষণ উত্তেজিত করে তুলবে। ঝাড়গ্রাম-এর দর্শনীয় স্থান রূপে ও এটি প্রাধান্য পায় বরাবর।
8. বেলপাহাড়ি, ঝাড়গ্রাম ( Belpahari ) :-
প্রাকৃতিক জঙ্গলে খরা অপরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত ঝাড়গ্রাম জেলার এক উল্লেখযোগ্য দর্শণীয় স্থান বা খড়গপুর এর কাছাকাছি ঘোরার জায়গা এই বেল পাহাড়ি গ্রাম। বিনপুর দু’নম্বর ব্লকে অবস্থিত এই গ্রামটি। ঝাড়গ্রাম জেলায় মাওবাদীদের উপদ্রব ছিল এই বেলপাহাড়ি গ্রামে। বর্তমান রাজ্য সরকার বেলপাহাড়ি কে আরো সৌন্দর্য রূপ দিয়েছে এবং পর্যটনের মূল আকর্ষণ কেন্দ্র রূপে গড়ে তুলেছে। এখানে পর্বতন দপ্তরের একটি বাংলো ও রয়েছে।
9. ঝিল্লির পাখিরালয়, ঝাড়গ্রাম ( Pakhiralay ) খড়গপুর ঘোরার জায়গা :-
পরিযায়ী প্রার্থীদের কিচিরমিচির শব্দ শুনে মন ভালো করার একমাত্র পর্যটন। খড়গপুর শহরের কাছে বলতে গেলেই সুদূর ঝাড় গ্রামের গোপীবল্লভপুর খানিকটা দূরে হাতি বাড়ির কাছে ঝিল্লির হ্রদের কাছেই গড়ে উঠেছে পাখিরালয়। সকালে ভোরের মৃদু আলোতে জায়গাটিতে দেখলে আপনাকে স্বাগত জানাবে ঝাকে ঝাকে পরিযায়ী পাখির দল। তাদের কিচিরমিচির মিষ্টি ডাকে মন হয়ে উঠবে উতলা। খড়গপুর থেকে খুব কাছেই বলা চলে এই পাখিরালয় তাই পর্যটন শিল্পে খড়্গপুর ঘোরার জায়গা বিশেষ ভূমিকা রাখে পাখিরালয়
10. ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্ক ( ডিয়ার পার্ক / Deer Park ) :-
খড়গপুর শহরতলীর সবুজ ঘনানি জঙ্গলের মাঝে রাস্তা ধরে ঝাড়গ্রাম শহরে পৌঁছলেই দেখতে পারবেন অপরূপ ঘোরার জায়গা, ডিয়ার পার্ক বা ঝাড়গ্রাম জুওলজিকাল পার্ক । একে ঝাড়গ্রাম এর মিনি চিড়িয়াখানা ও বলা হয়ে থাকে। দর্শনীয় স্থান বা ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের জন্য এক অপরূপ খোঁজ এই ডিয়ার পার্ক। এখানে রয়েছে ময়ূর, ভাল্লুক, হায়না, বাঁদর চিতা বিভিন্ন প্রজাতির সাপ কৃষ্ণসার হরিণ। অন্যান্য বহু প্রজাতির প্রাণী দেখা যায় বিভিন্ন রকম পাখির কিচিরমিচির শব্দ আপনার মনকে এখানেও ভরিয়ে দেবে। এটি ঝাড়গাম শহরের ভ্রমণীয় স্থান খড়গপুর জায়গা ঘোরার এর মধ্যেও উল্লেখযোগ্য ।
11. চিল্কিগড় রাজবাড়ি, ঝাড়গ্রাম ( Chilkigarh Rajbari) খড়গপুর ঘোরার জায়গা :-
ঐতিহাসিক স্মৃতি আঁকড়ে আজও ভ্রমণপিপাসুদের আনন্দ দিয়ে চলেছে চিল্কিগড়ের রাজবাড়ি। রাজা সূর্যবংশের জগত দেও চিল্কিগড়ের রাজা, ধনরাজ কে পরাজিত করার পর নিজের রাজা ধওলা দেবী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। পরবর্তীতে এই চিল্কি করে রাজ পরিবারকে ধলাদেব বলা হয়। খড়্গপুরের দর্শনীয় স্থান বলুন বা ঘোরার জায়গা ঝাড়গ্রামের চিল্কিগড় গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান।
সারা বছরই দর্শনার্থী লেগে থাকে এই চিল্কি গড়ে। পাহাড় সুন্দর প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশের মাঝে এই রাজবাড়ীটি যেন এক ঐতিহাসিক শিহরণ জাগানো গা ছমছম পরিস্থিতি তৈরি করে। যা খড়গপুরবাসীর প্রিয় দর্শনীয় স্থান করে তুলে এক শান্তিময় জায়গা। আর এখানকার কনক দূর্গা মন্দির গোটা বাংলা বিখ্যাত। পূজা দিতে বহু মানুষ ছুটে আসেন এখানে। চিল্কিগড়ের কনক দূর্গা মন্দির এক ঐতিহ্য বয়ে আনে
12. কনকদূর্গা মন্দির, ঝাড়গ্রাম ( Kanakadurga Temple) খড়গপুর ঘোরার জায়গা :-
চিল্কিগড়ের ডুলুং নদীর তীরে প্রাচীন হিন্দু মন্দির কনক দুর্গা, প্রতিদিন সারা বছরের বহু দর্শনার্থী ভ্রমণ পিপাসু মানুষ এই মন্দিরে এসে পৌঁছান। চিল্কিগড়ের সামন্ত রাজা গোপীনাথ সামন্ত এমন দেখতে নির্মাণ করেন। স্বপ্না আদেশ পেয়ে দেবীর নির্দেশ মত রানীর হাতের সোনার কাঁকন দিয়ে রাজা নির্মাণ করান দেবী মূর্তি। নাম হয় কনক দুর্গা। সে থেকে মন্দিরটির নাম কনক দুর্গা।
১৯৬০ সালে আসল মূর্তি চুরি হয়ে যায় তার ঠিক কিছু বছর পর রাজার বংশধরেরা অষ্টধাতুর একটি কনক দুর্গার মূর্তিমন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ২০০৭ ও ২০০৮ সালে মাওবাদী আমলে দুবার মূর্তি চুরি হয়। প্রত্যেকবারই নতুন করে তৈরি করা হয় অষ্টধাতুর মূর্তি। বর্তমান মূর্তিটি দেবীর নব নির্মিত মূর্তি। কনক দূর্গা মন্দিরে জাগ্রত মায়ের আশীষ পেতে বারে বারে ছুটে যান ভক্ত গনেরা পুজো দিতে।ঝাড়্গ্রামের এই দর্শনীয় স্থান অথবা খড়্গপুরের ঘোরার জায়গা বা তীর্থস্থান এই কনক দূর্গা মন্দির অনেক ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে চলছে।
এক সময় নরবলি প্রথা চালু ছিল। স্থানীয়রা বলেন দেবী নাকি রাজাকে আদেশ দিয়েছিলাম নরবলি দিয়ে সেই রক্তে তাকে স্নান করাতে হবে। প্রত্যেক নবমীতে এক যুবক হাজির হয়েছে স্বেচ্ছায় হাড়ি কাঠে মাথা দিত। তবে এখন সেই নরবলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে তার পেছনে এক কাহিনী ও রয়েছে।
এক অল্প বয়সী ছেলেকে কর্মচারীরা বেছে নেয় বলির জন্য একটি অন্ধকার প্রকোষ্ঠে রাখা হয় তাকে। মহানবমীর দিন ঐতিহ্য অনুসারে বালকটি কে বলি দেওয়ার জন্য হাড়ি কাঠের সামনে যখনই আনা হয় ঠিক তখনই হঠাৎ করে জোরে জোরে দেবী দুর্গার স্তুতি জপ করতে শুরু করে ওই ছেলেটি। এই শুনে রানী গোবিন্দ মনি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারপর দেবীর কাছে করজোড়ে আবেদন করে বন্ধ করেন নর বলি। বর্তমানে পাঁঠা বলির প্রচলন আছে। দর্শনীয় স্থান হিসেবে এবং দেবীর মহিমার জন্য বিখ্যাত কনক দূর্গা মন্দির। খড়্গপুরের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান।
13. রামেশ্বর শিব মন্দির ( Rameshwar Shiva Temple) :-
খড়গপুর ভ্রমণের স্থান ( places to visit in kharagpur ) গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঝাড় গ্রামের রামেশ্বর মন্দির। এই মন্দিরের মুখ্য ভগবান শিব। শ্রাবণ মাসে হাজার হাজার পুরনাথে এখানে ঝড়ো হয় ভগবান শিবের আরাধনা করে। ১৬ শতাব্দীর কাছাকাছি সময়ে মন্দিরটি নির্মিত হয়েছে বলে অনুমান নয়াগ্রামের রাজা চন্দ্রাকৃত কর্তৃক মন্দিরটি নির্মাণের অনুমতি হয়। ঐতিহ্যবাহী ওড়িয়া শৈলীতে নির্মিত।
প্রতিবছর গঙ্গা বারুনীর সময় বিরাট মেলার আয়োজন হয় মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। এই মন্দিরের চিন্তাকর্ষক দৃশ্য ঐতিহাস সর্বদাই পর্যটকদের মনকে আকর্ষণ করে। এবং এর ঐতিহ্য যুগ যুগ ধরে বয়ে নিয়ে যাবে। ঝাড়গ্রাম জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান রামেশ্বর মন্দির। খড়্গপুরের বেশ কিছু ধর্মীয় স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এই মন্দির।
14. তপবন, ঝাড়গ্রাম (Tapavan)খড়গপুর ঘোরার জায়গা:-
ঝাড়গ্রাম এর দর্শনীয় স্থান হিসেবে তপবন যেমন বিখ্যাত তেমনি খড়গপুর থেকে বহু মানুষ ছুটে আসেন রাম সীতা হনুমান লব কুশের এই সুন্দর মন্দির দেখতে । খড়্গপুরের পর্যটন বা ভ্রমণের স্থান হিসেবে মধ্যে তপবন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ঘন জঙ্গল দ্বারা পরিবেষ্টিত এই মন্দির মন্দিরের পাশেই বয়ে গিয়েছে একটা ছোট্ট নদী একটি মোহনার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে যা পর্যটকদের সর্বদাই আকর্ষণ করে। তাই খড়্গপুরের ভ্রমণের স্থান বললে তপবানের নামও সবার মুখে উঠে আসে।
15. চিত্রেশ্বর মন্দির, ঝাড়গ্রাম ( Chitreshwar Temple ) :-
চিত্রেশ্বর গ্রামের সিদ্ধেশ্বর মন্দির বিরাট জাগ্রত খড়গপুর থেকে কাছে ঝাড়গ্রাম এর নিকটবর্তী এলাকায় বাঁচতে চাই গ্রামটি। চিত্রেশ্বর মন্দিরে ভারতের বৃহত্তম প্রাকৃতিক শিবলিঙ্গ রয়েছে, তবে এটা অনেকেরই অজানা দশম শতাব্দীতে মন্দিরটি তৈরি হয় বরিশাল সোম বংশী রাজবংশ।
কেশরী রাজবংশ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। ঐতিহ্যের দিক থেকে এটা প্রায় তিন হাজার বছর পুরনো বলে মনে করা হয়। স্কন্ধ পুরাণে উৎকল খন্ডে এই মন্দিরের নাম উল্লেখ রয়েছে। বিশ্বাস রয়েছে মানুষের এখানে করা সমস্ত ইচ্ছে পূরণ হয় এবং ভগবান শিব তার ভক্তদের আশীর্বাদ করে তাদের ইচ্ছা পূরণ করেন। চিত্রেশ্বর মন্দির ঐতিহ্য এবং দর্শনের দিক থেকে যেমন উল্লেখযোগ্য তেমনি ধর্মীয় স্থানে।
চিত্রেশ্বর মন্দির জাগ্রত কবি প্রত্যেক বছর ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে মহা শিবরাত্রি পালিত হয়। বিরাট জাঁকজমক করে ভগবান শিবের ভক্তরা দূর-দূরান্ত থেকে দেবতার কাছে প্রার্থনা করতে আসেন। আর শিব তা পুরনো করেন। এই সময় একটা বিশাল মেলা অনুষ্ঠিত হয় এই উপলক্ষে ভক্তরা জিব্বা ও ছিদ্র করেন।
চাকুলিয়া রেলস্টেশন থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূর এবং বহড়াগোড়া থেকে বারো কিলোমিটার দূর হয়ে রয়েছে এই চিত্রেশ্বর মন্দির। খড়গপুর দর্শনীয় স্থান বলুন ঝাড় গ্রামের দর্শনীয় স্থান বলুন চিত্রেশ্বর মন্দির বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
16. চোরচিতা চোরেশ্বর শিব মন্দির, ঝাড়গ্রাম (Chorchita Choreshwar Shiva Temple) :-
চর্চিতা গ্রামের অবস্থিত চোরচিতা চরেশ্বর শিব মন্দির দর্শনীয় স্থান এবং জাগ্রত মন্দির। এখানে শিবের নাম ‘চোরেশ্বর’ শিবের এরকম নাম রীতিমতো অভিনব অদ্ভুত নাম কেন হল তার এক ইতিহাস রয়েছে। এ মন্দিরটি ১৮ শতকে নির্মিত বলেই বিশেষজ্ঞদের অনুমান। গ্রামের বাসিন্দা গৌড়চন্দ্র মহাপাত্র এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা। চর্চিতা গ্রামে এই মন্দির খুবই জাগ্রত এবং ঝাড়গ্রাম জেলার মধ্যে খুবই প্রসিদ্ধ মন্দির প্রদর্শনীয় স্থান টুরিস্ট স্পট।
গোপীবল্লভপুরের চোরচিতা গ্রামের চোরেশ্বর মন্দিরে চড়ক পূজা বিরাট মেলার আয়োজন করা হয়। এবং অনেক নিয়ম-কানুন মেনে চরক উৎসব পালন করা হয়। পাশাপাশি গ্রামের মানুষেরা ছুটে আসেন এই চোরচিতা গ্রামে। চড়ক মেলায় গাজন উৎসব পালিত হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রাম ব্লকের চোরেশ্বর মন্দিরে গাজন সব বহু প্রাচীন।
17. খড়গপুরে ঘোরার জায়গা খিরাই ফ্লাওয়ার ভেলি (Khirai Flower Valley) :-
খড়গপুর থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শনের এক অন্যতম স্থান হচ্ছে পাঁশকুড়ার কাছে অবস্থিত খিরাই ফ্লাওয়ার ভ্যালি। গাঁদা ফুল, সূর্যমুখী ফুল, গোলাপ ফুলের বিরাট বাগান খড়গপুর থেকে দর্শনের জন্য খুব কাছেই অবস্থিত। খড়গপুর হাওড়া লোকালে উঠলেই এখানে নামতে হয় ক্ষীরাই স্টেশনে। ফুলের সৌন্দর্য এখানে ডেকে আনে বহু মানুষকে।
18. পঞ্চবটি মাহাতো সরবর, ঝাড়্গ্রাম ( Panchabati Mahato Sarbor):-
পঞ্চবটি মাহাতো সরোবর ঝাড়গ্রাম এ অবস্থিত খড়গপুর থেকে বহুদর্শনার্থী এখানে এসে ভ্রমণপিপাসুরা তাদের মন ভরিয়ে থাকেন। পঞ্চবটি মাহাতো সরোবর খড়গপুর ঘোরার স্থান মধ্যে উল্লেখযোগ্য। অনেক রকম সুন্দর বাঁশের কারুকার্য এবং সরোবরে বোট এ সরোবরে ঘোরার ব্যবস্থা রয়েছে। একটি বাসের সাঁকো রয়েছে যা খুবই আকর্ষণীয় ভ্রমণ স্থান হিসেবে এখানে পিরিয়ডিং শুট ও হয়ে থাকে।
19.খড়গপুর ভ্রমণের জায়গা কৃষ গার্ডেন, ঝাড়গ্রাম ( Krish Garden) :-
খড়গপুর স্টেশন থেকে খানিকদুরে ঝাড়গ্রাম জেলায় অবস্থিত কৃষ গার্ডেন অপরূপ সুন্দর পরিবেশ খোলামেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। মোহিত করে প্রত্যেক পর্যটনবাসীকে যারা ঝাড়গ্রাম অথবা খড়গপুর ভ্রমণ করতে আসে। খড়্গপুরে দর্শনীয় স্থান গুলির মধ্যে কৃষ গার্ডেন উল্লেখযোগ্য।
20. বনভূমি হোমস্টে, ঝাড়গ্রাম ( Banabhoomi Homestay ):-
বনভূমি হোমস্টে খড়্গপুরের কাছে ঘোরার জায়গার মধ্যে এক উল্লেখযোগ্য এখানে থাকার বিশাল ব্যবস্থা রয়েছে ঘন জঙ্গলের মাঝে কুটির মতো ঘর। খাওয়া-দাওয়ার অপরূপ পরিবেশ বন ঘন জঙ্গলে ঝাড় গ্রামের মধ্যে এই বনভূমি হোমস্টে খুবই আকর্ষণীয় টেনিয়ানে বারে বারে পর্যটকদের মনকে। ঝাড়গ্রাম এর বর্ণভূমি হোমস্টে দিনে দিনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে খড়গপুর পর্যটকদের কাছে। খুব সুন্দর টুরিস্ট স্পট খড়গপুর এর কাছে বনভূমি হোমস্টে।
21. ক্ষুদিরাম ইকোপার্ক, মেদিনীপুর ( Khudiram Ecopark ) :-
খড়গপুর থেকে মেদিনীপুর যাওয়ার রাস্তায় কংসাবতী নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে ক্ষুদিরাম ইকোপার্ক যা মনোরম পরিবেশে প্রত্যেক দর্শনার্থীর মন কে টেনে আনে। এই ইকো পার্ক থেকে সুন্দর দর্শন পাওয়া যায় কংসাবতী নদীর যাতে মন ভালো হয়ে যায়। খড়গপুর দর্শনীয় স্থান গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য টুরিস্ট স্পট ক্ষুদিরাম ইকোপার্ক মেদিনীপুর থেকে বহু মানুষ ওইখানে এসে থাকেন।
22. গুড়গুড়ি পাল ইকোপার্ক ( Gurguri Pal ) :-
গুড়গুড়ি পাল ইকোপার্ক প্রাকৃতিক পরিবেশের বিরাট উপহার ভগবানের। এই ইকো পার্কে সারা বছর লোক লেগেই থাকে। মেদিনীপুর চন্দ্রকোনা রাস্তার মাঝে এটি পড়ে গুড়গুড়ি পাল ইকোপার্ক। এর দৃশ্য খুবই অপরূপ সৌন্দর্য প্রকৃতিক ছোঁয়া। খড়গপুর দর্শনীয় স্থান বা টুরিস্ট স্পট বলতে এই এলাকার সবার আগে উঠে আস
23. গোপগড় ইকোপার্ক, মেদিনীপুর ( Gopgarh Ecopark ) :-
মেদিনীপুর শহরের এক কোনায় গড়ে উঠেছে গোপগড় ইকোপার্ক যা সর্বদাই মানুষের মনকে আকর্ষণ করে প্রাকৃতিক ঘন জঙ্গলের মাঝে এই পরিবেশ। এখানে রয়েছে বিরাট রাজপ্রাসাদ। এই রাজপ্রাসাদ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শনে খড়গপুর মেদিনীপুরের বহু মানুষ দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন। টুরিস্ট স্পট হিসেবে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে।
খড়গপুর রেলস্টেশনের কাছে পর্যটন স্থান ( Tourist Places Near kharagpur Railway Station )
আই আই টি খড়গপুর ক্যাম্পাস খড়গপুর রেলস্টেশনের কাছে। হিজলি ইকোপার্ক একদম কাছে খড়গপুর রেলস্টেশনের। খরগেশ্বর মন্দির ও জেতে পারেন আপনি। ( places to see in kharagpur )
এছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টুরিস্ট স্পট রয়েছে খড়্গপুর এর কাছাকাছি :-
তাদের মধ্যে রয়েছে ( kharagpur famous places)
- বাঘেশ্বর মন্দির,
- কংসাবতী নদী,
- ডুলুং নদী,
- কুটিঘাট ,
- সিধু কানু বিরশা সেতু,
- জঙ্গল কন্যা সেতু ভসরাঘাট।
আজকের বৃত্তান্তে খড়গপুর জুড়ে ঘোরার জায়গা কথা আমরা তুলে ধরলাম তা হল ( kharagpur tourist places / Best place in kharagpur ) :-
আই আই টি খড়গপুর ক্যাম্পাস কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ।প্রত্যুষা পার্ক খড়গপুর কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ।হিজলি ইকোপার্ক খড়গপুর কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ।সুবর্ণরেখা নদী খড়গপুর কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ।খরগেশ্বর মন্দির খড়গপুর কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ। ( kharagpur places to visit )
কুড়ুমবেড়া দুর্গ / ( Kurumbera Fort ) কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণঝাড়গ্রাম রাজবাড়ী কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ।বেলপাহাড়ি, ঝাড়গ্রাম কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ।ঝিল্লির পাখিরালয়, ঝাড়গ্রাম কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ।ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্ক ( ডিয়ার পার্ক ) কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণচিল্কিগড় রাজবাড়ি, ঝাড়গ্রাম কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ। ( best place in kharagpur )
কনকদূর্গা মন্দির, ঝাড়গ্রাম কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ ।রামেশ্বর শিব মন্দির, ঝাড়গ্রাম কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ ।তপবন, ঝাড়গ্রাম কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ। ( kharagpur tourist places )
চিত্রেশ্বর মন্দির, ঝাড়গ্রাম কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ ।চোরচিতা চোরেশ্বর শিব মন্দির, ঝাড়গ্রাম কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ।
খিরাই ফ্লাওয়ার ভেলি (ফুলের বাগান) কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণপঞ্চবটি মাহাতো সরবর। ঝাড়্গ্রাম কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ।কৃষ গার্ডেন, ঝাড়গ্রাম কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ।
বনভূমি হোমস্টে,ঝাড়গ্রাম কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ। ক্ষুদিরাম ইকোপার্ক, মেদিনীপুর কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ। ( best place in kharagpur kharagpur famous for Tourist )
গুড়গুড়ি পাল ইকোপার্ক কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ ।গোপগড় ইকোপার্ক, মেদিনীপুর কিভাবে পৌঁছবেন ও ভ্রমণের বিবরণ।